পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফাহিম ফিরোজ : যে মর্যাদাবান ব্যক্তির নামে দৌলতগঞ্জ, সেই ব্যক্তির কবরই আজ নিদারুণ অবহেলা-অযতেœ পড়ে আছে চুয়াডাঙ্গা জেলায় জীবননগর উপজেলার দৌলতগঞ্জে।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৭১৪ সালে মোগল সেনা কমান্ডার দৌলত খাঁ অত্র এলাকার সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার ছিলেন। মাগুরার বিদ্রোহী জমিদার সীতারামকে দমন করার জন্য দৌলতগঞ্জের ভৈরব নদী দিয়ে তিনি যুদ্ধে যাবার একদিন আগে কলেরায় আক্রান্ত হন এবং তিন দিনের মাথায় মারা যান।
মৃত্যুর আনুমানিক ছয় মাস পর মোগল উদ্যোগে বর্তমান দৌলতগঞ্জের পুরনো ব্রিজের তেঁতুলগাছের সামান্য উত্তরে (বর্তমানে গাছটি নেই) কমান্ডারের কবরটি চমৎকারভাবে মোগল ইট দিয়ে পাকা করে দেয়া হয়। নদীভাঙনে কবরের অর্ধেক ধ্বংস হয়ে গেলে অবশিষ্ট কবর ১৯৪০ সালে সামান্য দক্ষিণ-পশ্চিমে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে কবরের দক্ষিণে যে বটগাছ রয়েছে এটি নতুন। এর শেকড় বর্তমানে কবরকে ঘিরে ফেলেছে। সুশীলসমাজের প্রতি ‘দৌলতগঞ্জ ঐতিহ্য রক্ষা কমিটি’র জোর দাবিÑ অবিলম্বে কবরটি সংরক্ষণ, তার নামে একটি রোড করা হোক এবং দৌলত খাঁর একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি শ্বেতপাথরে খোদাই করে কবরের পাশে স্থাপন করা হোক। যাতে মানুষ সহজেই দৌলত খাঁ সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।