Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কোম্পানীগঞ্জে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু প্রসূতি মায়ের অবস্থা আশংকাজনক, থানায় মামলা

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) উপজেলা সংববাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৯, ৪:৪০ পিএম

নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কেজি স্কুল রোডে নরমাল ডেলিভারি সেন্টার নামক একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাচ্চাদানি কেটে ফেলায় প্রসূতি মায়ের অবস্থা আশংকাজনক। কোম্পানীগঞ্জ থানায় ৪জন কে আসামী করে মামলা দায়ের।

মামলার সূত্রের জানা যায়, প্রসূতি তাছলিমা আক্তার এর স্বামী কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের মোঃ সোহাগ কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মাঈন উদ্দিনের পরামর্শে গত ৩ মে সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় কেজি স্কুলে অবিস্থত নরমাল ডেলিভারি সেন্টারে নিরাপদে ডেলিভারির প্রলোভন দেখিয়ে রোগীকে ভর্তি করান। তার পরপরই স্বামীর অনুমতি ছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তার সিজার অপারেশন করে। অপারেশনের সমস্যা হলে স্বামীর অনুমতি ছাড়া নবজাতক ও প্রসূতিকে কাটা অবস্থায় গাড়ি যোগে নোয়াখালী গুডহিল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গুডহিলে যাওয়ার পথে প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে নবজাতক ও প্রসূতি মায়ের অবস্থা আশংকাজনক হয়ে পড়ে। সেখান থেকে শিশুটিকে চট্টগ্রাম রেফার করলে চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু ঘটে। বাচ্চাদানি কেটে ফেলার কারণে প্রসূতি মা তাছলিমা আক্তার মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

এ ব্যাপারে বসুরহাট নরমাল ডেলিভারি সেন্টারের ম্যানেজার আবদুল ওহাব জানান, সিজার অপারেশন আমাদের হাসপাতালে হয়েছে। তবে নবজাতক শিশুটি আমাদের হাসপাতালে মারা যায়নি। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।

প্রসূতির স্বামী মোঃ সোহাগ নরমাল ডেলিভারি সেন্টারের ম্যানেজার আবদুল ওহাব ও ডাক্তার মঞ্জুরুল হক সহ ৪জনকে আসামী করে রোববার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০ অনুযায়ী কোন বেসরকারী ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নিবন্ধিত হওয়ার আগে পরিবেশ ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। অভিযোগ রয়েছে নরমাল ডেলিভারি হাসপাতালের কোন অনুমতি নাই। চলছে শুধু বসুরহাট পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে।
এই ব্যাপারে ডাক্তার মঞ্জুরুল হক এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে সে ফোন রিসিভ করে কেটে দেয়।
ডাক্তার মঞ্জুরুরল হক নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আছেন। এর আগে ও তিনি কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমদের ছেলে জহিরুল হক জহিরের স্ত্রী সন্তান ভূল চিকিৎসার কারণে মারা যায়।

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, রোববার রাতে ভুক্তভোগীর স্বামী মোঃ সোহাগ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভুল চিকিৎসা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ