Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্রেক্সিট চুক্তি পাস হলে ২২ মে না হলে ১২ এপ্রিল বিচ্ছেদ

ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা থেকে এ পর্যন্ত ৩৯ জনের পদত্যাগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিবর্তিত দিনক্ষণের বিষয়টিকে হাউস অব কমন্স আইন পাসের মাধ্যমে স্বীকৃতি দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ব্রেক্সিট চুক্তি পাস হলে আগামী ২২ মে এবং চুক্তি পাস না হলে আগামী ১২ এপ্রিল যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে। বুধবার সংশোধনীটি পাস হয়েছে ৪৪১-১০৫ ভোটে। ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের রায় অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ রাত ১১টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ ত্যাগের কথা ছিল যুক্তরাজ্যের। ব্রেক্সিট পরবর্তীকালে ইইউয়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের শর্ত নির্দিষ্ট করে তৈরি হয় ব্রেক্সিট চুক্তি। কিন্তু যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে দুই দফায় তা হাউস অব কমন্সে পাস করাতে ব্যর্থ হন। তৃতীয় দফায় চুক্তিটি সংসদে তোলার আগে ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের তারিখ পরিবর্তন করাতে সমর্থ হন মে। গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ব্রেক্সিটের দিনক্ষণ পরিবর্তনে যে সমঝোতায় উপ্নিয় হয়েছিলেন তাতে চুক্তি পাস হলে আগামী ২২ মে আর চুক্তি পাস না হলে আগামী ১২ এপ্রিল ব্রেক্সিট কার্যকরের কথা বলা হয়েছে। ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোটের পর এখন পর্যন্ত থেরেসা মে’র মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন ৩৯ জন। এবার থেরেসা নিজেই রাজি পদত্যাগে। তবে শর্ত তার ব্রেক্সিট চুক্তির অনুমোদন দিতে হবে। এ অবস্থায় বিশ্লেষকরা বলছেন, থেরেসা মে নয়. নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমেই চূড়ান্ত হতে পারে ব্রেক্সিটের রূপরেখা। ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের রায় অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ রাত ১১টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ ত্যাগের কথা ব্রিটেনের। তবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পরপর ৮টি বিকল্প ব্রেক্সিট প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হলেও এর কোনোটিতেই জয়ের মুখ দেখেননি প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এছাড়া এই ইস্যুতে নিয়ন্ত্রণ এখন পার্লামেন্ট সদস্যদের। বিশ্লেষকরা বলছেন, থেরেসা মে শেষ পর্যন্ত তার নেতৃত্ব ধরে রাখতে পারবেন কিনা তা নিয়েই দেখা দিয়েছে দ্বিধাদ্ব›দ্ব। যুক্তরাজ্য জেকেআর সলিসিটরস লিগ্যাল কনসালটেন্ট ব্যারিস্টার শাহেন শাহ বলেন, আমরা হয়তো নতুন নেতৃত্ব দেখতে পাবো। থেরেসা মে হয়তো এই কর্মকাÐ নাও শেষ করতে পারে। গণভোটের রায়কে সম্মান জানিয়ে ব্রেক্সিট অবশ্যই কার্যকর হওয়া উচিত বলে মনে করেন কিংস্টোন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ব্যারিস্টার এম এ আশরাফ। তিনি বলেন, বেক্সিট যদি সত্যিকার অর্থে কার্যকর না হয় তাহলে ব্রিটেনের হাজার বছরের গণতন্ত্রের সুনাম ক্ষুণœ হবে। এ-অবস্থায় ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সময়সীমা ফের বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় কনজারভেটিভ দলীয় কনজারভেটিভ দলীয় নেতা মো. আনিসুর রহমান। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রেক্সিট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ