Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ড্রাম বাজিয়ে গান গেয়ে সাহরীর জন্য জাগায় ফিলিস্তিনি তরুণরা

দেশে দেশে মাহে রমজান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

সাহারী অথবা ‘সুহুর’ আরবী শব্দ যা ‘সাহর’ শব্দ থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ রাতের শেষাংশ, শেষ তৃতীয়াংশ বা ভোর রাত। পরিভাষায় রোজা পালনার্থে মুমিন বান্দা শেষ রাতে ফজরের পূর্বে যে খাবার গ্রহণ করে থাকেন, তাকে সাহারী বা সুহুর বলা হয়। রোজা রাখার নিমিত্তে এ খাবার গ্রহণ করা সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (সা.) রোজার উদ্দেশ্যে সাহারী খেয়েছেন এবং তার প্রিয় উম্মতকে তা গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছেন। হাদীস শরীফে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘তোমরা সাহারী খাও। কেননা, সাহারীতে বরকত রয়েছে।’ (বুখারী : ১৭৮৯) অন্য হাদীসে রয়েছে, মহানবী সা. বলেন, ‘আমাদের ও ইহুদী-নাসারাদের রোজার পার্থক্য হলো সাহারী খাওয়া।’ (মুসলিম : ২৬০৪) সাহারীর গুরুত্ব প্রদান করতে গিয়ে রাসূল (সা.) আরো বলেছেন, ‘এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহারী গ্রহণ করো।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৪৭৬) সাহারী খাওয়ার ফজিলত সম্পর্কে রাসূল (সা.) আরো বলেন, ‘সাহারী খাওয়া বরকতময় কাজ। এটা ত্যাগ করো না, যদি এক ঢোক পানি দিয়েও হয় তা গ্রহণ করো। নিশ্চয় আল্লাহ এবং তার ফেরেশতারা সাহারী গ্রহণকারীদের জন্য রহমত বর্ষণ করেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
মহানবী (সা.)-এর যুগে তাহাজ্জুদ ও সাহারীর জন্য আজানের ব্যবস্থা ছিল। বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন বিলাল (রা.) এর আযান শুনে সাহারী খাওয়া থেকে বিরত না থাকে, কারণ বিলাল (রা.) রাত থাকতে আযান দেয়; যাতে সালাতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি বিরত হয় ও নিদ্রারত ব্যক্তি জেগে সাহারী খেতে পারে। (সহীহ মুসলিম : ২৪০৮)
সাহারী গ্রহণের গুরুত্ব বিবেচনায় বিভিন্ন দেশে নানা উপায়ে মানুষদের জাগানোর নিয়ম চালু রয়েছে। কোথাও কাসিদা গেয়ে, কোথাও ড্রাম বাজিয়ে বা কোথাও সাইরেন বাজিয়ে রোজাদারদের জাগানো হয়। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গজল গেয়ে রোজাদারদের জাগানোর প্রচলন ছিল। মোবাইল ফোনে অ্যালার্ম বা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ইসলামিক অনুষ্ঠানের কল্যাণে অলিগলিতে গজল বা কাসিদা গেয়ে ডাকাডাকির প্রচলন এখন নেই বললেই চলে। তবে বিদেশের মাটিতে এখনও চালু রয়েছে বলে জানা যায়। যেমন ধরা যাক ফিলিস্তিনের কথা। ঐতিহাসিক নগরী জেরুজালেমের পূর্ব শহরে ইসরাঈলিদের প্রবল বাধা উপেক্ষা করেও সেখানকার তরুণ ফিলিস্তিনিরা ড্রাম বাজিয়ে ও ইসলামি গান গেয়ে রোজাদারদের জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। গত ১৫ মে এ ছবিটি তুলেছেন আনাদোলু এজেন্সীর ফয়েজ আবু রামেল।

প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাহে রমজান

৩ এপ্রিল, ২০২২
৩ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ