Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সব সম্ভবের দেশ

প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হারুন-আর-রশিদ
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিষয়ক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছেন কোপেন হেগেন কনসেনসাস সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ড. বিয়র্ন লোমবোর্গ। টাইম ম্যাগাজিনের মূল্যায়নে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির একজন। তার একটি নিবন্ধের শুরুতেই তিনি বলেছেন বাংলাদেশে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে প্রতি ঘণ্টায় নয়জনের মৃত্যু হয়। আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করার কারণে প্রতি ঘণ্টায় মৃত্যু হয় আরও সাতজনের। বাংলাদেশে যক্ষ্মা ও আর্সেনিক সবচেয়ে বড় দুই ঘাতক। মানুষের জীবনবায়ুকে কেড়ে নেয়ার জন্য এই দুই ঘাতকই যথেষ্ট বলে মনে করেছেন তিনি। যক্ষ্মায় প্রতিবছর ৮০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। এই সংখ্যা দেশের মোট মৃত্যুর ৯ শতাংশ। বাংলাদেশিদের ৯৮ শতাংশই পাইপের পানি অথবা কূয়ার পানি পেয়ে থাকে, তার পরও ২৫ শতাংশ পরিবারের পানির উৎসে ডব্লিউএইচওর গাইডলাইনের চেয়েও বেশিমাত্রায় আর্সেনিক আছে। এই আর্সেনিক প্রতিরোধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে গভীর নলকূপ, বৃষ্টির পানি ধরে রাখা এবং পুকুরের পানি বালু দিয়ে পরিশুদ্ধ করা। দেশে এ ব্যবস্থা অপ্রতুল। বাংলাদেশে আরেকটি মারাত্মক উদ্বেগজনক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় হলো- শিশু ও মাতৃমৃত্যু। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেড়ে ওঠার কারণে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার বাড়ছে। অগ্রগতি এখনো অনিয়মিত বলে গবেষণার নিবন্ধে বিয়র্ন লোমবোর্গ উল্লেখ করেছেন।
এপ্রিল মাসের ১৪ থেকে ২০ তারিখ এক সপ্তাহ পর্যন্ত চেন্নাইর ভেলোর সিএমসি হাসপাতালে গিয়ে ধারণাটি বিয়র্ন লোমবোর্গের সাথে হুবহু মিলে যায়। ওই হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসারত রোগীর ৪০ শতাংশ বাংলাদেশি। বাকি ২০ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গের। বাদ-বাকি ৪০ শতাংশ ভারতের অন্যান্য রাজ্য এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আগত রোগী। এরা মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পর্যায়ে পড়ে। চিকিৎসা খরচ কম এবং উন্নতমানের রোগ নির্ণয় ব্যবস্থাই এই হাসপাতালমুখী করেছে তাদের। বেশিরভাগ রোগী ফুসফুসজনিত রোগে এবং পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত। সিএমসি হাসপাতালের দুটি ইউনিটে গিয়ে দেখলাম বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বহু মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে অতি আগ্রহ নিয়ে বসে আছে। রোগীর প্রেসার সামলানো খুব কষ্টদায়ক তা নিরাপত্তা রক্ষীদের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের হাবভাবে প্রতীয়মান হয়। দু’একজন ইংরেজিতে বলে ফেলেনÑইরম ইরম ঐড়ংঢ়রঃধষ রহ ইধহমষধফবংয, যিু ুড়ঁ পড়সব যবৎব. সাধারণ রোগীরা নিরাপত্তারক্ষীদের এই ভাঙা ইংরেজি শব্দের অর্থ বুঝে না। কিন্তু আমার মতো-কিছু সচেতন মানুষের তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি।
বাংলাদেশে ভাল ডাক্তার আছে কিন্তু তারা মাত্রাতিরিক্ত বাণিজ্যিক হয়ে গেছেন বলে মানুষের ভোগান্তিটা বাড়ছে। কল্যাণপুর বড় একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১১ এপ্রিল আমাকে যেতে হয়। ইমার্জেন্সি (সান্ধ্যকালীন) বিভাগে গিয়ে দেখলাম দেয়ালে সাঁটা লিফলেট সকল রোগের মাত্র ১০০ টাকায় চিকিৎসা ব্যবস্থা। বলতে গেলে সাশ্রয়ী। কিন্তু ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হওয়ার সময় ডাক্তার বললেন আমার ঈড়হংঁষঃধহঃ ফিস দিন। ১০০ টাকা দিলে তিনি বললেন, আমার ারংরঃর ৮০০ টাকা। ডাক্তার কিন্তু প্রফেসর নন। দেয়ালে সেঁটে দেয়া টাকার অংক এবং বাস্তবে সেটার কোনো প্রতিফলন না দেখে ভাবলাম- এদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা ডিমোরেলাইজড হয়ে এখন কমার্শিয়ালাইজড হয়ে গেছে। এসব কারণে উপায়ন্তর না পেয়ে মানুষ দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই- বেঙ্গালু হাসপাতালে যায়। শ্যামলিতে হাঁটার পথে দেখলাম বড় একটি জাঁকজমকভাবে নির্মাণ শৈল্যতে উন্নত ংঢ়বপরধষরংবফ হাসপাতাল। এ রকম শত শত হাসপাতাল আর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভরে গেছে ঢাকা শহর। এদের উদ্দেশ্য যে উপযুক্ত শিক্ষা ও উন্নতমানের চিকিৎসা নয়- সেটা গুগুলে চার্জ দিলেই জবাব পাওয়া যাবে। বিশ্বের উন্নতমানের শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় হাজারের মধ্যেও বাংলাদেশের স্থান নেই। এটা ভিশন-২০২১ সরকারের জন্য ভয়াবহ একটি সতর্ক বার্তা।
দেশের বয়স ৪৫ অথচ উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থা না থাকার কারণে আমাদের ভোগান্তিটা শুধু নিজেদের মধ্যেই সংক্রমিত হচ্ছে না। বহির্বিশ্বের এই দুটি খাতের বদনাম বেশুমার বলে মনে হচ্ছে। ভিলোর সিএমসি হাসপাতালের সন্ধান পাই ইন্টারনেটের গুগুলে চার্জ দিয়ে। এখানের চিকিৎসা ব্যবস্থা যে ভাল ও সাশ্রয়ি সেটাও অনুধাবনযোগ্য। মানুষ যদি আরোগ্য না হয় তাহলে সেখানে এতে মানুষের আগামন ঘটত না। এটা মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। ঢ়ড়ংরঃরাব ৎবংঁষঃ না পেলে মানুষ দক্ষিণ ভারতের হাসপাতালগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়তো না। ২০১৪ সালে রমজান মাসে আমার বড় বেয়াই সাহেব, যিনি দুনিয়া থেকে না ফেরার দেশে চলে গেছেন, তাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে গিয়ে যে কথা শুনলাম তা বলে দেশের কথিত হাসপাতালগুলোর মনেকষ্ট দিতে চাই না। তারপরও বলতে হয়, স্বাস্থ্য সেবার নামে বাংলাদেশের হাসপাতালগুলো যা করছে তা ডাকাতি বললে ভুল হবে না। ৬৫ হাজার টাকার এমআরআই রিপোর্ট দেখে সিঙ্গাপুর হাসপাতালের সার্জেন্ট বলেছেন, এই রির্পোট অস্পষ্ট। রোগীর (ক্যান্সার) অবস্থা অত্যন্ত জটিল। শেষ পর্যায়ে এসেছেন এখন আমাদের কিছু করার নেই। আমার বড় বেয়াই সাহেব আমাকে বলেছেন, অতি দুঃখ মনোবেদনায় আমার পৌনে দু’কাঠার জমির উপর ছোট বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছি। এমনকি পৈতৃক সম্পত্তিও বিক্রি করে দিয়েছি। সব টাকাই বড় হাসপাতালটির অনকোলজির ডিপার্টমেন্টের পকেটে ঢুকেছে। তিনি ঐ হাসপাতালে বেডে শুয়ে অশ্রুসজল দৃষ্টিতে আমাকে আরো অনেক কথা বলেন। আমার বেয়াই সাহেব দেশের অপচিকিৎসায় দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন ২০১৫ সালে। এই বেদনাদায়ক স্মৃতি মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত ভোলার নয়। অপচিকিৎসা, অপশিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু এখন ঢাকা।
আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম-সাইনবোর্ড মার্কা হাসপাতালের এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে-মানুষের পকেট কাটার জন্যই কি? ৭১-এর যুদ্ধে ঘর পুড়েছে। আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি। দুর্গম স্থানে জীবন রক্ষার্থে কাটাতে হয়েছে-দীর্ঘ নয় মাস। এর বিনিময়ে যা পেলাম দীর্ঘ ৪৫ বছর পর বলতে হয় আমরা সত্যিই এক হতভাগ্য জাতি। শোষণের হাতিয়ার হয়েও এখনো আমাদের লাল সবুজের পতাকা নিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর দিতে হয়।
বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় এমনকি অর্থ ব্যবস্থায় এতো দুর্নীতি কোনো দেশে আছে বলে আমার জানা নেই। দেশের পত্রিকাগুলো খুললে এসব দৃশ্যই পাতা ভরে থাকে। তারপরও যিনি ক্ষমতায় থাকেন- বলতে থাকেন নন-স্টপভাবে- বাংলাদেশ এগিয়েছে। এগুতে থাকবে। হ্যাঁ, দুর্নীতিতে অপচিকিৎসায় ও লুটপাটে এগিয়েছে।
ব্যাঙের ছাতার মতো শহরের অলিতে-গলিতে আজ কোন জিনিসটি দেখা যাবে, এর উত্তরে সচেতন মানুষরা একবাক্যে বলবেন, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রকৃত শিক্ষা এবং চিকিৎসার কারণে যদি এগুলো গড়ে উঠতো তাহলে বলার কিছু থাকতো না। কিন্তু বাস্তব অনুসন্ধানে শতকরা ৭৫ শতাংশই মতামত দিচ্ছে, এগুলো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। দেশের গ্রুপ অব কোম্পানির এক একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এসব শিক্ষা ও চিকিৎসালয়। মানুষের পকেট কিভাবে কাটা যাবে, তার বিভিন্ন উপায় নিয়ে তাদের সাপ্তাহিক বোর্ড মিটিং হয়। মানুষকে কিভাবে আকর্ষিত করা যায় সে জন্য কাস্টমার কেয়ার সেন্টারকে আরো মনোরম সাজে সাজানো হয়েছে। এটা আমি সিঙ্গাপুর ও চেন্নাইতে গিয়ে দেখিনি (২০১৪-২০১৬) তাদের লগো একটি। চিকিৎসা ব্যবস্থাই বলে দেবে আমরা-ভাল না খারাপ। চক চক করলেই সোনা হয় না। তাহলে বাজারে ইমিটেশন অলংকার সোনার রূপ নিতো। বড় বড় হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা যদি আপনি দাঁড়িয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন প্রতিদিন কতগুলো লাশ বের হচ্ছে হাসপাতাল থেকে। এরকম সুযোগ আমার হয়েছিল পান্থপথের হাসপাতালে এক দিন অবস্থান করে। সিকিউরিটি বা তত্ত্বাবধায়ক যারা থাকেন লাশের সংখ্যা নির্ণয়ে তারাই বলেছেন আজ ১৫টি লাশ বের হলো। কিন্তু ভেলোর হাসপাতালে ৭ দিনেও আমি তথ্য নিয়ে পায়নি ১০টি লাশের কথা। আরেকশ্রেণীর বাণিজ্যিক ডাক্তার পার্টটাইম রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এদের হৃদয় সীমারের চেয়েও শক্ত। রোগীর স্বজনদের সাথে বলেন, উনি মারা গেছেন। বহু চেষ্টা করেছিলাম বাঁচাতে। এক কথায়-আল্লার মাল আল্লায় নিয়ে গেছেন। হায়াত ফুরিয়ে গেলে থাকার সুযোগ নেই। দেশে শাসকদলের মুখ থেকেও এরকম তৃপ্তিদায়ক তাচ্ছিল্যে ভরা শব্দমালা অতীতেও শুনেছি। এখনও শুনছি। সরকার যে কথা বলেÑ আমরা সেকথা বললে দোষ হবে কেন। একটু ভিন্নভাবে বললে দেশ চালায় যারা তারা দেশের অভিভাবক। তারা যদি খুনকে বলে, এরকম ঘটনা হতেই পারে, মেনে নেয়াই ভাল। এটা পজেটিভ অ্যাটিচিউড কোয়ান্টম মেথডে এসব শেখায়। দেশে এদেরও রমরমা ব্যবসা। বুদ্ধিজীবীদের আনাগোনা এসব সেন্টারে কম নয়।
ভাবতেও কষ্ট হয়, ধানমন্ডি এলাকার বড় দুটো হাসপাতালে বিগত ৫ বছরে কয়েকজন মারা যায় অপচিকিৎসার কারণে। পত্রিকায় এ সংবাদ উঠেছে। রোগীর স্বজনরা মামলা করেছিল অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর বিরুদ্ধে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায় স্বীকার করে ক্ষতিপূরণ দিয়ে-মামলা থেকে অব্যাহতি পায়। অর্থ দিয়ে অপ-চিকিৎসায় মৃত্যুর হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। এদের বিচার কি ৪৫ বছরে কোন শাসকদল করেছে। করেনি- করবেও না। চলমান শব্দমালা মানুষ খুন যারা করে তারা নাকি জঙ্গি। কিন্তু চিকিৎসাকেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যা নিত্যদিন হচ্ছে- তাদের সরকার কি নামে সংজ্ঞায়িত করবে? তাদের একটি নাম দেয়া উচিত। মানবসৃষ্ট পরিবেশ দূষণে বিগত দুইদিনে ৫৭ জন মানুষ বজ্রপাতে মারা গেছে। আবহাওয়াবিদরা যুক্তি তুলে ধরেছেন, প্রাকৃতিক কারণে দুইদিনে দেশে এতলোকের মৃত্যুর নজির সাম্প্রতিক সময়ে নেই। বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, প্রাকৃতিক এসব দুর্যোগে মৃত্যুর জন্য মানুষের কর্মকা-ই দায়ী। দেশে বড় গাছের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাওয়া, নদী ভরাট হয়ে যাওয়া, নদীর শুষ্কতা, জলাভূমি ভরাট, মুঠোফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি- এসবই বজ্রপাতে অধিকসংখ্যক মানুষের মৃত্যুর মূল কারণ।
মানুষের পকেট কাটা হচ্ছে অধিকাংশ হাসপাতালে। তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অভিযোগ এনে আইনী বিধান জারি করা সময়ের দাবি। দেশের পেশাজীবী ডাক্তাররা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কথা বলছে না খাদ্যে বিষক্রিয়ার বিরুদ্ধে। কিছুসংখ্যক ডাক্তার এ ব্যাপারে সোচ্চার থাকলেও অধিকাংশ ডাক্তারই নীরব। কারণ খাদ্যে বিষক্রিয়া না থাকলেÑ রোগীর সংখ্যা হ্রাস পাবে। তাদের বাণিজ্য কমে যাবে। এই দর্শনে তারা বিশ্বাসী বলে কিছু পত্রপত্রিকায় সাহসের সাথে বক্তব্য তুলে ধরেছে। তাদের এই অপচিকিৎসার আড়ালে আরেকটি গোষ্ঠী হারবাল প্রোডাক্ট, সাপ্লিমেন্টারি ফুড নামে চমক লাগানো বাক্যবান ছুড়ে দিচ্ছে তাদের বিক্রয় প্রতিনিধির মাধ্যমে। এমএলএম বা ডাইরেক্ট সেলিং কোম্পানি আজ ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ঢাকা চট্টগ্রামের অলিগলিতে। তাদের সেøাগান-ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে না। খাদ্যের মধ্যেই পুষ্টিগুণ বিদ্যমান।
আমাদের কোম্পানি আজ সেই কাজটি করছে। ভারত, চীন, আমেরিকার বড় বড় এমএলএম কোম্পানির বিগ বাজার এখন বাংলাদেশে। মাটিতে বিষ, মাটির উপরে ফরমালিন ও কারবাইড এই দুই প্রক্রিয়ায় খাদ্যে বেজাল চলছে ফলে-খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন সেটা আর খাদ্যপণ্যে থাকছে না। তাই সাপ্লিমেন্টারি ফুড দ্বারা নিজের জীবন গড়ে তোলার বিকল্প পথ নাকি খোলা নেই। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, এমএলএম কোম্পানির আমদানিকৃত পণ্য-সবই মানুষের জন্য ঘাতক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। অসহায় মানুষের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার জন্য এখন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা আছে বলে আমাদের জানা নেই।
য় লেখক : গ্রন্থকার, গবেষক ও কলামিস্ট
যধৎঁহৎধংযরফধৎ@মসধরষ.পড়স



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সব সম্ভবের দেশ

২১ মে, ২০১৬
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ