Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সুদানে বিক্ষোভ অব্যাহত, বশির জেলখানায়, দুই ভাই গ্রেফতার

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

সুদানে ৩০ বছরের শাসক ওমর আল বশির এখন জেলখানায়। ক্ষমতা এখন সেনাবাহিনীর হাতে। তবে তা বেসামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে সুদানের রাজধানী খার্তুমে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের দুই ভাইকে। তারা হলেন আবদুল্লাহ আল বশির ও আলাবাস আল বশির। অন্তর্বর্তী সামরিক কাউন্সিলের মুখপাত্র শামস আল দিন কাবাশি বলেছেন, তাদেরকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। সাবেক শাসক ওমর আল বশিরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার দাবির প্রেক্ষিতে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল-জাজিরা। বিভিন্ন সূত্রে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, সাবেক প্রেসিডেন্টকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে তাকে খার্তুমের উত্তরে কোবার জেলখানায় স্থানান্তর করেছে কর্তৃপক্ষে। এমন খবরের পর সামরিক কাউন্সিল থেকে ওই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সুদানের সাবেক একজন মন্ত্রী বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে মঙ্গলবার রাতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সম্বলিত একটি জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোবার জেলখানার একজন প্রহরী এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন আল জাজিরার কাছে। তিনি বলেছেন, আমি দেখেছি প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে কয়েক ডজন সেনা কর্মকর্তা নিয়ে এসেছেন। তবে তারপর তাকে কোথায় রাখা হয়েছে বা কি হয়েছে তার পরিণতি সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। দারফুরে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযুক্ত ওমর আল বশির। তারা তাকে তাদের হাতে তুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু এ আহ্বানে সাড়া দেবে না বর্তমান সেনাবাহিনী। তারা বলেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হাতে তাকে তুলে দেয়ার পরিবর্তে দেশেই বিচার করা হবে। ওদিকে শত শত মানুষ রাজপথে বিক্ষোভ করছে প্রতিদিন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। বুধবার তারা সেনা সদর দপ্তরের বাইরে দিনব্যাপী অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। এ সময় তাদের বেশির ভাগের পরনে ছিল সাদা কোট। উড়িয়েছেন সুদানের পতাকা। স্লোগান দিয়েছেন- স্বাধীনতা, শান্তি, ন্যায়বিচার ও বিপ্লব হলো জনগণের পছন্দের বিষয়। এদিন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার দাবিতে খার্তুমে আলাদা একটি র‌্যালি বের করেন সাংবাদিকরা। ২২ বছর বয়সী মেডিকেল পড়ুয়া শিক্ষার্থী আয়া আবদেল আজিজ বলেছেন, খার্তুম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়েছে এই বিক্ষোভ। তিনি এতে যোগ দিয়েছেন নারীদের অধিকারের দাবিতে। পাশাপাশি ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দেয়ার দাবিতে। আমাদের দাবি হলো অন্তর্র্বতী বেসামরিক কাউন্সিলে নারী প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে। খালিদ মোহাম্মদ নামে একজন চিকিৎসক বলেছেন, আমরা বশিরকে বিতাড়িত করেছি। কিন্তু এখনও আমরা তার শাসনযন্ত্র থেকে মুক্তি পাইনি। এই আন্দোলনের পুরোভাগে আছে সুদানিজ প্রফেশনালস এসোসিয়েশন। তারা সামরিক কাউন্সিলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, ক্ষমতা অন্তর্র্বতী বেসামরিক সরকারের হাতে অবিলম্বে তুলে দিতে, যে সরকার চার বছর দেশ শাসন করবে। এই গ্রুপটির আশঙ্কা, ওমর আল বশিরের নিয়োগ দেয়া সেনাবাহিনী ক্ষমতায় ঝুলে থাকার চেষ্টা করবে অথবা তাদের অনুগত কাউকে নির্বাচিত করবে। আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ