Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘আইও-প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এক মামলায় হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া বগুড়ার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এক মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করায় মামলা-সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ না করায় মামলা-সংশ্লিষ্ট পিপির (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বগুড়া সদর থানায় করা এক মামলায় সরকারের অনুমোদন ছাড়াই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে উল্লেখ করে এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানিতে গতকাল বুধবার হাইকোর্ট বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আসামি রফিকুল ইসলাম ওরফে রুবেলের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তারিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহবুব মোর্শেদ।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গিয়ে ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট বগুড়া সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ওই মামলার তদন্তের সময় একই বছরের ২৪ আগস্ট রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। ২৪ নভেম্বর রফিকুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ২০১৫ সালে মামলাটি বগুড়ার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৪-এ বদলি করা হয়। ওই মামলায় বিচারিক আদালতে রফিকুল জামিন চাইলে ২০১৮ সালের ৬ জুন তা নামঞ্জুর হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন রফিকুল। এর ওপর গতকাল শুনানি হয়। এ মামলায় ৫ বছর ধরে রফিকুল কারাবন্দি আছেন।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহবুব মোর্শেদ বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইন (সংশোধন) ২০১৩-এর ৪০-এর ২ উপধারা অনুসারে অভিযোগপত্র দাখিলের আগে সরকারের অনুমোদন নিতে হয়। অথচ ওই মামলায় অনুমোদন ছাড়াই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে এবং অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এই যুক্তিতে জামিন আবেদন করা হলে হাইকোর্ট রফিকুলকে জামিন দিয়েছেন। রফিকুলের আইনজীবী তারিকুল ইসলাম বলেন, মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর এখন সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ