Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মামীকে খুন করে ভাগ্নের আত্মহত্যা

নিজ ঘরে সন্ত্রাসীর গুলিতে যুবক নিহত

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৯, ১২:০৩ এএম


বগুড়ায় পরকীয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ভাগ্নে মামিকে কুপিয়ে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউপির ভাটকোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহত দু’জনের লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভাটকোলা গ্রামের বসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি আপেল নামের তরুণ কিছুদিন আগে তার মামা সাইদুলের ২য় স্ত্রী আলেয়াকে পরকীয়ার প্রস্তাব দেয়। মামি আলেয়া ঘটনাটি বাড়ির লোকজনকে প্রকাশ করে দিলে সবাই মিলে আপেলকে শাসন করে। বিষয়টি নিয়ে আপেল মনে মনে ক্ষিপ্ত ছিল। ক্ষিপ্ততার বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই হত্যাকাÐ সংঘটিত হয়েছে।
মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সনাতন চন্দ্র জানিয়েছেন, আপেল নামের ওই তরুণ সকাল সাড়ে ৯টায় তার মামি (মামা সাইদুলের ২য় স্ত্রী) আলেয়া বেগম (৩৫)কে ধারালো বাটাল দিয়ে ঘাড়ে, বুকে ও পেটে উপুর্যুপুরি আঘাতে মৃত্যু নিশ্চিত করে। মামি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে ঘাতক ভাগ্নে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে ওই গ্রামেরই একটি পরিত্যক্ত ঘরে ঢুঁকে আপেল নিজের পেটে বাটাল দিয়ে চিরে নাড়িভুঁড়ি বের করে। ফলে সেও মারা যায়।
এদিকে, বগুড়ায় নিজ বাসার শয়ন কক্ষে সন্ত্রাসীর হাতে গুলিতে নিহত হয়েছেন মারুফ হোসেন ওরফে পাভেল (৩৫) নামের এক যুবক। সে শহরের চেলোপাড়া এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের পুত্র। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে। নিহত মারুফের বোন ফরিদা ইয়াসমিন জানান, মারুফ নেশাগ্রস্থ ছিল। তাদের বাবার তিন স্ত্রী। তারা চারবোন ও তিন ভাই ছিল। দুই বোন এবং মারুফ ওই বাসায় থাকতো। মারুফ অন্য পক্ষের সন্তান। অন্য দুই বোন অন্য বাসায় থাকতো। বাকী কক্ষগুলো মেস হিসেবে ভাড়া দেয়া আছে। মারুফ সারাদিন বন্ধু, বান্ধব নিয়ে বাড়িতেই নেশা করতো। বাসা থেকে বের হতো না। এক মাস আগে মারুফ তার এক বন্ধুকে বাসায় ডেকে নিয়ে মারপিট করে টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হলেও মিটমাট হয়ে যায়। ওই ঘটনার জেরে হয়তো ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুরাতন তিনতলা বাড়ির উপর তলায় একটি কক্ষের বিছানা ও বাথরুম এবং ড্রইং রুমে ছোপ ছোপ রক্ত পড়ে আছে। বাসার অন্যান্য কক্ষগুলোও অগোছালো এবং এলোমেলা। দুটি কক্ষের একটিতে নেশার উপকরণ দেখা যায়।
বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আসলাম আলী জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিহতের বোন ফরিদা ইয়াসমিন কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মারুফ গুলিতেই নিহত হয়েছে বলে জানা যায়। বিকেলে পুলিশ মারুফ হত্যাকাÐে সাথে জড়িত সন্দেহে তার বোন লাভলী ও তার স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ