Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আনোয়ারা সিইউএফএল সড়কের বেহাল দশা

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৯, ১২:০২ এএম

দুই বছর ধরে খানা-খন্দে ভরা সিইউএফএল সড়ক। একটু বৃষ্টিতে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। উঁচু নিচু এই পথ পার করতেই জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। সড়কের বেহাল দশায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্ষা কড়া নাড়ছে দরজায়-দ্রæত সড়কটি সংস্কার না হলে ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়ে যাবে।
জানা যায়, আনোয়ারায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত¡ সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে চাতরী চৌমুহনী বাজার থেকে রাঙ্গাদিয়া সার কারখানা পর্যন্ত সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ সরকারের অনুমোদন পেলে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি নির্মাণ করে।
এরপর থেকে বছর বছর তারা সংস্কার কাজ করলেও ওই এলাকায় ডিএপি সারকারখানা, কাফকো সারকারখানা, কোরিয়ান ইপিজেড, চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল, আনোয়ারা পাওয়ার প্ল্যান্ট, সর্বোপরি কর্ণফুলী টানেল কর্তৃপক্ষের ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে সড়কটি দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময় ধরে যান চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া মেরিন একাডেমি, শাহ মোহছেন আউলিয়ার মাজার, পারকি সমুদ্র সৈকত, চসিকের ১৫ নম্বর ঘাট দিয়ে চট্টগ্রাম শহর ও শাহ আমানত বিমান বন্দরে যাতায়াতসহ উপজেলার বৈরাগ, বারশত, রায়পুর, বটতলী ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটি। সরেজমিন দেখা যায়, এ সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে চাতরী চৌমুহনী বাজার থেকে কোরিয়ান ইপিজেডের প্রধান ফটক পর্যন্ত ৩ কিলোমিটারের অধিক সড়কের বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থী, পথচারী, চাকরিজীবীসহ নানা পেশার মানুষ। বর্তমানে সড়কটির এমন অবস্থা শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালির জন্য আর সামান্য ঝড় বৃষ্টিতে কাদা মাটির কারণে সড়কের দুপাশে মানুষের চলাচলের কোন উপায় নেই। মাঝে মধ্যে স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে সড়কটি সংস্কার করে বড় বড় গর্ত ভরাট করলেও তা কিছু দিন না যেতেই আবার গর্তের সৃষ্টি হয়।
আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি সিইউএফএল, কাফকো, কেইপিজেড ও টানেল কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সড়কটি যেহেতু সিইউএফএল কর্তৃপক্ষের সেহেতু এলজিইডির মাধ্যমে সড়কটি সংস্কার করা সম্ভব নয়। তবে কর্তৃপক্ষ যদি সড়কটি এলজিইডির কাছে হস্তান্তর করে তাহলে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। এ ব্যাপারে সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিদ্যুৎ কুমার বিশ^াস জানান, শিগগির সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। এটি সিইউএফএলের নিজস্ব সড়ক। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটি নষ্ট হয়ে গেছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ