Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জিএম’র বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) জাঁ নেসার ওসমানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ এনে তদন্ত দাবি করেছেন চট্টগ্রাম বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী কল্যাণ সংস্থার নেতারা। গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন তাহের। এসময় সংস্থার অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আলাউদ্দিন তাহের বলেন, ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। অথচ আজও পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা থাকলেও শুরু থেকেই চক্রান্ত, কর্তাব্যক্তিদের দায়িত্বহীনতা ও দুর্নীতির কারণে চট্টগ্রামবাসীর আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ বেতারে চট্টগ্রামের শিল্পীরা ঢাকায় অনুষ্ঠান করতে পারলেও বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের শিল্পীরা পারছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাহলে কী চট্টগ্রাম কেন্দ্র বাংলাদেশ টেলিভিশনের অধীনে নয়?
চট্টগ্রাম কেন্দ্রের শিল্পী নির্বাচনী পরীক্ষা সরাসরি বিটিভি ঢাকা কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এরপর দেড় দশক অতিবাহিত হলেও এখনো শিল্পীদের তালিকাভুক্তির জন্য অডিশন হয়নি। অথচ এটা চট্টগ্রামের শিল্পীদের প্রাণের দাবি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেমন অডিশন প্রয়োজন ঠিক তেমনি শিল্পীদের গ্রেডেশন জরুরি।
শিল্পীদের সম্মানী পরিশোধ করতে নির্দিষ্ট কাঠামো রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু ঢাকা-চট্টগ্রামের শিল্পীদের সম্মানীতে ব্যাপক তারতম্য। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর মাত্র ১৬ বছরে সাদাকালো থেকে রঙিন সম্প্রচার করতে সক্ষম হলেও ১৯ বছরে পরও বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। চট্টগ্রাম কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গ রূপ না পাওয়ার পেছনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতিকে দায়ী করে সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনিয়ম-দুর্নীতি অতীতের সব রেকর্ড ছেড়ে গেছে। গত চারমাস ধরে সুরকার, সঙ্গীত পরিচালকদের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ওই টাকা দিয়ে জিএম’র নিয়োগপ্রাপ্ত প্রযোজক, এডিটর সহযোগীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ৬ ঘন্টা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে এটিকে স্বতন্ত্র চ্যানেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আন্তরিক রয়েছেন উল্লেখ করে আলাউদ্দিন বলেন, এজন্য ৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দও দিয়েছেন। কিন্তু জিএম নেসার ওসমান এসব টাকা হরিলুট করছেন। ফলে প্রকল্পটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর জিএম জাঁ নেসার ওসমান চট্টগ্রাম কেন্দ্রে যোগদান করেন। শিল্পীদের অভিযোগ তিনি যোগদানের পর থেকে তালিকাভুক্ত কোন গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালকদের যুক্ত করে কোন সঙ্গীতানুষ্ঠান ধারণ করা হয়নি। অথচ তা বেআইনি।
প্রজ্ঞাপন জারি ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ৩৮জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে আলাউদ্দিন বলেন, নিয়োগপ্রাপ্ত এসব প্রযোজক, এডিটর, ক্যামেরাম্যান, মেকাপম্যানদের কাজের কোন অভিজ্ঞতা নেই। তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে শিল্পী সম্মানী খাত থেকে। ফলে অচিরেই অর্থাভাবে শিল্পীসম্মানী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীও রয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সংস্থার সভাপতি কায়সারুল আলম, সহ-সভাপতি শেখ শহীদুল আনোয়ার, মো. মোস্তফা কামাল, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মাহমুদ খান, উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন চৌধুরী, মৃণাল ভট্টাচার্য, জয়নাল আবেদীন, ফাহিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জিএম’র বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ