Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নওগাঁর সাপাহারে খাড়ী খননে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডির মধ্যে রশি টানাটানি

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ৭:২১ পিএম

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবাই বিলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া কয়েকটি খাড়ি খনন কাজ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর মধ্যে রশি টানা টানি শুরু হয়েছে। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে প্রতি বছর খরা মৌসুমে জবাই বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে ওই এলাকার কৃষকগন জবাই বিলের বুকচিরে বয়ে যাওয় তেলী খাড়ী, তারাচাঁন খাড়ী ও দোহারা খাড়ীর তলদেশ হতে পানি সেচের মাধ্যমে বোরো চাষাবাদ করে থাকে। প্রতিবছর ভারতের উজান থেকে বয়ে আসা পলি জমে খাড়ীগুলি ভরাট হয়ে যাওয়ায় খাড়ী এলাকার দু’পাশের হাজার হাজার হেক্টর জমি সেচের অভাবে শুকিয়ে ধান চাষাবাদে বিঘ ঘটে। কৃষকদের এ সমস্যা থেকে উত্তোলনের লক্ষে পানি উন্নয়ন বোর্ড এফ সি ডি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যায় সাপেক্ষে বিলের তেলী খাড়ি থেকে দোহারা খাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার খাড়ির পুনঃ খনন প্রকল্প গ্রহণ করেন। সে অনুযায়ী গত ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের নিযুক্ত ঠিকাদারে মাধ্যমে খনন কাজ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার জবাই বিলের দোহারা খাড়ির বাখর পুর ব্রীজের নিকট এ্যাসকেভিটর মেশিন দিয়ে খনন কাজ করতে গেলে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির) ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত দোহারা তারাচান খাড়ি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতিরই নেতৃবৃন্দ পানি উন্নয়ন বোর্ডের খনন কাজে বাধা প্রদান করে। এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজি ইডি এবং এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সংবাদ পেয়ে সাপাহার থানা পুলিশের এস আই মোজাম্মেল হক ঘটনা স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ বিষয়ে দোহারা খাড়ি তারাচান খাড়ি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির নেতা সামশুদ্দীনের সাথে কথা হলে তিনি দাবী করেন যে ওই খাড়িকে ঘিরে এলজিইডির পরিচালিত পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির উন্নয়ন কর্মকান্ড চালু রয়েছে। প্রায় প্রতিবছর তারা ওই খাড়ীর পলি অপসারণ করে থাকেন। সম্প্রতি আবারো এলজিইডির তত্বাবোধানে পলি অপসারন প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে তাই দোহারা খাড়ি ও তারাচাঁন খাড়ির খনন কাজ এলজিইডির তত্বাবোধানে স্থানীয় পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির করবে। এলাকার কৃষকগন জানিয়েছেন প্রতিবছর তারা খাড়ী হতে শুধু কাদা মাটিটুকুই অপসারণ করে থাকে বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিশালাকারে ৬৬ফিট প্রশস্ত ও ৬ফিট গভীর করে খাড়ী গুলির খনন কাজ করছে, এতে করে বিল শুকিয়ে গেলেও খাড়ীর তলদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি জমা থাকবে। পক্ষান্তরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবোধানে পানি ব্যবস্থাপনা সমিতি প্রতি বছরই খাড়ী হতে শুধু কাদা মাটিটুকু অপসারণ করে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্নসাত করে থাকেন তাই তারা জবাই বিলের এই ১৪ কিলোমিটার খাড়ি খনন কাজ টি সরকারী ভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর তত্বাবোধানে সমাপ্ত করার পক্ষে কথা বলেন। বর্তমানে এ নিয়ে সরকারী ভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডির নামে একই প্রকল্প অনুমোদন দেয়ার কারনে দু’টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রশি টানাটানি শুরু হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নওগাঁ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ