Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

১৪ ঘণ্টার মধ্যেই আওয়ামী লীগের সভাপতি খুন

রাঙামাটিতে ৮ হত্যায় কেউ ধরা পড়েনি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রাঙামাটিতে ব্রাশফায়ারে ৮জনকে হত্যার ১৪ ঘণ্টার মধ্যেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তংচঙ্গ্যাকে। নির্বাচনী কাজ শেষে ফারুয়া থেকে বিলাইছড়ি উপজেলা সদরে ফেরার পথে গতকাল সকাল ৯টায় দিকে আলিখিয়ংয়ের তিনকোনিয়া পাড়া এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে বাঘাইছড়িতে ভোট শেষে ফেরার পথে নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ ৮জন খুনের ঘটনায় সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পৃথক দু’টি ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও গতকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে পরপর দু’দিন রাঙামাটির দুই উপজেলায় সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকাল দশটায় রাঙামাটি জেলা শহরে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে জেলা আওয়ামীলীগ। দু’টি সশস্ত্র হামলার ঘটনার পর সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। একই সাথে সোমবার রাত থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় যৌথ অভিযান চালানো হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
পুলিশ জানায়, জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের কংলাক, মাচালং ও বাঘাইহাট কেন্দ্রের নির্বাচনি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা উপজেলা সদরে ফেরার পথে তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ সদস্যসহ আহত হন ১৬ জন। আহত ১৪ জনকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। অন্য দুইজন উপজেলা স্বাস্থ্য চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে, হামলার ঘটনায় আঞ্চলিক দলগুলো একে অপরকে দোষারোপ করছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা অভিযোগ করেছেন, সন্তু লারমার জেএসএস’র প্রার্থী বড়ঋষি চাকমা নিশ্চিত পরাজয় জেনে সন্ধ্যায় সরকারি কাজে নিয়োজিতদের ওপর এ নৃশংস হামলা চালিয়েছে। তিনি এ হামলার জন্য জনসংহতি সমিতি ( জেএসএস) ও ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন।
তবে সুদর্শনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ( জেএসএস) বাঘাইছড়ি উপজেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চাকমা বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ ওই এলাকায় আমাদের সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রম নেই। ওইটা পুরোটাই ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকা।
অন্যদিকে ইউপিডিএফ এর মুখপাত্র মাইকেল চাকমা বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এখানে আমাদের কোনো প্রার্থী ছিল না। আমরা কেন এ কাজ করতে যাব?
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নিহত ৮জনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে এবং প্রত্যেক আহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়।
রাঙামাটি থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় আ.লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার তিনকোনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে নির্বাচনী কার্যক্রম শেষ করে সুরেশ স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে ফারুয়া ইউনিয়ন থেকে নদী পথে বিলাইছড়ি সদরে বোট যোগে ফিরছিলেন। তারা আলিখিয়ংয়ের তিনকোনিয়া পাড়ায় আসলে একদল দুবর্ৃৃত্ত তার বোটটির গতিরোধ করে। এরপর তার স্ত্রী এবং ছেলেকে বোট থেকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে সুরেশকে পাহাড়ের টিলায় নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুন

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ