Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রাজাপুরে ব্যাংকের অফিসার অবসর ভাতার ২০ লাখ টাকা উত্তোলনের পর নিখোঁজ

রাজাপুর ( ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৯, ৮:১১ পিএম

ঝালকাঠির রাজাপুরের সাবেক কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা মো. ওয়াদুদ মৃধা (৬২) ৫ মে থেকে নিখোঁজ রয়েছে। গত ১০ দিনে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাননি স্বজনরা।

নিখোঁজ ব্যক্তির বোন জাহানারা বেগম, আনোয়ারা বেগম ও চামেলী বেগমের দাবি, তাদের ভাইয়ের অবসর ভাতার টাকা ও পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য স্ত্রী জেসমিন বেগম ওয়াদুদকে হত্যা করে লাশ গুম করে রেখেছে। রাজাপুর প্রেস ক্লাবে আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বজনেরা এ দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ২০০৯ সালে স্বজনদের অজান্তে আমাদের স্নেহের ভাই(কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা) ওয়াদুদ মৃধা ঝালকাঠির পৌর এলাকার পালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা দুই সন্তানের জননী জেসমিন বেগমকে বিয়ে করেন। এরপর রাজাপুরের বাড়িতে জেসমিনের দুই সন্তানসহ ওয়াদুদ এক বছর বসবাস করেন। এর কিছুদিন পর জেসমিনের প্রথম স্বামীও তাদের সাথে এসে বসবাস শুরু করেন। বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছে অসামাজিক মনে হওয়ায় সবার অজান্তে তারা ঝালকাঠিতে চলে যান। বিয়ের পর থেকেই নিরীহ, ভদ্র, সভ্য শান্ত, প্রকৃতির দ্বিতীয় স্বামী ওয়াদুদের ওপর বিভিন্ন বাহানায় নির্যাতন করত স্ত্রী জেসমিন ও প্রথম স্বামী।

গত বছর ওয়াদুদ মৃধা কৃষি ব্যাংকের হিসাবরক্ষক পদ থেকে ঐচ্ছিক অবসর গ্রহণ করেন। সম্প্রতি তিনি অবসর ভাতার ২০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এরপর থেকেই ওয়াদুদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

লিখিত বক্তব্যে বোনেরা আরো বলেন, বিবাহিত জীবনের ১০ বছরেও ওয়াদুদ ও জেসমিনের ঘরে কোনো সন্তান হয়নি। তাই ভাইয়ের টাকা ও পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাৎ করতেই ওয়াদুদকে হত্যা করে লাশ গুম করে রেখেছে স্ত্রী জেসমিন। এ ছাড়া ওয়াদুদের পৈতৃক সম্পত্তির একটি বড় অংশ বিক্রি করিয়ে ইতিপূর্বে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জেসমিন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেসমিন বেগম বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা,বানোয়াট ভিত্তিহীন। স্বামী ওয়াদুদ নিখোঁজ হওয়ার একদিন পরেই আমি ঝালকাঠি সদর থানায় জিডি করেছি। আমার স্বামীর পৈতৃক সম্পত্তি তাঁর বোন ও ভাগ্নেরা ভোগ করে। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন - সাধারণ ডায়েরি করার পরপরই নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে দেশের সব থানায় বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধারের চেস্টা অব্যাহত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিখোঁজ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ