Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভোলার লালমোহনে জরাজীর্ণ টিনসেট ঘরে চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম !

পাঠদান ব্যাহত

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৯, ১:০৫ পিএম

ভোলার লালমোহন উপজেলার ১০৭ নং বাউরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলো প্রায় ৩ বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুন ভবন বরাদ্ধের কথা বলে ভেঙ্গে নেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি কোনো ভবন। তবে নতুন ভবনের অপেক্ষায় না থেকে একটি জরাজীর্ণ টিন সেট ঘরের মধ্যেই চালানো হচ্ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম। এতে নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া ওই গ্রামে সরকারী ভাবে নেই কোন ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ণ কেন্দ্র, এক সময় বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনেই ছিল একমাত্র স্থানীয় জনসাধারণের প্রাকৃতিক দুর্যোগে আশ্রয় নেওয়ার স্থান। তাও নেই এখন।
কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে ভবনটি ভেঙ্গে নেওয়ার কয়েক বছর পেরিয়ে গেলে ও আজ পর্যন্ত কোন নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়নি ওই জায়গায়।
তবে সরকারী ভাবে ভবন নির্মাণ
হবে এ আশায় রয়েছেন শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিশু শ্রেণির ২২ জনসহ ১৯৯ জন ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে বিপাকে রয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বৃষ্টি হলেই শ্রেণি কক্ষে পানি পড়ে ভিজে যায় বই-খাতা এবং শিক্ষক মিলনায়তনের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও

আসবাবপত্র। আবার প্রচণ্ড গরমে ঘরটির ভিতরে ক্লাস করাই হয়ে যায় র্দুসাধ্য। তখন খোলা আকাশের নিচেই পাঠদান করাতে হয় শিক্ষার্থীদের। যার কারণে বিদ্যালয়ে দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও। তবুও নানান সমস্যার মধ্যে ও নিয়মিত পাঠদানের চেষ্টা করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর বলেন, ২০১৫ সালে একটি ভবন ঝুকিপূর্ণ হওয়ার কথা বলে ভেঙ্গে ফেলা হয়। তবে অন্য একটি ভবন ছিল তা ভালো থাকলেও উপজেলার একটি সিন্ডিকেট আমাকে ও সভাপতিকে না জানিয়ে ভেঙ্গে নিয়ে যায়। এবিষয়ে আমি তৎকালীন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছেও গিয়েছি। তিনি লালমোহনের তখনকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনকে বলে দেন অতি শিগ্রই ভবনের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে। কিন্তু তিনি কিছু করার আগেই বদলী জনিত কারনে এ উপজেলা থেকে চলে যান। আজ পর্যন্ত এ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই কতৃপক্ষের,আমরা চাই কমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে শিক্ষার মান অগ্রগতির লক্ষ্যে কতৃপক্ষ যেন দ্রুত এ বিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মাণের
ব্যাবস্থা করেন। এ বিষয়ে

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অাইয়ুব অালী বলেন অামি সদ্য যোগদান করেছি অামি খোজ খবর নিয়ে বলতে হবে।সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ বি এম খলিলুর রহমান বলেন উপজেলা শিক্ষা কমিটি থেকে অাগ্রাধীকার ভিত্তিতে রেজুলেশন করে অামাদেরকে অবহিত করা হলে অামরা দ্রুত নতুন ভবন নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভোলা

২ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ