Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ত্রিশালে ইফতার চলাকালে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের পরিবারে সন্ত্রাসী তাণ্ডব

প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, উল্টো ভুক্তভোগীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৯, ৪:৫১ পিএম

ময়মনসিংহের ত্রিশালে আধিপত্য দ্বন্দ্বে পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার চলাকালে নজির বিহীন সন্ত্রাসী তাণ্ডব ও বর্বর হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন নারী-শিশু সহ ৩ জন। গত ৮ মে সন্ধ্যায় উপজেলার খাগাটি জামতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় ভাংচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়ী-ঘরে। এনিয়ে সচেতন মহলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার জানায়, ইফতার চলছিল। এমন সময় স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়ীঘরে এবং ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে হামালা চালিয়েছে সাজানো সংসার তছনছ করে দিয়েছে। এ সময় ৩টি মটার সহ বসত ঘরের প্রায় অর্ধ কোটি টাকার আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। লুট করা হয়েছে নগদ টাকা ও স্বনালঙ্কার এবং ফ্রিজের মাছ পর্যন্ত। অথচ এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আ: কাদের জিলানী ত্রিশাল থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ উল্টো মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলায় তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে।
প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার কন্যা সেলিনা আক্তার জানায়, সন্ত্রাসীদের নজির বিহীন বর্বর তান্ডব পাক বাহিনীর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। বসত ঘরের সব ধরনের আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। এ তান্ডবে পানি খাওয়ার মত একটি গ্লাসও অক্ষত রেখে যায়নি সন্ত্রাসীরা। হামলা থেকে রেহাই পায়নি নিরীহ গবাদি পশুও। সেলিনা আরো জানায়, এখনো প্রতিদিন সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। ফলে সন্ত্রাসীদের ভয় আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আমাদের পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ভয়ে চিকিৎসাও নিতে পারছেন না হামলার সময় আহতরা। ভুক্তভোগীদের দাবি, ঘটনার সময় ত্রিশাল থানা পুলিশকে বার বার অনুরোধ করলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

ভুক্তভোগী জিলানীর বোন নূরজাহান জানান, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা তাহের আলীর সম্পত্তি গ্রাস করার জন্য প্রভাবশালী সন্ত্রাসী মামুনের মদদে সন্ত্রাসী ফারুক, মুক্তার, কবীর, সজীব, আনোয়ার, রশিদ, রউফ, সোহাগ, কালামের নেতৃত্বে স্বশস্ত্র এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। ফলে গত ৯ মে এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে ত্রিশাল থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন, হামলা-ভাংচুরের কোন অভিযোগ জানা নেই। তবে একটি মারপিট ও চাঁদাবাজি মামলায় জিলানীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে ত্রিশাল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আ : রকিব খান জানান, মুক্তিযোদ্ধার পরিবারে হামলা-ভাংচুরের ঘটনা শুনেছি। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্তারিত জানা যাবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ