নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : হাজী নুরুল ইসলাম মুন্সি স্মৃতি জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার দ্রæততম বালক হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি’র হাসান মিয়া ও দ্রæততম বালিকার খেতাব জিতেছেন একই প্রতিষ্ঠানের সোনিয়া আক্তার। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বালকদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১০.৬০ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন জাতীয় জুনিয়র রেকর্ড গড়েন হাসান। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ১০.৬৫ সেকেন্ডে। অন্যদিকে ১২.৫৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌঁড় শেষ করেন সোনিয়া। জাতীয় জুনিয়র অ্যথিলেটিক্সের প্রথম দিনে দু’টি নতুন জাতীয় জুনিয়র রেকর্ড হয়েছে। কিশোরীদের শটপুটে বিকেএসপির তাহমিনা আক্তার ১০.৪২ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে নতুন এই জাতীয় রেকর্ড গড়েন। আগের রেকর্ডটি ছিল ১০ মিটারের। এর আগে বিকাল চারটায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি। এ সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ফতুল্লা এনায়েতনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু, নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ টিটু ও ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস উপস্থিত ছিলেন।
সকালে ৪০০ মিটার রিলের বাছাই পর্বে বিকেএসপির বড় ভাই আনিসুল হকের পা ভেঙে গেলে নিজের হাতে তুলে নিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে ছিলেন স্প্রিন্টার মো. হাসান মিয়া ও বিকেএসপির পরিচলক শামীমা সাত্তার মিমো। চোখের সামনে পা ভাঙা দেখে মনে ভয় ঢুকে গিয়েছিল হাসানের। কিন্তু দিন শেষে তো বিকেএসপিতে সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত এই বালকের মুখেই হাসি এবং হাসাল নিজের প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিকেও। তিনি বলেন, ‘গত আসরে ১০.৯৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলাম। এবার প্রথম হতে পেরে (১০.৬০ সেকেন্ড) অনেক ভালো লাগছে। আমি ধাপে ধাপে এভাবে এগিয়ে যেতে চাই।’ নিয়ম মেনেই দ্রততম বালিকার মুকুট উঠেছে বিকেএসপির বালিকার মাথায়ই। ১২.৫৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্রততমবালিকা হয়েছেন অষ্টম শ্রেণীর সোনিয়া। গতবছর সিনিয়র বিভাগে অংশগ্রহণ করা নওগার এই মেয়ে জুনিয়র বিভাগে নাম লিখিয়েই বাজিমাত করলেন। অথচ সকালে হিটে প্রথম হওয়া সত্বেও সোনিয়ার নাম বাদ দেয়া হয়েছিল মুল পর্ব থেকে। এ নিয়ে ট্র্যাকে উওেজনাও ছড়িয়েছিল বেশ, প্রথম হয়েই যার লাগাম টেনেছেন সোনিয়া। তিনি বলেন, ‘প্রথম হওয়া সত্বেও যখন শুনলাম চুড়ান্ত পর্বে আমার নাম নেই। তখন খুব কান্নাকাটি করেছিলাম । সব বিচার বিশ্লেষণ করে যখন আমাকে এখানে পাঠানো হল, তখনই প্রথম হওয়ার জেদ চেপে যায়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।