একই ঘরে মানুষ-গরুর বসবাস

চরম দরিদ্রতার কষাঘাতে পরে বাধ্য হয়ে গবাদি পশু নিয়ে একই ঘরে বসবাস করছেন আশি ঊর্ধ্ব
অন্ধত্ব পুরোপুরি দমাতে পারেনি তাকে। একে নিয়তি ভেবেই বেঁচে থাকার একটা উপায় বের করে নিয়েছিলেন হাফেজ মো. জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু হৃদরোগ তাকে পুরোপুরি বিপর্যস্ত করে দেয়। চিকিৎসার জন্যে অর্থ সংস্থান আর পরিবার-পরিজনের দু’বেলার খাবার সংস্থান করতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ফিরতে হচ্ছে এখন তাকে। ৬ বছর বয়সে অন্ধত্ব বরণ করার পর হাফেজি পড়ায় ভর্তি হন জাহাঙ্গীর। হাফেজি পাশ করার পর তারবিহ নামাজ পড়িয়ে আর হেফজ শিক্ষা দিয়ে বেঁচে থাকার একটা পথ খুজে বের করেছিল জাহাঙ্গীর।
কিন্তু ২০০৭ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে পুরোপুরি অসহায় হয়ে পড়েন। বর্তমানে আরো নানা রোগে আক্রান্ত তিনি। অর্থের অভাবে নিজের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তার বাবা আবদুল জলিলও হত-দরিদ্র। নবীনগরের সাতমোড়া গ্রামের হাফিজীয়া মাদরাসায় পড়ে থেকে মানুষের সাহায্য-সহযোগিতাতেই এখন দিন পার করছেন জাহাঙ্গীর। এর আগে নবীনগরের লাউর-ফতেহপুর গ্রামের মসজিদেই নামাজ পড়াতেন তিনি। জাহাঙ্গীরের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে। সংসারে বৃদ্ধা বাবা-মা ছাড়াও রয়েছে স্ত্রী ও তিন পুত্র সন্তান। একজন অন্ধ হাফেজের চিকিৎসায় সমাজের দানশীল, বিত্তশালী ও হৃদয়বান মানুষ মমতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এই আশা করছেন জাহাঙ্গীর আর তার বৃদ্ধ বাবা-মা।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা
মমতাজ বেগম,
সঞ্চয়ী হিসাব নং ৩৮৮০১,
ইসলামী ব্যাংক,
কোম্পানীগঞ্জ শাখা, কুমিল্লা।
মোবাইল : ০১৭৪৫১৪০৩৭৫।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।