Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যুক্তরাষ্ট্রে পুরুষরা এড়িয়ে চলছে নারী সহকর্মীদের

# মি টুর ধাক্কা

ডন | প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহিলা অধিকার গ্রুপ লিনইন ওআরজি গত শুক্রবার বলেছে, # মি টু আন্দোলনের ধাক্কায় যুক্তরাষ্ট্রের পুরুষরা নারী সহকর্মীদের সাথে সময় কাটানো এড়িয়ে যাচ্ছে। এই গ্রুপ ও সার্ভেমাংকি পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, পুরুষ ম্যানেজারদের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বলেছে যে তারা একা একজন নারীর সাথে কাজ করতে অস্বস্তি বোধ করবে। জরিপে দেখা যাচ্ছে নারীরা তাদের পদোন্নতির জন্য সহায়ক বন্ধু ও পেশাগত সংযোগের সুযোগ হারাচ্ছে। লিনইন ওআরজির প্রেসিডেন্ট র‌্যাচেল থমাস থমসন রয়টারস ফাউন্ডেশনকে বলেন, বহু পুরুষই বুঝতে পারে না যে কাজের ফাঁকে ফাঁকে নারী-পুরুষের একসাথে বসা আসলে নারীদের সুযোগ সীমিত করা অব্যাহত রেখেছে। এই উপাত্ত থেকে প্রকৃতপক্ষে এটাই প্রমাণিত হয় যে আমরা একটা ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছি। এটা এমন এক সময়ে ঘটছে যখন মহিলাদের বন্ধুত্ব, পৃষ্ঠপোষকতা এবং সম-অধিকার জটিল হয়ে পড়ছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া # মি টু আন্দোলন থেকে দেখা যাচ্ছে যে নারীরা তাদের উপর যৌন হামলা ও হয়রানির কাহিনী শেয়ার করছে। যা কিছু উচ্চ পদস্থ ব্যক্তির চাকরিচ্যুতির কারণ হচ্ছে। বেতন, প্রতিনিধিত্ব ও যৌনতা বিষয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তবে কারো কারো মত যে তা পুরুষদেরকে ঠিক নয় এমন আচরণ ও হয়রানি অভিযোগ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
পাঁচ হাজারেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের উপর পরিচালিত জরিপে ৩৬ শতাংশ বলেছে, তারা কোনো নারীর সাথে বন্ধুত্ব বা সামাজিকতা এড়িয়ে চলেছে। কারণ এটা কেমন দেখা যাবে সে ব্যাপারে তারা নার্ভাস। বিশেষ করে উর্ধতন পর্যায়ের পুরুষরা তাদের একই পর্যায়ের পুরুষ সহকর্মীদের চেয়ে নারী জুনিয়র সহকর্মীদের সাথে সময় কাটাতে কম অগ্রহী। তারা একজন জুনিয়র নারী সহকর্মীর সাথে বৈঠক করতে ১২ গুণ বেশি দ্বিধাগ্রস্ত। তাদের সাথে একত্রে ভ্রমণ করতে ৯ গুণ বেশি উদ্বিগ্ন এবং ৬ গুণ বেশি দ্বিধাগ্রস্ত তাদের সাথে ওয়ার্ক ডিনার করতে।
জরিপ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে কর্মক্ষেত্রগুলোতে খারাপ ব্যবহারের জবাব দেয়ার ঘটনা বাড়ছে। কর্মচারীদের ৭০ শতাংশ বলছেন, তাদের কোম্পানিগুলোতে যৌন হয়রানির ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় তা ছিল ৪৬ শতাংশ।
যাহোক, পুরুষদের অর্ধেক মনে করেন যৌন হয়রানির অভিযোগ ঘটনার শিকার বা ভিকটিমের চেয়ে কথিত নির্যাতনকারীর ক্যারিয়ারের ক্ষতি করে। অন্যদিকে নারীদের দুই তৃতীয়াংশ বলেন, যে ব্যক্তি অভিযোগ করেন তাকে উচ্চ মূল্য দিতে হয়। নারী গ্রুপগুলো বলে, এ জরিপ প্রদর্শন করছে যে কর্মক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিত করার জন্য আরো ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।
মহিলা অধিকার গ্রুপ ‘ইকুয়ালিটি নাউ’ এর মহিলা মুখপাত্র শেলবি কোয়াস্ট বলেন, কর্মক্ষেত্রে কিভাবে যৌন হয়রানি চলছে # মি টু তার উপর শুধু আলো ফেলেছে। চারপাশের সামাজিক সচেতনতার সাথে আইন ও নীতি এখনো সহায়ক নয়। সকল কর্মচারীর মধ্যে একটি সুস্থ কর্ম পরিবেশ থাকার ব্যাপারটিকে আমাদের উৎসাহিত করতে হবে। এ সাথে নির্যাতনকারীদের জবাবদিহি করতে হবে।



 

Show all comments
  • মুহাম্মদ রহমতউল্লাহ ২০ মে, ২০১৯, ১:২৪ এএম says : 0
    মেয়েরা যেদিন থেকে নিজেদের জন্য অনিরাপদ কর্মস্থলকে বেছে নিয়েছে সেদিনেই এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • হাসিবুল ইসলাম ২০ মে, ২০১৯, ১:২৫ এএম says : 0
    নাও ঠেলা, এখন এভাবে চললে মেয়েদের প্রোমোশন হবে কিভাবে?
    Total Reply(0) Reply
  • সানী ২০ মে, ২০১৯, ১:২৬ এএম says : 0
    নারী পুরষের পৃথক কর্মক্ষেত্র চাই। তাহলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • রঙ্গিলা মাঝি ২০ মে, ২০১৯, ১:২৭ এএম says : 0
    এভাবেই এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ অবাধ মেলামেশা করলেই দুর্ঘটনা ঘটবে, পরে মি টু ঝড়ে বিতর্কে পড়তে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • কাওসার আহমেদ ২০ মে, ২০১৯, ৯:৪৯ এএম says : 0
    ভালোই হয়েছে
    Total Reply(0) Reply
  • নাসির ২০ মে, ২০১৯, ৯:৫১ এএম says : 0
    মেয়েদের নির্যাতনের শিকাড় হওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের দোষের পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদেরও দোষ থাকে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মার্কিন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ