Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতারা অবৈধভাবে বালু লোপাট, প্রকাশ্যে ইয়াবা সেবনে হিরো ! তোলপাড়

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৯, ৭:৩৪ পিএম

সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে নানা অপরাধের অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রাজপথ ছেড়ে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ এখন আলোচিত-সমালোচিত চরিত্রে অবতীর্ণ হয়েছেন। ইতিমধ্যে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মেয়াদোর্ত্তীণ হয়েছে এক বছর আগে। তারপরও অবৈধভাবে পাওয়ার ইক্সসারসাইজ সহ সর্বত্র দাপুটে প্রভাব বিস্তার করছেন অছাত্র মেয়াদোর্ত্তীণ এই ছাত্রনেতারা। উপজেলা ছাত্রলীগের কথিত সভাপতি জুনেদ আহমদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে কুশিয়ারা নদীর বালু লোপাটের অভিযোগ দুদক সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাবরে দেওয়া হয়েছে। প্রায় কয়েক কোটি টাকার বালু জুনেদ এর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নামধারী একটি চক্র উত্তোলন করে নদীর পার ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলেছেন। গত ৬ মাস থেকে বালু লোপাট অব্যাহত রাখলেও প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টরা নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করে। বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে স্থানীয় চাঁনপুর, মল্লিকপুর গ্রামবাসী সংশ্লিষ্টদের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে, সভাপতি জুনেদের পথ অনুসরন করে উপজেলা সেক্রেটারী এ এম ফারহান সাদিকও বালু উত্তোলনে প্রস্তুতি নিয়েছেন স্থানীয় মাইজগাঁও ইউনিয়নের বার হাল নামক স্থানে। প্রায় ৩ কেদার জমিতে বালু উত্তোলনের জন্য প্রস্তুত করেছেন তিনি। তার সাথে রয়েছেন ছাত্রলীগ নামধারী একটি চক্র। গনমানুষের স্বার্থকে উপেক্ষা করে এ কথিত ছাত্রনেতাদের বালু খেকো মানসিকতার বিরুদ্ধে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে স্থানীয়ভাবে। ছাত্রলীগ সেক্রেটারী ফারহান সাদিক স্কুল অধ্যয়নকালীন সময়ে শিবির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। পরে কলেজ আঙ্গিনায় পাড়া দিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেন ছাত্রদলের রাজনীতিতে। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতা হারালে ফারহান জাম্প দিয়ে ২০১০ ইং ছাত্রলীগের ছায়া তলে কৌশলে নিজকে বিলিন করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ইং অনুমোদিত ১ বছর মেয়াদী কমিটির ছাত্রলীগ সেক্রেটারী হয়ে যান ফারহান। সুযোগ সন্ধানী ফারহানের পদ প্রাপ্তির মধ্যে দিয়ে তৃণমুল ছাত্রলীগে শুরু থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কিন্তু তৃণমুলের সেই আওয়াজ পদস্থ নেতাদের কানে পৌছায়নি। বরং ব্যবসায়ী স্থানীয় আ‘লীগ নেতাদের আশ্রয় প্রশয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেন ফারহান। এদিকে, বালু খেকো সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য হ্ওয়ার পাশাপাশি উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আহমদ ইমনের ইয়াবা সেবনের ছবি ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। ছাত্রলীগ নেতার এ পদস্থখলন নিয়ে গ্রামীণ জনপদে তোলপাড় উঠে। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতা সে। তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হলেও নীতিনির্ধারকদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। বরং এই নেতারা ইয়াবা সেবন শুধু করছেন না, মাদক ব্যবসায় নিজদের কৌশলে জড়িত করেছেন অতি গোপনে, পর্দার আড়ালে। সাধারন মানুষ অসহায়, ইমেজ সংকটে ছাত্রলীগের স্থানীয় রাজনীতি। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির ১৭ সদস্যের মধ্যে কারোই ছাত্রত্ত্ব নেই বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রকৃত ছাত্ররা, পদহীন ভাবে কোনঠাসা। অছাত্রদের হাতে ছাত্রলীগের রাজনীতি, সেই অছাত্ররা এখন বেপরোয়া, নিজেদের আখের গোছাতে দল ও দলের ভার্বমূর্তি তাদের স্বার্থের নিকট তুচ্ছ করে তোলেছেন তারা। এ নিয়ে আফসোস প্রকৃত ছাত্রনেতাদের মধ্যে। অপরদিকে সাধারন মানুষ বিরক্ত এই কথিত ছাত্রলীগ নেতাদের উৎপাতে।
মাদক সেবনের ছবি ভাইরাল হ্ওয়া কথিত ছাত্রলীগ নেতা ইমনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন, তবে কথা বলতে রাজি হননি।

এব্যাপারে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রিয় নেতা ও উপজলা আ‘লীগের সেক্রেটরী আব্দুল বাছিত টুটুল বলেন, বিষয়টি চরম নিন্দনীয়। আমরা বিব্রত, এরা সুযোগ সন্ধানী ্ও বঙ্গুবন্ধুর আর্দশের সাথে বেঈমানী করছে। কথিত এ ছাত্রনেতারা চারিত্রিকভাবে শুধু দেউলিয়া হয়নি, দলের ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিকট অপকর্মের তথ্য উপাত্তসহ লুঠেরা, দলে উড়ে আসা কাউয়া ও মাদবসেবী কথিত এ নেতাদের বিরুদ্ধে নিজ উদ্যোগে বিবেকের তাড়নায় অভিযোগ করে প্রতিকার প্রত্যাশা করবেন বলে জানান সাবেক ছাত্রনেতা টুটুল।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিলেট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ