Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সৌম্যর ইতিহাসে শিরোপা হাসি

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

প্রাথমিক পর্বের শেষ দিকে টানা দুই হারে কাজটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল আবাহনীর। সুপার লিগে ঘুরে দাঁড়ায় তারকা খচিত দলটি। সেরা ছয় দলের লড়াইয়ে টানা পাঁচ জয়ে শিরোপা ধরে রাখল মোসাদ্দেক হোসেনের দল। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের আশা চূর্ণ করে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শিরোপা ধরে রেখেছে আবাহনী লিমিটেড। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ও সব মিলে রেকর্ড বর্ধিতকরণ ১৮বার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলো দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী দলটি।

গতকাল সাভারে শেষ রাউন্ডের ম্যাচে জয়ের জন্য আবাহনীকে ৩১৮ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দেয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। দুই ওপেনারের তান্ডবে ১৭ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মোসাদ্দেক হোসেনের দল। রেকর্ড ৩১২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে সৌম্য সরকার অপরাজিত থাকেন ২০৮ রানে। ১০০ রানে করে ফেরেন জহুরুল ইসলাম। দেশের লিস্ট-এ ক্রিকেটে যেকোন উইকেটে তিনশো রানের জুটির প্রথম নজিরও এটি। শুধু তাই নয়, রান তাড়ায় এটি বিশ্বরেকর্ডও!

লিস্ট-এ ক্রিকেটে বাংলাদেশিদের মধ্যে এক ইনিংসে ১১ ছক্কার আগের রেকর্ডেও মাশরাফির সঙ্গে যৌথভাবে ছিল সৌম্যর নাম। এবার খুনে ব্যাটিংয়ে একের পর এক ছক্কায় সেই রেকর্ডও ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। রান তাড়ায় নেমে বিস্ফোরণ শুরু করেন সৌম্য। ৭৮ বলে পৌঁছে যান তিন অঙ্কে। তখনই মেরে দিয়েছেন ৮ ছক্কা। পরে ডাবল সেঞ্চুরি করে মেরেছেন ১৬ ছক্কা।
সেঞ্চুরির পর আরও উত্তাল হয়ে উঠে তার ব্যাট। তাইজুল ইসলাম, মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদিদের পিটিয়ে মারতে থাকেন পর পর ছক্কা। তাইজুলকে এক ওভারে তিন ছক্কা মেরে ১০৩ বলে স্পর্শ করেন দেড়শো রান। পেরিয়ে যান রেকর্ডও।

সৌম্যের ধার কমেনি পরেও। ১৪৯ বলে পৌঁছে যান ডাবল সেঞ্চুরিতে। পেরিয়ে যায় ২০১৭ সালে মোহামেডানের হয়ে খেলা রকিবুল হাসানের ১৯০ রানের ইনিংসকে। দলকে জিতিয়ে ১৫৩ বলে ২০৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য। মেরেছেন ১৪ চার আর ১৬ ছক্কা।

এদিকে মিরপুরে বড় জয়ে নিজেদের কাজ সেরে রেখেও লাভ হয়নি রূপগঞ্জের। শিরোপা জিততে তাদের জয়ের পাশাপাশি হারতে হত আবাহনীকে। অথবা রুপগঞ্জের বড় জয়ের বিপরীতে ছোট ব্যবধানে জিততে হত আবাহনীকে। কিন্তু তারকা খচিত আবাহনী কোন সুযোগ না দিয়েই শিরোপা ঘরে তোলে। মোহাম্মাদ নাঈমের সেঞ্চুরিতে ৩২৭ রানের পাহাড় গড়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৮৮ রানে হারায় রূপগঞ্জ। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় মৌসুম রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো রূপগঞ্জকে।

রূপগঞ্জের চেয়ে ৪ পয়েন্টে পিছিয়ে সুপার লিগ শুরু করে আবাহনী। প্রথম পর্বে রূপগঞ্জ ও শেখ জামালের কাছে হেরেছিল তারা। সুপার সিক্স পর্বে রূপগঞ্জের দুই হার আর নিজেদের টানা ৫ জয়ে শিরোপা ধরে রাখে আবাহনী। ১৬ ম্যাচে দুই দলেরই মোট পয়েন্ট ২৬। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় শিরোপা উঠেছে আবাহনীর হাতে।

১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে ঢাকা মেট্রোপলিস প্রথম বিভাগ ক্রিকেট নামে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতার এটি ছিল ৪২তম আসর। প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় আবাহনী। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুম থেকে প্রথম বিভাগ রুপান্তরিত হয় প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে। ২০০৩-০৪ ও ২০১২-১৩ মৌসুমে খেলা হয়নি। আবাহনীর ২০ বারের বিপরীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯বার শিরোপা জিতেছে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী মোহামেডান। দুইবার যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী, একবার করে মোহামেডান ও বিমান।

লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ
ব্যাটসম্যান রান প্রতিপক্ষ সাল ভেন্যু
সৌম্য (আবাহনী) ২০৮* শেখ জামাল ২০১৯ বিকেএসপি
রকিবুল (মোহামেডান) ১৯০ আবাহনী ২০১৭ বিকেএসপি
মুমিনুল (বিসিবি) ১৮২ আয়ারল্যান্ড ‘এ’ ২০১৮ ডাবলিন


এক ইনিংসে সৌম্যর যত কীর্তি
* বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানটা ছিল রকিবুল হাসানের, ২০১৭ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর বিপক্ষে করেছিলেন।

* সৌম্য এদিন ছক্কা মেরেছেন ১৬টি। বাংলাদেশের মাটিতে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে এটিই সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। ২০১১ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেন ওয়াটসন মেরেছিলেন ১৫টি ছক্কা। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ডটি মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে যৌথভাবে সৌম্যও অংশীদার ছিলেন। গত প্রিমিয়ার লিগে অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ব্রাদার্সের বিপক্ষে ১১ ছক্কা মেরেছিলেন।

* ৩১৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সৌম্য-জহুরুল ইসলামের ওপেনিং জুটিতে এসেছে ৩১২ রান। বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটিই সর্বোচ্চ জুটি।

* প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে দ্বিতীয়বারের মতো ডাবল সেঞ্চুরি পেলেন সৌম্য। আগেরটি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে, ২০১২ যুব এশিয়া কাপে কাতারের বিপক্ষে বাঁহাতি ওপেনার করেছিলেন ২০৯ রান।

কার ঘরে কত শিরোপা
ক্লাব শিরোপা
আবাহনী লিমিটেড ২০ বার
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৯ বার
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৬ বার
ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব ৪ বার
ওল্ডডিওএইচএস ক্রিকেট ক্লাব ২ বার
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১ বার
গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স ১ বার
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১ বার
গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্স ১ বার

রোল অব অনার (২০০০ সাল থেকে)
মৌসুম চ্যাম্পিয়ন রানার্সআপ
২০১৮-১৯ আবাহনী রূপগঞ্জ
২০১৭-১৮ আবাহনী রূপগঞ্জ
২০১৬-১৭ গাজী গ্রæপ দোলেশ্বর
২০১৫-১৬ আবাহনী দোলেশ্বর
২০১৪-১৫ প্রাইম ব্যাংক দোলেশ্বর
২০১২-১৩ গাজী ট্যাংক শেখ জামাল
২০১১-১২ ভিক্টোরিয়া ওল্ডডিওএইচএস
২০১০-১১ আবাহনী মোহামেডান
২০০৯-১০ মোহামেডান বিমান বাংলাদেশ
২০০৮-০৯ আবাহনী সূর্যতরুণ
২০০৭-০৮ আবাহনী বিমান বাংলাদেশ
২০০৬-০৭ আবাহনী মোহামেডান
২০০৫-০৬ ওল্ডডিওএইচএস সোনারগাঁও ক্রিকেটার্স
২০০৪-০৫ ওল্ডডিওএইচএস সিটি ক্লাব
২০০২-০৩ ভিক্টোরিয়া মোহামেডান ও সিটি ক্লাব
২০০১-০২ ভিক্টোরিয়া মোহামেডান
২০০০-০১ মোহামেডান আবাহনী
*২০০৩-০৪ ও ২০১২-১৩ মৌসুমে লিগ হয়নি

আসরের সেরা ৫
ব্যাটসম্যান ম্যাচ রান সর্বোচ্চ গড় স্ট্রাইক ১০০/৫০
সাইফ হাসান (দোলেশ্বর) ১৬ ৮১৪ ১৪৮* ৬২.৬১ ৭৯.৩৩ ৩/৪
মোহাম্মদ নাইম (রূপগঞ্জ) ১৬ ৮০৭ ১৩৬ ৫৩.৮০ ৯৪.৩৮ ৩/৫
রকিবুল হাসান (মোহামেডান) ১৬ ৭৮১ ১০২ ৬০.০৭ ৯৬.০৬ ১/৮
জহুরুল ইসলাম (আবাহনী) ১৫ ৭৩৫ ১৩০ ৫৬.৫৩ ৭৭.৭৭ ৩/৩
ফজলে মাহমুদ (ব্রাদার্স) ১৩ ৬০৩ ১৪৯* ৭৫.৩৭ ৮৫.৫৩ ৩/২

বোলার ম্যাচ উই. সেরা গড় ইকো. ৪/৫
ফরহাদ রেজা (দোলেশ্বর) ১৬ ৩৮ ৫/৪০ ১৬.৩৯ ৪.৫৩ ৩/১
মোহাম্মদ শহীদ (রূপগঞ্জ) ১৫ ২৭ ৪/২২ ২১.০৩ ৪.৩০ ২/০
সাইফউদ্দিন (আবাহনী) ১৩ ২৫ ৫/৯ ১৯.৮৪ ৪.৫৮ ০/২
হাসান মুরাদ (বিকেসেপি) ১৩ ২২ ৪/৩০ ২১.১৮ ৩.৭৫ ১/০
রবিউল হক (খেলাঘর) ১১ ২২ ৫/৪১ ২২.৭২ ৪.৭৯ ০/২

 

শূন্য রানের রাজা টার্নার
স্পোর্টস ডেস্ক : একটা বিশ্ব রেকর্ড কে না চায়! তবে অ্যাশটন টার্নার যে রেকর্ডটা গড়লেন, তা নিশ্চিতভাবেই তিনি চাননি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা পাঁচ ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার বিব্রতকর রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন এই অস্ট্রেলিয়ান। আইপিএলে গত সোমবার রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে মুখোমুখি প্রথম বলেই আউট হন টার্নার। এই নিয়ে আইপিএলে টানা তিন ইনিংসে গোল্ডেন ডাক মারলেন।

টার্নারের টানা পাঁচ শূন্যের শুরুটা হয়েছিল গত ৯ ফেব্রæয়ারি বিগ ব্যাশে, পার্থ স্করচার্সের হয়ে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মেরেছিলেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান এরপর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচেও দলে ছিলেন, তবে ব্যাটিংয়ে নামার প্রয়োজন হয়নি। এবার তিনি আইপিএলে টানা তিন ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলেন। এই ম্যাচের আগে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে।

আইপিএলে টানা তিন ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান টার্নার। তার আগে এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল অশোক ডিন্ডা, রাহুল শর্মা, গৌতম গম্ভীর, পবন নেগি ও শার্দুল ঠাকুরের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা চার ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড আছে মোট ১০ জনের।


৩০ মিনিটেই শেষ পিএসজি’র নটর ডেম টি-শার্ট
স্পোর্টস ডেস্ক : প্যারিসের মধ্যযুগীয় ক্যাথেড্রাল নটর ডেম এর ইমেজ সম্বলিত প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই এক হাজার টি-শার্ট মাত্র আধা ঘন্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের লোগো বাদ দিয়ে নটর ডেম এর ছবি দিয়ে পিএসজি একটি টি-শার্ট তৈরী করে। বিক্রির সমুদয় অর্থ জরুরী কাজে ব্যবহারের জন্য ফ্রেঞ্চ ফায়ার সার্ভিসের হাতে তুলে দেয়া হবে বলে ক্লাব সূত্র নিশ্চিত করেছে।

রোববার মোনাকোর বিপক্ষে জয়ের মধ্য দিয়ে লিগ ওয়ানের শিরোপা নিশ্চিত করেছে পিএসজি। ঐ ম্যাচে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা যে জার্সি পরেছিল তারই আদলে টি-শার্টটি বানানো হয়েছিল। টি-শার্টের পিছনে খেলোয়াড়দের নামের জায়গায় ‘নটর-ডেম’ লেখা ছিল।

এক টুইটারে পিএসজির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এক হাজার টি-শার্টের মধ্যে ৫০০টি ইন্টারনেটে, ২৫০টি মেগাস্টোরে ও ২৫০টি চ্যাম্পন্স-এলিসেসে বিক্রি করা হয়েছে।

প্রতিটি শার্টের মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ ইউরো (১২২ মার্কিন ডলার)। তবে ফায়ার সার্ভিসের সাথে সম্পৃক্ত চ্যারিটিতে সর্বমোট কত টাকা দেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে পিএসজি নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি।। গত সপ্তাহে সোমবার ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডে ৮৫০ বছরের পুরনো নটর ডেম ক্যাথেড্রালের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।


সরফরাজের কাছে সব প্রতিপক্ষই ভারত!
স্পোর্টস ডেস্ক : আর কয়দিন বাদেই বিশ্বকাপ। ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তান বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি নিবে ইংল্যান্ডে। সেখানে ৫টি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা। মূল মঞ্চে তাদের মুখোমুখি হতে হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতেরও। উত্তাপ ছড়ানো সেই ম্যাচ নিয়ে যখন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজকে প্রশ্ন করা হলো, তখন চর্চিত হাইপটাকে পাত্তা দিলেন না। বললেন বিশ্বকাপের ৯টি দলের সঙ্গে একই গুরুত্ব নিয়ে খেলবে পাকিস্তান। তাই সব প্রতিপক্ষকেই মনে করছেন ভারত হিসেবে!

বৈশ্বিক মঞ্চ ছাড়া খুব একটা দেখা হয় না ভারত ও পাকিস্তানের। কাশ্মির নিয়ে সা¤প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দুই দলের সম্পর্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে আরও বৈরী। তাই মূল মঞ্চে লড়াইয়ের আগে কথার লড়াইয়ে উত্তাপ ছড়াতে চাইলেন সরফরাজ। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দ্বৈরথ নিয়ে যখন নানা আলোচনা, তখন এই ম্যাচ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সরফরাজের উত্তরটা ছিলো এমন, ‘আমাদের জন্য ৯টি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সব ম্যাচকে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ হিসেবে মনে করবো।’

বিশ্বকাপে পাকিস্তান তাদের মিশন শুরু হবে ৩১ মে। তাদের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সা¤প্রতিক ফর্মে খুব একটা ভালো অবস্থাতেও নেই তারা। তাই আন্ডারডগ তকমায় বিশেষায়িত করা হচ্ছে পাকিস্তানকে। এমন বিশেষণ নিজেও উপভোগ করছেন সরফরাজ। যদিও এখান থেকে ইতিবাচক রসদ খুঁজে নিচ্ছেন তিনি, ‘দেখুন যখন আমরা ফেভারিট হিসেবে যাই তখনই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। যদি আন্ডারডগ হয়ে যাই, তাহলে বাকিরা ভয় পায়। তাই মনে করি এভাবে গেলে চাপটা আমাদের ওপর থেকে নেমে যায়।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিরোপা

১৬ অক্টোবর, ২০২২
১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ