Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘গণহত্যা অস্বীকার’ ব্যাধি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

 “আমাদের বিশ্বাস করুন”। ২০১৭ সালের আগস্টে মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির বিরুদ্ধে রাষ্ট্র-পরিচালিত যে নিধনকান্ড হয়েছে, সেটির তদন্ত করার জন্য চলতি সপ্তাহে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে ‘তদন্ত কোর্ট’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে, সেখানে পরোক্ষভাবে এই বার্তাটাই দেয়া হয়েছে। অফিস অব দ্য কমান্ডার ইন চিফ অব ডিফেন্স সার্ভিসেসের ওয়েবসাইটে দেয়া ঘোষণা বলা হয়েছে, এই আদালতে তিনজন সিনিয়র সামরিক বাহিনীর (তাতমাদাও) কর্মকর্তা থাকবেন, যারা ২০১৭ সালের আগস্টের রক্তপাতের বিষয়টি ‘আরও খুঁটিয়ে দেখবেন”। একই সাথে ঘোষণায় সামরিক বাহিনীর সব সময়ের দাবির পক্ষেও যুক্তি দেয়া হয়েছে যে, সেনাবাহিনীর পরিচালিত সমস্ত অভিযানই ছিল বৈধ এবং পুলিশ পোস্ট আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশান আর্মির কথিত হামলার জবাবেই এই অভিযান চালানো হয়েছে। সামরিক বাহিনীর এই তথাকথিত তদন্ত আদালত গঠনের উদ্দেশ্য হলো তারা যে অকল্পনীয় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে- যেটা জাতিসংঘের তদন্তে এবং ফিজিশিয়ান্স ফর হিউম্যান রাইটস-সহ (পিএইচআর) মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে- সেটাকে ধামাচাপা দেয়া। আর তাতমাদাও কর্মকর্তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে। জাতিসংঘ কর্তৃক নিযুক্ত তদন্তকারীরা গত আগস্টে এই উপসংহারে এসেছেন যে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র-পরিচালিত অভিযানে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে এবং এর মধ্যে গণহত্যাও রয়েছে। আর প্রচুর তথ্যপ্রমাণ রয়েছে যে, তাতমাদাওয়ের এই অপরাধ বেড়েই চলেছে। পিএইচআর একটি পরিমাণগত জরিপ পরিচালনা করেছে এবং এ সংক্রান্ত রিপোর্টটি দ্য ল্যাঞ্চেট প্ল্যানেটারি হেলথে চলতি সপ্তাহে ছাপা হয়েছে। এসএএম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ