Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মোদির বিরুদ্ধে বারাণসীতে কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:৪৯ পিএম

২০১৯ সালের ভারতের জাতীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বারাণসীতে প্রার্থী হলেন না প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কংগ্রেস বৃহষ্পতিবার ঘোষণা করেছে, বারাণসী কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন অজয় রাই, যিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে ছিলেন। কংগ্রেসের তরফে প্রধানমন্ত্রীর বিরোধী প্রার্থী হিসেবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে প্রায়শই বিবেচনা করা হয়েছে, কিন্তু শেষমেষ অন্য চালই দিল কংগ্রেস। গত সপ্তাহেই, রাহুল গান্ধীকে প্রশ্ন করা হয় প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে কি তার বোনকেই প্রার্থী করা হবে বারাণসীতে? উত্তরে রাহুল রহস্য বজায় রেখেই উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমি এই নিয়ে রহস্যাটাই রেখে দেব। রহস্য সবসময় খারাপ জিনিস নয়।’
ভারতের নির্বাচনের ইতিহাসে এই প্রথম কংগ্রেসের থেকে বেশি আসনে লড়ছে বিজেপি। ২০১৪ সালে, জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাই মাত্র ৭৫,০০০ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন। আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রায় দুই লাখ ভোটে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। তাদের মধ্যে কেউই প্রধানমন্ত্রীর ৫.৮ লাখ ভোটের কাছাকাছিও আসতে পারেননি।
৪৭ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছিলেন, ‘দল যদি আমাকে চায়, তবেই বারাণসী থেকে প্রার্থী হব।’ আখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি ও মায়াবতীর বিএসপির বিরোধী দলীয় জোটের নিজস্ব প্রার্থীও রয়েছে। সমাজবাদী পার্টির হয়ে শালিনী যাদব, এক প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের পুত্রবধূ বারাণসীর বিরোধীদলীয় প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন।
জানুয়ারি মাসে প্রিয়াঙ্কা রাজনীতিতে যোগ দেন এবং উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের প্রচারণার দায়িত্ব নেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে দেওয়া হয়, এরই মধ্যে রয়েছে বারাণসীও। গত মাসে তিন দিন ধরে গঙ্গাবক্ষে নৌকায় প্রচার অভিযানও করেন তিনি। বারাণসীতেই এই নৌ যাত্রা শেষ হয়েছিল।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অবশ্য গুজব ছড়ানো থামাতে কিছুই করেননি। কংগ্রেসের কর্মীরা চেয়েছিলেন তার মা সোনিয়া গান্ধীর নির্বাচনী এলাকা রাইবারেলি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন প্রিয়াঙ্কা। কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে একটি আলোচনায় প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, ‘কেন বারাণসী থেকেই বা লড়ব না?’
উত্তরপ্রদেশে প্রচার চালানোর সময়, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রায়শই মোদিকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীকে মোদি সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়ান কিন্তু নিজের কেন্দ্র বারাণসীকেই সময় দেন না। প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে একের পর এক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আমি বারাণসীর জনগণের কাছ থেকেই শুনতে পেলাম যে পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী একটাও গ্রামে যাওয়ার সময় পাননি, এমনকি তার নির্বাচনী এলাকার একটি পরিবারের কাছেও যাননি। দরিদ্রদের জন্য এই সরকার উদাসীন।’ জাতীয় নির্বাচনের সাত দফার শেষ পর্যায়ে অর্থাৎ ১৯ মে বারাণসীতে ভোটগ্রহণ হবে! ২৩ মে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারতের নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ