Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হাইকোর্ট নিষিদ্ধ নিম্নমানের খাদ্যপণ্য উৎপাদন বন্ধ ও বাজার থেকে প্রত্যাহারে দক্ষিণাঞ্চলে কোন পদক্ষেপ নেই

খুচরা বিক্রেতাদের হয়রানীর অভিযোগ

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৯, ৫:৫৮ পিএম

হাইকোর্ট দক্ষিণাঞ্চল সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত ৫২টি ভোক্তা পণ্য মানসম্মত বিবেচিত না হওয়ায় তার উৎপাদন ও বিপনন নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারীরা এখনো তা বাজার থেকে প্রত্যাহার করেনি। অথচ ভ্রাম্যমান আদালত সহ বিভিন্ন আইন-শৃংখলা বাহিনী এসব পণ্য বিক্রির অভিযোগে খুচরা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে অভিযোগ উঠছে। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্নস্থানে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। দোকানীরা বিপুল অর্থ ব্যায়ে এসব পণ্য উৎপাদক ও সরবারহকারীদের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। কিন্তু এখন তা বিক্রী নিষিদ্ধ হওয়ায় ফেরত না নিলে এসব ব্যাবসায়ীদের কি হবে? সে প্রশ্নও উঠছে। 

 

এমনকি এসব নিষিদ্ধ পণ্য নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। ব্যাবসায়ী সহ সাধারন ক্রেতাদের অভিযোগ, হাইকার্ট নিষিদ্ধ এসব পণ্যসমুহ অবিলম্বে বাজার থেকে প্রত্যাহারে বাধ্য করা হচ্ছে না উৎপাদক ও সরবারহকারীদের। নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকাও জনসমক্ষে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে না। পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের দাবী পণ্যমূল্য ফেরত দিয়ে তা ফিরিয়ে নিয়ে ধংশ করা হোক। 

 

গত ১২মে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ যে ৫২টি পণ্য ‘বিএসটিআই-এর পরীক্ষায় অকৃতকার্য’ বলে বিবেচতি হয়েছে, তার মধ্যে বরিশাল ও ঝালকাঠীর ৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ৭টি  প্রতিষ্ঠানের লাচ্ছা সেমাই ও আয়োডিন যূক্ত লবন নিম্নমানের প্রমানিত হওয়ায় হাইকোর্ট তা উৎপাদন ও বিপনন নিষিদ্ধ করেছে। 

কিন্তু বুধবার পর্যন্ত বরিশালের অমৃত ফুড প্রডাক্ট ও ঝালকাঠীর জেদ্দা ফুড ইন্ডাষ্ট্রির লাচ্ছা সেমাই এবং ঝালকাঠীর নিউ সল্ট মিলস, কোয়ালিটি সল্ট ইন্ডাষ্ট্রি, লাকি সল্ট ইন্ডাষ্ট্রি, তাজ সল্ট ইন্ডাষ্ট্রি ও নুর সল্ট ইন্ডাষ্ট্রি’র কথিত আয়োডিন যূক্ত লবন বাজার থেকে প্রত্যাহারের কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি কোন কতৃপক্ষই। তবে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ’ বুধবার সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে নিষিদ্ধ পণ্য সমুহের উৎপাদন বন্ধ রাখা সহ আগামী তিন দিনের মধ্যে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশনা প্রদান করেছে। কিন্তু বুধবার দিনভরই বিএসটিআই ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি দক্ষিণাঞ্চলে। এ অঞ্চলে নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের কোন অফিসই নেই।  

 

উপরন্তু নিষিদ্ধ ঘোষিত কয়েকটি কোম্পানীর চিপস, গুড়া মসলা, সরিষার তেল ও কথিত আয়োডিন যূক্ত লবন সহ বেশ কিছু পণ্য গতকালও বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন দোকানে শোভা পেতে দেখা গেছে। বেশীরভাগ দোকানীই নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্যের নাম জানেনা বলে জানিয়েছেন। নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও গ্রামেগঞ্জের মানুষের কাছে ঐখবর পৌছবে কি করে ? সে প্রশ্নও করেছেন অনেকে। এমনকি বরিশাল সহ দক্ষিনাঞ্চলে নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের কোন কার্যক্রমই নেই।

 

তবে এসব বিষয়ে বুধবার বরিশালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের সাথে আলাপ করা হলে তিনি এসব বিষয়ে কিছু জানেন না বলে বিষয়টি নিয়ে তাদের সদর দপ্তরে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। বিএসটিআই-এর বরিশাল বিভাগীয় দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক জানান, তারা দক্ষিনাঞ্চলে নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্যের ৭টি উৎপাদক প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করেছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো এর উত্তরও দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি সদর দপ্তরকে অবহিত করেছেন বলে জানান। তবে এসব পণ্যসমুহের উৎপাদন বন্ধ সহ বাজার থেকে প্রত্যাহারের কোন নির্দেশনা বরিশাল বিএসটিআই-এর তরফ থেকে দেয়া হয়নি বলে তিনি স্বীকার করেন। সদও দপ্তরের নির্দেশনার আলোকেই পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলেও জানান বিএসটিআই কর্মকর্তা। 

 

হাইকোর্ট নিষিদ্ধ নিম্নমানের খাদ্যপণ্য উৎপাদন বন্ধ ও বাজার থেকে প্রত্যাহারে দক্ষিণাঞ্চলে কোন পদক্ষেপ নেইখুচরা বিক্রেতাদের হয়রানীর অভিযোগহাইকোর্ট দক্ষিণাঞ্চল সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত ৫২টি ভোক্তা পণ্য মানসম্মত বিবেচিত না হওয়ায় তার উৎপাদন ও বিপনন নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারীরা এখনো তা বাজার থেকে প্রত্যাহার করেনি। অথচ ভ্রাম্যমান আদালত সহ বিভিন্ন আইন-শৃংখলা বাহিনী এসব পণ্য বিক্রির অভিযোগে খুচরা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে অভিযোগ উঠছে। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্নস্থানে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। দোকানীরা বিপুল অর্থ ব্যায়ে এসব পণ্য উৎপাদক ও সরবারহকারীদের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। কিন্তু এখন তা বিক্রী নিষিদ্ধ হওয়ায় ফেরত না নিলে এসব ব্যাবসায়ীদের কি হবে? সে প্রশ্নও উঠছে। 
এমনকি এসব নিষিদ্ধ পণ্য নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। ব্যাবসায়ী সহ সাধারন ক্রেতাদের অভিযোগ, হাইকার্ট নিষিদ্ধ এসব পণ্যসমুহ অবিলম্বে বাজার থেকে প্রত্যাহারে বাধ্য করা হচ্ছে না উৎপাদক ও সরবারহকারীদের। নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকাও জনসমক্ষে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে না। পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের দাবী পণ্যমূল্য ফেরত দিয়ে তা ফিরিয়ে নিয়ে ধংশ করা হোক। 
গত ১২মে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ যে ৫২টি পণ্য ‘বিএসটিআই-এর পরীক্ষায় অকৃতকার্য’ বলে বিবেচতি হয়েছে, তার মধ্যে বরিশাল ও ঝালকাঠীর ৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ৭টি  প্রতিষ্ঠানের লাচ্ছা সেমাই ও আয়োডিন যূক্ত লবন নিম্নমানের প্রমানিত হওয়ায় হাইকোর্ট তা উৎপাদন ও বিপনন নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত বরিশালের অমৃত ফুড প্রডাক্ট ও ঝালকাঠীর জেদ্দা ফুড ইন্ডাষ্ট্রির লাচ্ছা সেমাই এবং ঝালকাঠীর নিউ সল্ট মিলস, কোয়ালিটি সল্ট ইন্ডাষ্ট্রি, লাকি সল্ট ইন্ডাষ্ট্রি, তাজ সল্ট ইন্ডাষ্ট্রি ও নুর সল্ট ইন্ডাষ্ট্রি’র কথিত আয়োডিন যূক্ত লবন বাজার থেকে প্রত্যাহারের কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি কোন কতৃপক্ষই। তবে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ’ বুধবার সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে নিষিদ্ধ পণ্য সমুহের উৎপাদন বন্ধ রাখা সহ আগামী তিন দিনের মধ্যে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশনা প্রদান করেছে। কিন্তু বুধবার দিনভরই বিএসটিআই ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি দক্ষিণাঞ্চলে। এ অঞ্চলে নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের কোন অফিসই নেই।  
উপরন্তু নিষিদ্ধ ঘোষিত কয়েকটি কোম্পানীর চিপস, গুড়া মসলা, সরিষার তেল ও কথিত আয়োডিন যূক্ত লবন সহ বেশ কিছু পণ্য গতকালও বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন দোকানে শোভা পেতে দেখা গেছে। বেশীরভাগ দোকানীই নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্যের নাম জানেনা বলে জানিয়েছেন। নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও গ্রামেগঞ্জের মানুষের কাছে ঐখবর পৌছবে কি করে ? সে প্রশ্নও করেছেন অনেকে। এমনকি বরিশাল সহ দক্ষিনাঞ্চলে নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের কোন কার্যক্রমই নেই।
তবে এসব বিষয়ে বুধবার বরিশালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের সাথে আলাপ করা হলে তিনি এসব বিষয়ে কিছু জানেন না বলে বিষয়টি নিয়ে তাদের সদর দপ্তরে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। বিএসটিআই-এর বরিশাল বিভাগীয় দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক জানান, তারা দক্ষিনাঞ্চলে নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্যের ৭টি উৎপাদক প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করেছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো এর উত্তরও দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি সদর দপ্তরকে অবহিত করেছেন বলে জানান। তবে এসব পণ্যসমুহের উৎপাদন বন্ধ সহ বাজার থেকে প্রত্যাহারের কোন নির্দেশনা বরিশাল বিএসটিআই-এর তরফ থেকে দেয়া হয়নি বলে তিনি স্বীকার করেন। সদও দপ্তরের নির্দেশনার আলোকেই পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলেও জানান বিএসটিআই কর্মকর্তা। 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খাদ্যপণ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ