Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তিউনিসিয়া নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মৌলভীবাজারের শামীম

মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০১৯, ১:২৭ পিএম

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৬৫ জনের মধ্যে মৌলভীবাজারের শামীম আহমদ নামের একজন রয়েছেন। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্ট।নিহত শামীম কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের বাদে ভুকশিমইল গ্রামের মৃত আবদুল খালিকের ছেলে এবং সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদের আপন ছোট ভাই।
নিহত শামীমের বড় ভাই শাহরিয়ার আলম জানান, ইতালিতে যাওয়ার জন্য তিন মাস আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন শামীম আহমদ। পরে লিবিয়া হয়ে সাগরপথে ইতালি যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে প্রাণ হারান তিনি। ছয় ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম ছিলেন সবার ছোট।
ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৬৫ জন অভিবাসীর অধিকাংশই ছিলেন বাংলাদেশি। এ ছাড়া ওই নৌকাডুবিতে যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়, তার ১৪ জনই বাংলাদেশি বলে জানা গেছে। তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানান, ওই নৌকায় অন্তত ৫১ বাংলাদেশি ছিলেন। এ ছাড়া তাঁদের মধ্যে মিসরের তিনজন, মরক্কো, শাদ ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশের আরো কয়েকজন নাগরিক ছিলেন।
বিবিসি জানায়, দুর্ঘটনার শিকার নৌকাটি গত বৃহস্পতিবার ৯ মে লিবিয়ার জুয়ারা শহর থেকে ইতালির উদ্দেশে রওনা দেয়। এর মধ্যে গভীর সাগরে যখন তাঁদের বড় নৌকা থেকে ছোট নৌকায় তোলা হয়, তার কিছুক্ষণ পরই সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের মুখে নৌকাটি ডুবে যায়।
এদিকে, নৌকাডুবির পর তিউনিসিসিয়ার জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করে জারজিজ শহরের তীরে নিয়ে যান। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানান, সাগরের ঠা-া পানিতে প্রায় আট ঘণ্টা ভেসে ছিলেন তাঁরা।
লিবিয়ার ত্রিপোলিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সিকান্দার আলী বিবিসিকে বলেন, তাঁরা দুর্ঘটনার কথা জানেন এবং তিউনিসিসিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ চলছে। যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা জারজিজে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি আরো বলেন, লড়াই চলার কারণে সড়কপথে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে তাঁদের আকাশপথে যেতে হবে।
তিউনিসিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নৌকাডুবির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশটির নৌবাহিনী দুর্ঘটনাস্থলে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠায়। সেখানে পৌঁছালে দেখা যায়, মাছ ধরার একটি নৌকা জীবিতদের উদ্ধার করে নৌকায় তুলছে।
প্রতিবছর ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারান হাজার হাজার অভিবাসী। ইউএনএইচসিআরের মতে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে সমুদ্রপথে কেবল লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে অন্তত ১৬৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানায়, উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের তিউনিসিয়া উপকূলে নিয়েছে দেশটির নৌবাহিনী। অভিবাসীদের নৌকা থেকে উপকূলে নামানোর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষা করছেন তাঁরা। কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নৌকাডুবি

২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ