Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ডিপিডিসি-ডেসকো বিরোধ তুঙ্গে

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বাংলাদেশের এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এলাকা (সীমানা) নির্ধারণ করে দিলেও ডিপিডিসি-ডেসকো কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। এ নিয়ে ঢাকার দুই বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি বিরোধ এখনো তুঙ্গে। এ দিকে বিষয়টি সমাধানে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের নির্দেশও মানছে না বিতরণ কোম্পানি।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ডিপিডিসির অনুকূলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) লাইসেন্সের ভৌগলিক এলাকা অনুসারে মিরপুর রোডের পুব পাশে নিউরোসায়েন্স, বাংলাদেশে বেতার ও ন্যাশনাল আই ইনস্টিটিউটের মতো বড় বড় গ্রাহকদের ডেসকোর অনুকূলে হস্তান্তর করা হলেও ডিপিডিসির ভৌগলিক এলাকার অর্থাৎ মিরপুর রোডের পশ্চিম পাশে গাবতলী, কল্যাণপুর, তুরাগ হাউজিং,দারুস সালামসহ আশেপাশের এলাকাগুলো এখনও ডেসকোর কাছে হস্তান্তর করেনি। যদিও এ ব্যাপারে সমন্বয় সভায় সচিব নির্দেশ দিয়েছেন।
বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী এক কোম্পানির এলাকায় অন্য কোম্পানি বিদ্যুৎ বিতরণ করতে পারে না। কিন্তু এখনও দেশের কোথাও কোথাও এই সমস্যা রয়েছে। সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু বিতরণ কোম্পানিগুলো অনেক ক্ষেত্রেই মন্ত্রণালয়কে পাত্তা দিচ্ছে না। আবার কোথাও কোথাও তারা নিজেরা উচ্চ আদালতে গেছে। শ্রমিকদের দিয়ে আন্দোলন সৃষ্টি করে পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টাও হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে এমন বিরোধ থাকা দুঃখজনক বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান ইনকিলাবকে বলেন, কিছু কিছু এলাকায় আমাদের সঙ্গে ডেসকোর সঙ্গে সমাধান হয়নি। সেসব এলাকা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, বিইআরসি ২০০৮ সালে যখন লাইসেন্স দেয় তখন ভৌগলিক এলাকা (সীমানা) নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। তাতে গাবতলীর রাস্তার পশ্চিম পাশের এলাকায় ডিপিডিসিকে দেওয়া হয়। বেতার, নিউরোসায়েন্সসহ আশেপাশের এলাকায় ডেসকোকে দেওয়া হয়। ওই সময় ডিপিডিসি ডেসকোকে তাদের এলাকা বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু ডেসকো এখনও আমাদের এলাকা বুঝিয়ে দেয়নি। বিকাশ দেওয়ান বলেন, বিষয়টি আমরা এখন মন্ত্রণালয়ের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দেবে তা মেনে নেয়া হবে।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহিদ সারওয়ার ইনকিলাবকে বলেন, ডিপিডিসির কাছ থেকে তো ডেসকো এলাকা বুঝে নেয়নি। ১৯৯৪ সালে যখন ডেসা থেকে ডেসকো আলাদা করা হয়, তখনই এই এলাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা সেভাবেই পরিচালনা করছি। গাবতলীর খালের পাশ দিয়ে রাস্তা হয়েছে। সেই রাস্তার কারণে কিছু এলাকা রাস্তার ওপারে পড়েছে। কিন্তু এলাকা তো ডেসকোর। ডেসার আমল থেকেই যত কাগজপত্র আছে সব আমাদের নামেই রয়েছে। সেই সময়েই সম্পত্তিসহ সব আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি বলেন, কাগজপত্র অনুযায়ী সব গ্রাহক, সব লাইন ডেসকোর। ডেসা থেকেই ডেসকোর জন্ম।
শাহিদ সারওয়ার বলেন, ভৌগলিক এলাকা (সীমানা) নিয়ে কোনও বিরোধ নেই। এর বিনিময়ে ডিপিডিসিকে শেয়ার দেওয়া হয়েছে। ডেসকোর প্রায় ১৭৯ কোটি টাকার শেয়ার পিডিবির পরিবর্তে ডিপিডিসিকে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় আমরা কেন ডিপিডিসিকে জায়গা বুঝিয়ে দেবো? ওটা ওদের এলাকায় নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিপিডিসি-ডেসকো
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ