Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের চরম অবনতি ঘটছে : মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের চরম অবনতি ঘটছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বারবার দাবি জানালেও তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অতিরিক্ত আইজি প্রিজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আইজি প্রিজনের মোবাইল ফোন নম্বরটা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেননি। কিন্তু আইজি প্রিজনকে ২০-২৫ বার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে কোন চিকিৎসা না দিয়ে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গতকাল (বুধবার) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মঙ্গলবার কারাগারে বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছিলেন। তিনি আগের চেয়ে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বেগম জিয়া কারাগারে এখন এতটাই অসুস্থ যে তিনি তার কক্ষেও হাঁটতে পারছেন না, অন্যের সাহায্য নিতে হচ্ছে। সীমাহীন যন্ত্রণার মধ্যে প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি মূহুর্ত পার করছেন। তিনি মাথা সোজা করতে পারছেন না, পা বাঁকা করতে পারছেন না। তারপরও এই জনপ্রিয় নেত্রীকে কোনো রকমের সুকিচিৎসা দেয়া হচ্ছে না। তাকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমরা বার বার বলেছি, এর দায়-দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষ ও সরকারকে বহন করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাইকোর্টের আদেশে গত অক্টোবরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হলেও কেন তাকে ৮ নভেম্বর মেডিকেল বোর্ডের অনুমতি ছাড়াই কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ৮ নভেম্বর থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাড়ে তিন মাস কোনো চিকিসক তাকে দেখেননি। এরপর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশে মেডিকেল বোর্ড কারাগারে খালেদা জিয়াকে দেখে আসার পর যে প্রতিবেদন দেয় তা পড়ে শুনিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা শুনলে অবাক হবেন, মেডিকেল বোর্ড রিপোর্ট দেওয়ার পরে বলা হল যে, তার রক্ত পরীক্ষা করতে হবে জরুরিভাবে। তারা (মেডিকেল বোর্ড) এর মধ্যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এরপর অনেক বলা-কওয়ার পর ১৯ মার্চ তার রক্ত নেওয়ার জন্য কারাগারে তারা লোক পাঠাল। রক্ত নিয়ে আসা হলো বিএসএমএমইউতে পরীক্ষা করতে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে বোর্ড কোনো মিটিং করেনি এবং এই রক্ত পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে কোনো কথা বলেনি এবং দেশনেত্রীর সঙ্গে কারা কর্তৃপক্ষের ও মেডিকেল বোর্ডের কেউ দেখা পর্যন্ত করতে যায়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিনিসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাক্ষাতের পরও খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার কোনো উদ্যোগ কারা কর্তৃপক্ষ নেয়নি বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসার জোর দাবি জানিয়ে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তার দায় কারা কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সরকারকেই নিতে হবে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব। এসময় সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফরহাদ হালিম ডোনার, সিরাজউদ্দিন আহমেদ, আব্দুল কুদ্দুস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ