Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফুটপাতে ইফতারি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা কেসিসি’র

বিপাকে মৌসুমি ইফতারি ব্যবসায়ীরা

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৯, ১:৪৯ পিএম

প্রতিবছরই ফুটপাতের ইফতারিতেই ভরসা থাকে খুলনার অধিকাংশ মানুষের। রমজানে ইফতারের সময় যতো ঘনিয়ে আসতো ফুটপাতে যেন উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হতো। বিক্রেতাদের হাঁক-ডাক আর ক্রেতাদের ক্রয় উৎসবে জমজমাট হয়ে উঠতো ফুটপাতের ইফতার বাজার।
কিন্তু এবার ফুটপাতে ইফতার সামগ্রী নিয়ে কাউকে বসতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
এদিকে বিপাকে পরেছে মৌসুমি ইফতারি ব্যবসায়ীরা। সিটি কর্পোরেশনের হকার ও ফুটপাত দখল উচ্ছেদের কারণে এবারের রমজানের দ্বিতীয় দিনেও মৌসুমি ইফতার সামগ্রীর বিক্রেতারা কোথাও বসতে পারেনি।
খুলনা নগরীর অধিকাংশ সড়কে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবছর যেসব স্থানে রকমারি ইফতার সামগ্রী নিয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বসতো, সেসব জায়গা এখন ফাঁকা। সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ থেকে নগরীর সাতরাস্তা মোড়, শিববাড়ী মোড়, ময়লাপোতা মোড়, ফেরিঘাট মোড়, ডাকবাংলা মোড়, শান্তিধাম মোড়, পিটিআই মোড়, নিরালা মোড়, রূপসা মোড়সহ উল্লেখযোগ্য সব জায়গায় মাইকিং করে হকারদের বসতে নিষেধ করা হয়েছে। ইফতার বিক্রেতাদের বসতে না দেয়ায় কিছু কিছু এলাকায় বিপাকে পড়েছেন রোজাদাররাও।
প্রতি বছর রমজানের সময় দুপুরের পর থেকেই ফুটপাতগুলোতে ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসতেন বিক্রেতারা। মৌসুমী ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ, মিষ্টি ও খাদ্যদ্রব্যের দোকানের সামনে সামিয়ানা টানিয়ে বাহারি এসব ইফতার বিক্রি করা হতো। পেশাজীবী, শিক্ষার্থী, শ্রমিক সব শ্রেণীর মানুষ ইফতার কিনতে ফুটপাতে ভিড় করতেন।
মৌসুমি ইফতারি ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, 'প্রতিবছর রোজার সময় রাস্তা পাশে আমরা একটু ইফতারি বিক্রি করতাম। বিকেলে বসে আবার সন্ধ্যার মধ্যেই উঠে যেতাম। সারা রোজায় যা ইনকাম হতো, তাই দিয়ে ঈদ করতাম। এবার আমাদের বসতে না দেয়ায় মাথায় হাত পড়েছে। মাইকিং করে গেছে। আমরা মাল (ইফতারি) নিয়ে বসতে গেছিলাম, কিন্তু বসতে দেয়নি।”
৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, আগে সব সময় বাসা থেকে বেরিয়েই ইফতারি সামগ্রী পেতাম। এ বছর ইফতার বিক্রেতাদের বসতে না দেয়ায় আমরা খাবার কিনতে পারছি না। প্রতি বাড়িতেই তো ইফতার তৈরি করা সম্ভব হয় না। যাদের বাড়িতে ইফতার তৈরি হয় না, তারা এখন কি করবে?'
উল্লেখ্য, খুলনা সিটি কর্পোরেশন রমজানে পরিচ্ছন্ন ও যানজট মুক্ত নগরীর উদ্দেশেই হকার ও এসব মৌসুমি ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করেছে। তবে এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দরিদ্র মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কেসিসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ