রূপগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা নিরীহ এক মহিলার বসতঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রতিবাদ করায় স্কুল ও কলেজ পড়–য়া দুই মেয়েসহ তাদের মাকে হাতুড়ি পেটা করা হয়। শনিবার দুপুরে উপজেলার তারাব পৌরসভার গন্ধর্বপুর স্লুইচ গেইট এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া মেয়ে লতা আক্তার ও রিতা আক্তারকে নিয়ে মা রেনু বেগম বাপের বাড়ি গন্ধর্বপুর স্লুইচ গেইট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। রেনু বেগম স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে দুই মেয়েকে লেখাপড়া করিয়ে কোনো রকম সংসার চালিয়ে আসছিলেন।
একই এলাকার সন্ত্রাসী জামাল, কামালসহ তাদের লোকজন বসতবাড়িটি দখলে নিতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। প্রায় সময়ই বাড়িতে নেশাখোর নিয়ে হামলা চালাত সন্ত্রাসীরা।
শনিবার দুপুরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বসতবাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা ঘরের চালা, টিনের বেড়াসহ পুরো বসতঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে অন্যত্র ফেলে দেয়। পরে ঘরে থাকা টেলিভিশন, ফ্রিজ, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, কাপড়সহ যাবতীয় মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করায় কলেজ পড়–য়া মেয়ে লতা আক্তার, রিতা আক্তার ও মা রেনু বেগমকে হাতুড়ি পেটা করে বসতবাড়ি এলাকা থেকে বিতাড়িত করে দেয়। শুধু তাই নয়, লেখাপড়ার বই-খাতাও ছিঁড়ে ফেলা হয়। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই হামলার স্বীকার মাসহ ওই দুই মেয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ধরনের ঘটনার সংবাদ পেয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মা-মেয়েকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বাড়ির সামীনা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন মা-মেয়েকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে উপজেলার তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়া এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। মুসলিম মিয়া জানান, তার বোন সুফিয়া বেগম নোয়াপাড়ার বাড়িতে কাঠমিস্ত্রি দিয়ে রান্নাঘর নির্মাণ করতে ছিলেন। একই এলাকার আলী হোসেনের সঙ্গে বোন সুফিয়া বেগমের বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ ছিল। সকালে রান্নাঘর নির্মাণে বাধা দেয় আলী হোসেনসহ প্রতিপক্ষ জামির হোসেন, মনির হোসেন, আক্তার হোসেন, মাসুদ, আরমানসহ ৮/১০ জন। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সুফিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সুফিয়াকে লাঠিপেটা ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে বোনকে বাঁচাতে ভাগ্নি ফাহমিদা আক্তার এগিয়ে এলে তাকে শ্লীলতাহানিসহ লাঠিপেটা করা হয়। আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।