Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সোনাইমুড়ীতে দুই সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ, আটক ২

সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের আলোচিত গণধর্ষণের ঘটনার দাগ না মুছতেই এবার সোনাইমুড়ীতে দুই সন্তানের জননী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বারগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা আবদুল বাকী বাদী হয়ে ৪ জনকে বিবাদী করে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে আটক করে শুক্রবার কোর্টে প্রেরণ করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব নাটেশ্বর গ্রামের ওই মেয়ের সাথে তার স্বামীর ডিভোর্স হওয়ার পর ২ ছেলে সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন। গত ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সে অভিমান করে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বাবার বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে অটোরিক্সা ড্রাইভার আলাউদ্দিন গন্তব্যে পৌঁছাবে বলে বারগাঁও নিজাম উদ্দিন বাচ্চুর দোকানে নামিয়ে দেয়। পরে রাত গভীর হলে বারগাঁও গ্রামের আশিক উল্যাহ মিয়াজি বাড়ির আমিনুল ইসলাম মিন্টুসহ তার প্রতিবেশি অস্ট্রিয়া প্রবাসী কাশেমের পরিত্যক্ত বাথরুমে চারজন মিলে ভিকটিমকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। ধর্ষিতার পিতা আবদুল বাকী মেয়েকে না পেয়ে ১০ এপ্রিল সোনাইমুড়ী থানায় একটি ডায়েরি করেন। গত বুধবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার বারগাঁও দৌলতপুর গ্রামে একটি মাছের প্রজেক্টে পানিতে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় লোকজন দেখতে পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানকে জানালে তিনি থানায় খবর দেন। সোনাইমুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভিকটিমকে উদ্ধার করেন।
একইদিন রাতে বারগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বারগাঁও গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আমিনুল ইসলাম মিন্টু ও একই গ্রামের উজির আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন বাচ্চুকে আটক করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইমদাদুল হক জানান ধর্ষিতা মানসিক ভারসাম্যহীন, তার ঠোঁটের উপরে থেঁতলানো দাগ রয়েছে। তাকে মেডিকেল পরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদ সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। অপর ২ ধর্ষক একই গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে আলা উদ্দিন ও হানিফের ছেলে নূরনবী তারেক পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
খবর পেয়ে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন অ্যান্ড ক্রাইম) দিপক জ্যোতি খিসা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ধর্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ভিক্টিমের পিতা আবদুল বাকী বলেন, আমার মেয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের পর মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। সে এখন প্রায় মৃত্যু পথযাত্রী। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ