Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

এনজিওর পেটে টাকা

হোটেল বিল ১৫০ কোটি টাকা কঠোর নজরদারির নির্দেশ আইনশৃৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রোহিঙ্গাদের জন্য বিদেশ থেকে আসা টাকার ৭৫ শতাংশই খরচ হচ্ছে যারা তাদের দেখভাল করছেন তাদের পেছনে। কিছু এনজিও আছে তারা এটা করছে। তবে ভুক্তভোগী রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দের ২৫ শতাংশের বেশি ব্যয় করেনি এই সংস্থাগুলো। বিদেশি সংস্থাগুলো গত ছয় মাসে ১৫০ কোটি টাকা শুধু হোটেল বিল দিয়েছে। গতকাল বুধবার সচিবালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন গঠিত সরকারের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম বৈঠক এটি। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ মন্ত্রিসভা কমিটির অন্য সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, আমাদের গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, এনজিওগুলো খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে। আপনারা জেনে অবাক হবেন, গেল সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের হোটেল ভাড়া বাবদ ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড়’শ কোটি টাকা এবং ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছে ৮ কোটি টাকার উপরে। যাদের জন্য বিদেশ থেকে টাকা আনা হয় সেই রোহিঙ্গাদের জন্য টাকার ২৫ শতাংশও খরচ হয় না। আমরা গোয়েন্দা সংস্থাকে বলেছি বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখার জন্য। অনুসন্ধানে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী যে ব্যবস্থা নিয়েছেন ভাসানচরে নিতে, তা ত্বরান্বিত করতে আমরা কাজ করবো বলেও জানান মন্ত্রী।
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের নিতে ইউএন আপত্তি জানিয়েছেন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, এটা তাদের নিজস্ব বিষয়। আমাদের সরকার কোথায় রোহিঙ্গাদের রাখবে সেটা আমরা সিদ্ধান্ত নিব। তারা দেখবে রোহিঙ্গারা ভালো আছে কি না।
কবে নাগাদ রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়া হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। সেখানে কিছু প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে রোহিঙ্গাদের সেখানে স্থানান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে আমরা সন্তুষ্ট।
এখনো সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা আসছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, দেখুন যারা আনে তারা খারাপ মানুষ। তারা চেষ্টা করবে আনতে, আমরা চেষ্টা করছি বাধা দিতে। আপনারা উদ্ধার কাজটা দেখুন, ব্যাপকভাবে ইয়াবাসহ পাচারকারীদেরও আটক করা হচ্ছে।
মোজাম্মেল হক আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য বিদেশ থেকে যে টাকা আসছে তা কিভাবে খরচ করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোন কোন এনজিও অনিয়ম করছে তাদের নামসহ তালিকা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজধানীর যানজট নিরসনের ব্যাপারে সভায় আলোচনা হয়েছে। আগামী সভায় ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়রদেরও রাখা হবে। সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা ছাড়া যানজট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। আইন শৃঙ্খলা যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক ভালো। জঙ্গিবাদকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সভায় নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন শঙ্খলা বাহিনী একটি শান্তিপূূর্ণ নির্বাচনের জন্য কমিশনকে সহযোগিতা করায় ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি দুইটা ব্যাপারে, একটা হচ্ছে মাদকদ্রব্য ব্যবহারকারী যারা, তাদের চিহ্নিত করে ধরা এবং নিরাময় কেন্দ্রগুলো কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সেদিকে গুরুত্ব দেয়া। নিরাময় কেন্দ্র অপ্রতুল, যারা ভালো হতে চান, তাদের চিকিৎসা যাতে নিশ্চিত করতে পারি, সেজন্য এগুলো বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ