Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উপেক্ষিত জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তরা! অ্যাথলেটিক্সের নির্বাচন

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে খুব শিঘ্রই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের নির্বাচন। জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের পরেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) নির্বাচনের প্রজ্ঞাপন জারি করবে। ইতোমধ্যে এনএসসি’তে কাউন্সিলরশিপের তালিকা জমা পড়েছে। এই তালিকায় দেশের আট বিভাগ এবং বিভিন্ন সংস্থার ১১৫ জন সংগঠক কাউন্সিলরশিপ পেলেও উপেক্ষিত রয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক তারকা অ্যাথলেটরা। যারা সংগঠক হিসেবে বছরের পর বছর দেশের অ্যাথলেটিক্সের সেবা করে যাচ্ছেন। অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের আসন্ন এই নির্বাচনে উপেক্ষিতদের তালিকায় আছেন- সুফিয়া খাতুন, শামীমা সুলতানা মিমু, রাজিয়া সুলতানা অনু, নজির আহমেদ মল্লিক, মিলজার হোসেন ও নজরুল ইসলাম রুমিদের মতো জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অ্যাথলেটরা। ১৯৯৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন সুফিয়া খাতুন। মিমু ও অনু পেয়েছেন ২০০০ সালে, ২০০৪ সালে মিলজার হোসেন এবং পরের বছর নজরুল ইসলাম রুমি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পান। অথচ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলরই হতে পারেননি তারা। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে না তাদের সামনে।
এসএ গেমসে সোনাজয়ী মুজিবুর রহমান মল্লিকের ছোট ভাই সাবেক অ্যাথলেট নজির আহেমদ মল্লিক। বাংলাদেশ অ্যাথলেট অ্যসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং মাস্টার্স অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি তিনি। গেল পাঁচ মেয়াদে এনএসসি মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন ফেডারেশনে। কিন্তু এবার তার নাম প্রস্তাব করা হয়নি খোদ ফেডারেশন থেকেই। এবার ফেডারেশন থেকে প্রস্তাবিত পাঁচজনের তালিকায় আছেন- তোফাজ্জল হোসেন, কিতাব আলী, মো: ইয়াহিয়া, সরাফত এবং মাহবুবা ইকবাল বেলি। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স জাজেস অ্যাসোসিয়েশন থেকেও কাউন্সিলরশিপ পেয়েছেন বেলি। তবে এনএসসি’র কোটা পেতে ইতোমধ্যে আবেদন করেছেন শামীমা সাত্তার মিমু, ডলি রানী সাহা ও কে এম জাহিদ সারোয়ার। এনএসসি’র পাঁচ প্রতিনিধি চূড়ান্ত করার ক্ষমতা কেবল চেয়ারম্যান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপিরই রয়েছে। তিনি সদয় হলে মিমুরা কাউন্সিলরশিপ ফিরে পেলে পেতেও পারেন।
কাউন্সিলরশিপ মনোনয়নে স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাবেক অ্যাথলেট খুরশিদা খুশী, ‘অনেক কষ্ট করে আমি বাংলাদেশ বেসরকারী শারীরিক শিক্ষা কলেজ সমিতি থেকে কাউন্সিলরশিপ এনেছিলাম। কিন্তু আমারটা বাদ দিয়ে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কুষ্টিয়ার আখতারুজ্জামান মৃধা পলাশকে কাউন্সিলরশিপ দেয়া হয়েছে।’
এদিকে সর্বশেষ নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবেই এবার কাউন্সিলরশিপ পেয়েছেন ইব্রাহিম চেঙ্গিস। ফের সাধারণ সম্পাদক পদেই নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘আমি অ্যাথলেটিক্স, ফুটবল, হকি, বাস্কেটবল খেলেছি। খেলোয়াড় থেকেই আজ সংগঠক। আমি মাঠের মানুষ। তাই ফের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ