Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘সংস্কৃতির জন্য নদী বাঁচাতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে দেশের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমিতে ইরান কালচারাল সেন্টার আয়োজিত ইরানি নওরোয (নববর্ষ) ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। খালিদ মাহমুদ বলেন, সবকিছু ইট পাথর দিয়ে ঘেরা হয়ে গেলে আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি দুর্বল হয়ে যাবে। আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হলে প্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে। নদীকে বাঁচাতে হবে। আমাদের গ্রামগুলোকে বাঁচাতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অন্য দেশের ভাষা ও সংস্কৃতিকে মর্যাদা দেয়। বাংলাদেশের ভাষা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য রয়েছে। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেছেন। সংস্কৃতিকে লালন করে আমাদের জ্ঞানার্জনকে বিকশিত করতে পারলে বিজ্ঞান সমৃদ্ধ হবে, মানব জাতি উপকৃত হবে। আলোর পথে দৃষ্টি প্রসারিত করে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা শান্তি ও স¤প্রীতির মানবতার পতাকা উড়িয়ে বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সংস্কৃতিকে লালন করে আমাদের জ্ঞানার্জনকে বিকশিত করতে পারলে বিজ্ঞান সমৃদ্ধ হবে, মানব জাতি উপকৃত হবে। আলোর পথে দৃষ্টি প্রসারিত করে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন। উন্নত দেশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। দেশ ও প্রকৃতি কিভাবে রক্ষা হবে তার জন্য তিনি ডেল্টা প্ল্যান দিয়েছেন। নদী রক্ষার কথা তিনি দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। আমরা মনে করি এ দেশের সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হলে দেশের নদীকে রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার আবহমান গ্রাম বাংলার প্রকৃতি সেটাকে মেলে ধরার জন্য, রক্ষা করার জন্য ইতিমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আপনারা যারা ঢাকার মানুষ তারা দেখতে পেরেছেন, আমরা বড় একটি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি।
ঢাকার নদীগুলোকে দখল করা হয়েছিল, তার নাব্যতা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল নদী দূষণ হয়েছিল। আমরা ইতিমধ্যে একটা মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। পাঁচ, তিন ও দুই বছর মেয়াদী। আমরা বুড়িগঙ্গা, বালু, শীতলক্ষা ও তুরাগকে পুরাতন আবহ আমরা ফিরিয়ে আনব।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ইরানি ভিজিটিং প্রফেসর ড. কাজেম কাহদুয়ী, বিশিষ্ট নাট্য অভিনেতা ও পরিচালক মামুনুর রশীদ এবং ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর ড. মাহদী হোসেইনী ফায়েক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নদী

২৬ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ