Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খুলনা শিপইয়ার্ড এখন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে

আঙ্কারা ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স ফেয়ার

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

খুলনা শিপইয়ার্ড প্রথমবারের মত তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ‘ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স ইন্ডাষ্ট্রিজ ফেয়ার-২০১৯’ এ অংশগ্রহণ করেছে। গত ৩০ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত এ ফেয়ারে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর অধিভুক্ত খুলনা শিপইয়ার্ড তাদের নির্মিত বিভিন্ন সমর নৌযানসমূহের মডেল উপস্থাপন করে। খুলনা শিপইয়ার্ডের জিএম (ডিজাইন এন্ড প্লানিং) ক্যাপ্টেন এম শহিদুল্লাহ আল ফারুক (বিএন) এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ মেলায় অংশ নেয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিপুল সংখ্যক অংশগ্রহণকারী খুলনা শিপইয়ার্ডের প্যাভেলিয়ন পরিদর্শন করে প্রতিষ্ঠানটির সমর নৌযানসহ বিভিন্ন ধরনের মেরিটাইম সামগ্রী সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে। তুরস্কের রাজধানীতে প্রতি দুই বছর অন্তর ‘ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স ইন্ডাষ্ট্রিজ ফেয়ার’ অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের মেলায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, রাশিয়া, পাকিস্তান, আজারবাইজান, চীন, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইজারল্যান্ড, বসনিয়া, জর্ডান, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ বিশ্বের আরো অনেক দেশ অংশগ্রহণ করে। ফেয়ারে অংশগ্রহণের ফলে খুলনা শিপইয়ার্ডের পরিচিতি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও ছড়িয়ে পড়ল।
১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত খুলনা শিপইয়ার্ড স্বাধীনতার পরে ক্রমেই একটি রুগ্ন শিল্পে পরিণত হতে শুরু করে। দেড় শতাধিক কোটি টাকা লোকসান ও দায়দেনার এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি বিরাষ্ট্রীয়করণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ক্রেতার অভাবে তা বিক্রি করাও সম্ভব হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে প্রায় ১৭৫ কোটি টাকার লোকসান ও দায়দেনা নিয়ে খুলনা শিপইয়ার্ড বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এক সময়ের লোকসানী প্রতিষ্ঠানটিকে। সব দেনা কাটিয়ে খুলনা শিপইয়ার্ড গত প্রায় ২০ বছরে ৫ শতাধিক কোটি টাকা মুনাফা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দের সততা, নিরলস প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতার মাধ্যমেই।
খুলনা শিপইয়ার্ড ইতোমধ্যেই সাবমেরিন টাগ ছাড়াও বড় মাপের যুদ্ধ জাহাজ, সেলফ প্রপলড ক্রেন বার্জ, পেট্রোল ক্রাফট, হাইড্রোগ্রাফী সার্ভে ভেসেল, অয়েল ট্যাঙ্কার, কন্টেইনার ভেসেল, কার্গো ভেসেল ও যাত্রীবাহী নৌযান তৈরী ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নৌযান এবং ড্রেজারের পুনর্বাসনসহ মেরামত সম্পন্ন করেছে।



 

Show all comments
  • MAHMUD ৮ মে, ২০১৯, ৬:৩৫ এএম says : 0
    After take over the responsibility of KHULNA SHIP YARD by "NAVY" day by day this organization going to be good condition. Many thanks to BANGLADESH NAVY.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ