Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কাদিয়ানীদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে পঞ্চগড়ে খতমে নবুওয়াত সম্মেলনে আহমদ শফী

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

হেফাজতে ইসলামের আমির ও আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী বলেছেন, কাদিয়ানীরা মুসলমান নয়। তারা অমুসলমান। কাদিয়ানীদেরকে যারা অমুসলমান মনে করবে না তারাও অমুসলমান। বহু শিক্ষিত সমাজ এদেরকে মুসলমান মনে করে। তারা বলে এরাও তো নামাজ কালাম পড়ে। তাহলে তারা মুসলমান নয় কেন? তারা এজন্য কাফের। কারণ তারা আমাদের নবীকে শেষ নবী মানে না। সেজন্য তারা কাফের। যারা এদেরকে কাফের বলবে না তারাও কাফের। সৌদি আরব, পাকিস্তানসহ অন্য রাষ্ট্রে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। আমরাও হাসিনা সরকারকে বলার চেষ্টা করব কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে খতমে নবুওয়ত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সকালে সরাসরি হেলিকপ্টার যোগে আল্লামা শাহ আহমদ শফি পুলিশ লাইন মাঠে নেমে পঞ্চগড় সার্কিট হাউজে পৌছান। পরে সার্কিট হাউজ হতে সমাবেশ স্থলে পৌছান। বক্তব্য শেষে তিনি আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করে হেলিকপ্টার যোগে পঞ্চগড় ত্যাগ করেন।
তিনি আরও বলেন, এদেরকে মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করা যাবে না। টাকা পয়সার দিকে লক্ষ করে এদের মেয়েকে বিয়ে করতে পারবেন না। তাদের ছেলেদেরকেও মেয়ে দেয়া যাবে না। যারা টাকা পয়সা পেয়ে কাদিয়ানী হয়ে গেছে তাদের আবার ইসলাম ধর্মের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে হবে। কিছু টাকা পয়সা দিয়ে দোজখের ভয় দেখালে সহসাই তারা ইসলামের পথে ফিরে আসবে। তাদের মুসলমান বানাবার চেষ্টা করেন। বক্তব্যের পর তিনি মোনাজাত পরিচালনা করেন। এর আগে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছেলে কওমি শিক্ষা বোর্ডের মহা পরিক্ষক মাও. আনাস মাদানি। সম্মেলনে খতমে নবুয়তের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সম্মিলিত খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ পরিষদের উপদেষ্টা ড. আব্দুর রহমান।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত স¤্রাটের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন খতমে নবুয়ত মারকাযের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাও. মুফতি শুয়াইব ইব্রাহিম, ইন্টারন্যাশনাল খতমে নবুওয়ত মুভমেন্ট বাংলাদেশ’র আমীর মাহমুদুল হাসান মমতাজী, জামিয়া ইসলামিয়ার অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ’র সভাপতি আল্লামা আব্দুল হামিদ, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব ড. আ.স.ম শোয়াইব আহাম্মদ, আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ’র সেক্রেটারী জেনারেল ও জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম মাদরাসার অধ্যক্ষ আল্লামা নুরুল ইসলাম, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র তৌহিদুল ইসলাম,পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আমীরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনে বিভিন্ন জেলা উপজেলা হতে লক্ষাধিক লোক সম্মেলনে সমবেত হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড় শহর র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাদিয়ানী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ