Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিভ্রাটে ফেসবুক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ৮:০১ পিএম

ফেসবুক তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ওয়েবসাইটটির বেশকিছু প্রধান সেবা ব্যবহারে সমস্যায় পড়েন ব্যবহারকারীরা। তবে ১৪ ঘন্টারও বেশী সময় বিভ্রাট অব্যাহত থাকার পর ধীরে ধীরে পূর্ণ কার্যকারিতা ফিরে পেতে শুরু করেছে সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয় ওয়েবসাইটটি।
শেষবার ২০০৮ সালে ফেসবুকে এত বড় পরিসরে ব্যাঘাত ঘটেছিল ফেসবুকের কার্যক্রমে। তবে সেসময় প্রতিমাসে সাইট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১৫ কোটি, যে সংখ্যাটি বর্তমানে প্রায় ২৩০ কোটি। ফেসবুকের প্রধান পণ্যগুলো, দু’টি মেসেজিং অ্যাপ এবং ছবি শেয়ার করার মাধ্যম ইন্সটাগ্রাম, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এই বিপর্যয়ে। তবে এই বিপর্যয়ের কারণ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
ফেসবুক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ফেসবুকের অ্যাপগুলো ব্যবহারে কিছু গ্রাহক সমস্যার মুখে পড়ছেন বলে আমরা অবগত হয়েছি। এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’
অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে এর মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। গুজবের জবাব না দিলেও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে যে এই বিপর্যয় ‘ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস’ আক্রমণের কারণে হয়নি। ‘ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস’ একধরণের সাইবার আক্রমণ যেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি লক্ষ্যবস্তুতে (ওয়েবসাইট) একসাথে অত্যাধিক পরিমাণ ট্র্যাফিক বা ব্যবহারকারী প্রবেশ করানো হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, বিপর্যয়টি শুরু হয় বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টা থেকে। ফেসবুকের মূলপাতা লোড হলেও ব্যবহারকারীরা কোনো পোস্ট করতে পারছিলেন না বলে জানান। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা নিউজ ফিড রিফ্রেশ করা বা ছবি পোস্ট করার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হন। ফেসবুক মেসেঞ্জারের ডেস্কটপ ভার্শন কাজ না করলেও মেসেঞ্জারের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কিছু মেসেজ পাঠানো সম্ভব ছিল। তবে কিছু কন্টেন্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা জটিলতার সম্মুখীন হয়েছে বলা বলা হচ্ছে।
ফেসবুকের আরেকটি মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরাও একই ধরণের সমস্যার মুখে পড়েন বলে জানা যায়। এর ফলে ‘ফেসবুক ওয়ার্কপ্লেস’ যেটি ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যবহার করা হয়, সেটির সেবাও বিঘ্নিত হয়েছে। এই বিপর্যয়টি এমন সময় হলো যখন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের আইন-প্রণেতারাই বিবেচনা করছেন যে ফেসবুক সহ অন্যান্য বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করা উচিত কি না।
ফেসবুক সাময়িকভাবে ব্যবহার করতে না পারায় পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকায় সমস্যার মুখে পড়েন ব্যবহারকারীরা। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে এনিয়ে নানা ধরণের ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট করেছেন। গোলোযোগের কারণে ফেসবুক ব্যবহার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করা ব্যক্তিদের ব্যঙ্গ করে একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট না করে কীভাবে খাওয়া-দাওয়া বা প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ করা যায় তা অনেকেই ভুলে গেছেন।’ ফেসবুক সাময়িকভাবে অকার্যকর হওয়ায় টুইটারে ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বেড়ে যায়।
এই ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক মাধ্যমের একটি জনপ্রিয় কৌতুকের মাধ্যমে প্রকাশ করে পোস্ট এবং শেয়ার করেছেন অনেকে। সামাজিক মাধ্যম টুইটারে #ফেসবুকডাউন এবং #ইনস্টাগ্রামডাউন এরই মধ্যে দেড় লক্ষ বারের বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলাদেশেও অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী বিভিন্ন রকম জটিলতার মুখে পড়েন। সূত্র: বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফেসবুক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ