Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব গেলে গৃহীত হতে সময় লাগবে না

ঢাবিতে দিনব্যাপী সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারে গবেষকদের পক্ষ থেকে সমুদ্র গবেষণার যে কোনো প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেলে তা গৃহীত হতে সময় লাগবে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ. মান্নান। গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে ‘সাসটেইনেবল ব্ল ইকোনমি ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অফ বাংলাদেশ’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। দেশের সম্পদকে কাজে লাগানোর জন্য ঢাবির সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকদের ব্যাপক চর্চা ও গবেষণার আহ্বান জানিয়ে সম্মেলনে উপস্থিত গবেষকদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশির নিচে প্রচুর সম্পদ রয়েছে। এসব সামুদ্রিক সম্পদ সম্পর্কে আমাদের পর্যাপ্ত ধারনা এবং তথ্য নেই। এসব সম্পদ আহরণের জন্য আমাদেরকে ব্যাপকভাবে অনুসন্ধান, জরিপ ও গবেষনা করতে হবে। সমুদ্র সম্পদ গবেষণার জন্য আপনারা মন্ত্রণালয় বা দফতর অথবা কমিশন গঠনের কথা বললেন, বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য জাহাজের কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ ধরনের প্রস্তাব গেলে, তা গৃহীত হতে সময় ব্যয় হবেনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবি সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. কাউসার আহাম্মদ। ঢাবি সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগ, গ্রীনটেক ফাউন্ডেশন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ মেরিটাইম রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টের যৌথ উদ্যোগে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাসের উপ-প্রধান মাইকেল সুলথেইস, গ্রীনটেক ফাউন্ডেশন-এর নির্বাহী পরিচালক লুৎফর রহমান এবং সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. জোবায়ের আলম।
এম.এ. মান্নান বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। তাঁরই নেতৃত্বে আমরা জলে, স্থলে ও আকাশে সর্বত্র বিচরণ করছি। আমরা আমাদের দেশের আয়তন নিয়ে আফসোস করতাম যে, আমাদের দেশ কত ছোট। কিন্তু আমাদের ভ‚মি, যতটুকু আমাদের পায়ের নিচে আছে, তার চেয়ে বেশি আছে সমুদ্রে। বিশাল জলরাশি এবং তার নিচে আছে যে বিশাল সম্ভাবনাময় সম্পদ। তিনি বলেন, ব্ল ইকোনমি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু আমাদের বঙ্গোপসাগর সব সময় আছে। আমাদের পূর্ব পুরুষরা সবসময় তাকাতেন পশ্চিম দিকে, আমাদের তাকাতে হবে দক্ষিণ দিকে। তার তাত্তি¡ক জ্ঞানের জন্য আমাদের গবেষণা করতে হবে এবং প্রায়োগিক জ্ঞানের জন্য সমুদ্রে যেতে হবে। এই সমুদ্র আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নের নয়া দিগন্ত। আমাদের অর্থনীতি প্রসারিত হয়েছে ভূমিতে, আকাশে, সমুদ্রে ও সমতলে। আকাশে আমাদের স্যাটেলাইট আছে, সমুদ্রে আমরা ট্যানেল তৈরি করছি, পদ্মা সেতু তৈরি হচ্ছে। সমুদ্র গবেষণায় আমাদের কাছে আপনার প্রস্তাব নিয়ে আসুন। এধরনের কিছু একটা করার জন্য আমরা উন্মুখ হয়ে আছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাবি ভিসি বলেন, আমাদেরকে টেকসই নীল অর্থনীতির মাধ্যমে দেশকে আরও উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমাদেরকে অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রসহ সামুদ্রিক সম্পদ অন্বেষণ ও আহরণ করতে হবে।
তিনি এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান। সম্মেলনের দু’টি আলাদা সেশনে উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, এমপি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জনাব আশরাফ আলী খান খসরু প্রমুখ। এতে দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ