Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আজ শুরু হচ্ছে শিল্পমেলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

আজ থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় শিল্পমেলা। এ মেলা উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথকভাবে বাণী দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকে সরকার দেশে শিল্পায়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শিল্প মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় শিল্পমেলা ২০১৯’ আয়োজন করছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সৃজনশীল উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

প্রেসিডেন্ট বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্প খাত খুবই জরুরি। শিল্পোন্নত দেশগুলো গুণগত শিল্পায়নের ধারা জোরদার করে ইতোমধ্যে আর্থসামাজিক অগ্রগতির কাক্সিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছে যেতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশকেও রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ অর্জনের মাধ্যমে উন্নত অর্থনীতিতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য নিজস্ব কাঁচামাল ব্যবহার করে শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে নিজস্ব মেধা ও সৃজনশীল উদ্ভাবন কাজে লাগিয়ে আমদানি বিকল্প পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, জাতীয় শিল্পমেলা দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বাজার সম্প্রসারণে বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ, আকৃষ্ট ও উৎসাহিত করতে ইতিবাচক অবদান রাখবে। শেখ হাসিনা বলেন, প্রথম জাতীয় শিল্পমেলায় এসব দেশীয় পণ্য প্রদর্শন করা হবে বলে জেনে আমি খুশি হয়েছি। আমার বিশ্বাস, এ মেলা দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বাজার সম্প্রসারণে বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ, আকৃষ্ট ও উৎসাহিত করতে ইতিবাচক অবদান রাখবে। তিনি বলেন, মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময়ের সুযোগ তৈরি হবে। ফলে আগামী দিনে বাংলাদেশে গুণগতমানের পণ্য উৎপাদন এবং পণ্য বৈচিত্র্যকরণের প্রয়াস বেগবান হবে। শেখ হাসিনা বলেন, শিল্প খাতে নতুন উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে। দেশের সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। শিল্পের কাঁচামাল আমদানি এবং পণ্য রপ্তানি সহজ করতে দেশে ব্যাপক ভৌত অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স¦প্নের পথ ধরে বাংলাদেশ এখন দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। আমাদের সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ লক্ষ্য অর্জনে দেশে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের ধারা জোরদারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর ফলে সামগ্রিকভাবে শিল্প খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। তিনি বলেন, জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান ২০০৭-০৮ অর্থবছরের ১৭.৭৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৩৩.৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্যে চলমান উদ্যোগের সঙ্গে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয় ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ‘সিআইপি (শিল্প) পুরস্কার’ ও ২০১২ সাল থেকে ‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে আসছে। বিশেষ করে, শ্রমঘন ক্ষুদ্র, কুটির, মাঝারি এবং বৃহৎ শিল্পের বিকাশে নীতি সহায়তা বাড়ানো হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি ও সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ