Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে ভোটারের খরা

ভোটকেন্দ্র দখলে নিতে নৌকার সমর্থকদের গুলি

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

চট্টগ্রামের চারটি উপজেলা নির্বাচনে ছিল ভোটারের খরা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কোথাও ভোটারদের লাইন দেখা যায়নি। কয়েকটি কেন্দ্রে সাংবাদিক দেখে কিছু কর্মী লাইনে দাঁড়ালেও কিছুক্ষণ পর সেই লাইন আর ছিল না। ভোটারবিহীন ভোটকেন্দ্র দখল নিতে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধ করেছে নৌকা মার্কার সমর্থকেরা। এতে এক পুলিশ গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। চন্দনাইশ উপজেলা সদরের পূর্ব চন্দনাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
থানার ওসি কেশব চক্রবর্তী বলেন, ভোটগ্রহণ শুরুর পর সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্র দখল করতে আসে শতাধিক মানুষ। নৌকার প্রার্থীর সমর্থক এসব লোকজন জোর করে বুথে হানা দিয়ে ব্যালেটে সিল মারতে শুরু করে। এতে পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের উপর চড়াও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ প্রথমে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এ সময় তারা পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। একপর্যায়ে তারা পিছু হটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কয়েকটি বুথে তারা ব্যালট পেপারের সিলমারে।
ওসি জানান, হামলাকারীদের গুলিতে কনস্টেবল ফরহাদ গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলমসহ কয়েকজন আহত হন। তাদের মধ্যে দুই জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ওই ভোটকেন্দ্রসহ দুটি ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম নাজিম উদ্দীন। তার প্রতিদ্ব›িদ্ব এলডিপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী। তবে নৌকার প্রার্থী দাবি করেছেন তিনি এবং তার সমর্থকেরা হামলার সাথে জড়িত নন।
এছাড়া পটিয়া, বোয়ালখালী ও বাঁশখালীতে উপজেলা নির্বাচনেও ব্যাপক অনিয়ম ও জাল ভোটের ঘটনা ঘটে। ভোটারের উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা। বেশিরভাগ কেন্দ্রে সরকারি দলের প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ও জাল ভোট দেয়ার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া যায়। কয়েকজন ভোটারের সাথে আলাপকালে তারা জানায়, জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে না পারায় ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ নেই।



 

Show all comments
  • Evan Hussain ২৫ মার্চ, ২০১৯, ১:৫৯ পিএম says : 0
    "ভোটগ্রহণ শুরুর পর সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্র দখল করতে আসে শতাধিক মানুষ। নৌকার প্রার্থীর সমর্থক এসব লোকজন জোর করে বুথে হানা দিয়ে ব্যালেটে সিল মারতে শুরু করে।" লীগাররা কত বড় দুর্বৃত্ত কত বড় জালিয়াত এটাই তাঁর প্রমাণ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভোট

১৫ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ