Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া ১০ দিনেই ৬১ কোটি ডলার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

রোজা এবং ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা দেশে বেশি টাকা পাঠাচ্ছেন। মে মাসের ১০ দিনেই ৬১ কোটি ২১ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন তারা। ঈদ ঘনিয়ে আসলে রেমিটেন্স প্রবাহ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, রেমিটেন্স প্রবাহ এমনিতেই ভালো ছিল। রোজা এবং ঈদকে সামনে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে বেশি বেশি টাকা পাঠোচ্ছেন। সে কারণেই রেমিটেন্স বাড়ছে। অর্থবছর শেষে এবার রেমিটেন্সের পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। বাংলাদেশ ব্যাংক গত সোমবার রেমিটেন্সের যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি মে মাসের ১০ দিনে (১ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত) ৬১ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিটেন্স এসেছে। এরমধ্যে ১ থেকে ৩ মে এসেছে ১১ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। আর ৪ থেকে ১০মে এসেছে ৪৯ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। সিরাজুল ইসলাম বলেন, আশা করা হচ্ছে, একক মাস হিসেবে মে মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স দেশে আসবে। এর আগে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছিল জানুয়ারি মাসে, ১৫৯ কোটি ৭২ লাখ ডলার। ‘অবস্থা যা মনে হচ্ছে, মে মাসে তার চেয়েও বেশি রেমিটেন্স আসবে।’
তার আগে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এক হাজার ৩৩০ কোটি ৩০ লাখ (১৩ দশমিক ৩০ বিলিয়ন) রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা ছিল গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক শতাংশ বেশি। মে মাসের ১০ দিনের ৬১ কোটি ২১ লাখ ডলার যোগ করলে চলতি অর্থবছরে মোট রেমিটেন্সের পরিমাণ দাঁড়ায় এক হাজার ৩৯১ কোটি ৫১ লাখ (প্রায় ১৪ বিলিয়ন) ডলার। অর্থবছরের বাকি এক মাস ২০ দিনে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স আসবে। সে হিসাবেই প্রত্যাশা করা হচ্ছে এবার রেমিটেন্স ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে।
গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ১৭ লাখ (১৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা। যা ছিল ২০১৬-১৭ অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরেও রেমিটেন্স বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। রেমিটেন্স বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশী মুদ্রার সঞ্চয়নও (রিজার্ভ) সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। সোমবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক এক বিলিয়ন ডলার। গত ৭ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ-এপ্রিল মেয়াদের ১২৪ কোটি ১০ লাখ ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পরও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারের উপরে অবস্থান করছে মূলত: রেমিটেন্স বৃদ্ধির কারণে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ-এই নয়টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যে সব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পর পর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। স্থানীয় বাজারে ডলারের তেজিভাব এবং হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে গত সোমবার প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে। এর বছর আগে ৮ মে ডলার-টাকার বিনিময় হার ছিল ৮৩ টাকা ১০ পয়সা। বর্তমানে এক কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। তাদের পাঠানো অর্থ বাংলাদেশে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মত।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডলার

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৬ জানুয়ারি, ২০২৩
৫ ডিসেম্বর, ২০২২
১৯ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ