Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বন রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে

আন্তর্জাতিক বন দিবসে বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৯, ১:০৭ এএম

কাউকে ভয় দেখিয়ে বন রক্ষা সম্ভব না। বন রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। বনকে ভালোবেসেই একে রক্ষা করতে হবে। আর্ন্তাজাতিক বন দিবস উপলক্ষে গতকাল বন অধিদপ্তরের হৈমন্তি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনেরা এঅভিমত ব্যক্ত করেন। ২১ মার্চ আন্তর্জাতিক বন দিবস। এ অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ বিল্লাল হোসেন এবং ইনস্টিটিউশন অব ফরেষ্টারসের সভাপতি ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরী। দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও সুফল প্রকল্পের কনসালটেন্ট রুহুল মোহাইমেন চৌধুরী।
এতে বক্তারা বলেন, জনগণকে বন রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। বন না বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে না। অনুষ্ঠানে সুন্দরবন রক্ষায় বন বিভাগের পদক্ষেপ জানাতে চাওয়া হয় আয়োজকদের কাছ থেকে। তারা নগরে বনায়নের ব্যাপারেও সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান।
সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, সুন্দরবন বাংলাদেশের গর্ব। বাংলাদেশ বললেই সুন্দরবনের নাম চলে আসে। তাই এ বন রক্ষায় যা যা করা সরকার তাই করবে। তবে সুন্দরবনের আশে পাশে জনগণও যেন একটু ভালো থাকে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। বন ব্যবস্থ্পনাকে গণমূখী করার লক্ষ্যে এবং বন ব্যবস্থাপনায় জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য সরকার সামাজিক বনায়ন কর্মসূচী এবং সহ-ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করেছে, যা ইতোমধ্যে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে সুনাম ও স্বীকৃতি অর্জন করে। বন ব্যবস্থাপনায় সরকারি নজরদারির পাশাপাশি বন বিভাগ ও স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে যৌথ বন পাহারা দল গঠন করে বন সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সম্প্রতি সরকার সংরক্ষিত এলাকা ব্যবস্থাপনার জন্য সংরক্ষিত এলাকা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৭ প্রণয়ন করেছে। যা জনগণকে সম্পৃক্ত করে রক্ষিত এলাকা ব্যবস্থপনা নিশ্চিত করবে। তিনি জানান সরকার উপক‚লীয় অঞ্চল, সুন্দরবন, পাহাড়ি বনাঞ্চলসহ অন্যান্য বন সংরক্ষণের জন্য তিনটি বৃহৎ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে। প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে একদিকে যেমন উপক‚লে নতুন বনাঞ্চল সৃষ্টি, বনের জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে ভ‚মিকা রাখবে, অন্যদিকে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও বন নির্ভরশীল মানুষের বিকল্প আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ