Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যাংক নষ্টের কারণ ম্যানেজমেন্ট -অর্থমন্ত্রী

পদ্মা ব্যাংকের এজিএম অনুষ্ঠানে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৯, ৬:১৭ পিএম

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্ত টাকার অভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয় না। প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয় তার ম্যানেজমেন্টের কারণে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) প্রথম বার্ষিক ব্যবসা সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ, পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. এহসান খসরু, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল মকবুল, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান লুনা সামসুদ্দোহা, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান ড. মুজিব উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, আর্থিক খাতে কোনো ধরনের অব্যবস্থাপনা বরদাশত করা হবে না। আর যারা অব্যবস্থাপনা করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারও পকেটে দুর্নীতির টাকা যাবে না। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যেকের হিসাব নিরাপদ। কারও কাছে লুজিং মানি যাবে না। যা করবো সততার সাথে করবো। এমনভাবে পলিসি করবো, যাতে সবাই উপকৃত হয়। ব্যাংক কখনো টাকার অভাবে বন্ধ হয় না, বন্ধ হয় প্রতিষ্ঠানের অব্যবস্থাপনার কারণে। তাই বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দিতে হবে।

পদ্মা ব্যাংক আরও এগিয়ে যাবে প্রত্যাশা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকটির পুরো ব্যবস্থাপনাকে সংস্কার করা হয়েছে। একটি দক্ষ টিম এর দায়িত্ব নিয়েছে। আশা করছি এটি ভালো করবে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। আগামী পাঁচ বছর সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আমাদের কাজ করতে হবে। ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আর পিছন দিকে তাকানোর সুযোগ নেই। এ বছর আমাদের রেকর্ড পরিমাণ মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে। এখন ৮ দশমিক ১ শতাংশ অর্জন হয়েছে। আরও কয়েক মাস বাকি রয়েছে। আশা করছি প্রবৃদ্ধি আরো বাড়বে। এটি হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, সবসময় আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাবো। তখন আমাদের রফতানিমুখী অর্থনীতিতে প্রবেশ করতে হবে। এজন্য, কর্মসংস্থানের যোগান দিতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরের ক্রেডিট গ্রোথ বাড়িয়ে ২৭ শতাংশে যেতে হবে। সবমিলিয়ে ব্যাংকিং সেক্টরের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান আছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংকে টাকা রেখে ভয়ের কিছু নেই। কিন্ত কিছু ব্যক্তি ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে আর ফেরত দেয় না এটা ঠিক নয়। এসব ব্যক্তিদের কঠোরভাবে ধরতে হবে। অন্যদিকে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মানি লন্ডারিং করেছে আমরা তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরেছি। বাকিদের ধরার কাজ চলছে। এজন্য, সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে ব্যাংক ও সরকারকে আরও বেশি সোচ্চার হতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অর্থমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ