Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এখন সময় অ্যাকশনের

সাংবাদিকদের আতিকুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

রাজধানীর বনানীর ফারুক-রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের পর বহুতল ভবনগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করে দেখার পদক্ষেপ নেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার সকালে পোড়া এফআর টাওয়ারে সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করীমও এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, আমরা ভেতরে ঢুকে সঙ্গে সঙ্গে চলে এসেছি, এখন সেখানে যাওয়ার উপায় নেই। ঢাকায় যে বহুতল বিল্ডিংগুলো রয়েছে প্রত্যেকটি ভবন তাদের ফায়ার সেফটি এবং বিল্ডিং সেফটির যত ধরনের পারমিশন- সব কিছু আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমাকে দিতে হবে। বহুতল ভবনগুলোর ফায়ার সেফটি ও ভবন সেফটির কাগজপত্র রেডি রাখতে জনস্বার্থে নোটিশ দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র আতিকুল।
তিনি বলেন, নোটিশ দেওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেট পাঠাব। যদি দেখা যায় ফায়ার সেফটি নিয়ে তারা কাজ করেনি, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেব। আমি বলেছি আমাদের এখন আর কথা বলার সময় নয়, অ্যাকশনের সময়। আমরা অ্যাকশনে বিশ্বাস করি। ভবন নিরাপত্তা নিয়ে সিটি কর্পোরেশন ও রাজউক একসঙ্গে কাজ করতে চায় বলে জানান আতিকুল ইসলাম।
কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের ২২ তলা ওই ভবনে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আগুন লাগার পর প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টার চেষ্টায় তা পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের ২১টি ইউনিট। ঢাকা
উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সুউচ্চ ভবনটি গড়তে ইমারত বিধি মানা হয়নি বলে তার মনে হয়েছে। আর ওই ভবনে অগ্নি নির্বাপণের নিজস্ব কোনো ব্যবস্থাও ছিল না বলে সাংবাদিকদের জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে ফারুক নামের এক ব্যক্তির জমিতে আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়নের নির্মাণ করা ২২ তলা ভবনটি সংক্ষেপে এফআর টাওয়ার নামেই পরিচিত। এক দশক আগেও সেখানে একবার অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল।
এবারের অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখতে চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর। এর মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটিকে ওই ভবনের নকশা অনুমোদন এবং নির্মাণ কাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল কি না- তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আতিকুল ইসলাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ