Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যাংকিংয়ে ব্লকচেইন ব্যবহারে গুরুত্বারোপ -বিআইবিএমের গোলটেবিল বৈঠক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থাপিত প্রবন্ধে ব্যাংকিংয়ে বøকচেইন ব্যবহারে সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বøক চেইন খুবই সম্ভাবনাময়। বিশ্বের কয়েকটি দেশে এরই মধ্যে জনপ্রিয়তা পেলেও বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হয়েছে মাত্র। মূলত ব্যাংকিংয়ে বøকচেইন হলো আর্থিক ও তথ্য লেনদেনের এক ধরণের ব্যবস্থা। এ বøকচেইন হলো এক ধরণের ডাটা স্ট্রাকচার যা তথ্যেও বিকেন্দ্রীভূত ডিজিটাল লেজার তৈরি করতে কাজ করে। একটি নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের আওতাধীন সকল কম্পিউটার মিলে এই বিকেন্দ্রীভূত লেজার তৈরি করে,যা অত্যন্ত নিরাপদ। গতকাল রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘রেলিভেন্স অব বøকচেইন ফর ব্যাংকস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর ড. বরকত-এ-খোদা। তিনি নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকিংয়ে বøকচেইন ব্যবহারের ওপর জোরারোপ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের প্রফেসর এবং পরিচালক ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী। তিনি তার বক্তব্যে ব্যাংকিংয়ে বøকচেইন ব্যবহার বিষয়টি বিশ্লেষণ করেন।
গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান আলম। চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ গবেষণা সম্পন্ন করেন। গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিআইবিএমের সহকারি অধ্যাপক কানিজ রাব্বী; ইউনাইটেড নেশনস ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (ইউএনসিডিএফ) কান্ট্রি প্রোজেক্ট কো-অডিনেটর মো. আশরাফুল আলম; নাজটেক ইনকর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল আহমেদ নাজ।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বিআইবিএমের নির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি প্রফেসর এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধূরী; বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি প্রফেসর ইয়াছিন আলি; ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের চীফ ডিজিটাল অফিসার শ্যামল বরন দাশ।
এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, একটি নিয়ন্ত্রণমূলক সংস্থা হিসেবে ই-ব্যাংকিং পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়াও ই-পেমেন্ট, ই-ব্যাংকিং, অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউস সিস্টেম এবং মোবাইল ব্যাংকিং চালু করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ইউটিলিটি বিল, অনলাইন অর্থস্থানান্তরসহ বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি ভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রমের অনুমোদন দিয়েছে।
ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, প্রথমে বøকচেইন কি এবং কিভাবে কাজ করে তা ব্যাংকারদের জানতে হবে। অন্য দেশ কিভাবে সুবিধা পাচ্ছে তা জানতে হবে। একই সঙ্গে কিভাবে বøকচেইন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা ব্যাংকারদের জানা খুব জরুরী। এটি না করলে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত পিছিয়ে পড়বে। হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংকিংয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশই বাড়ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ