Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তীব্র গরমেও থেমে নেই কেনাকাটা

আবু হেনা মুক্তি : | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৯, ১২:৫২ এএম

ঈদুল ফিতর দরজায় কড়া নাড়ছে। ঈদের কেনাকাটায় এখন বেশ ব্যস্ত শিল্পনগরী খুলনা। প্রতিটি বিপনী বিতান, ফ্যাশন হাউস, ফুটপাতের দোকানসহ গোটা নগরের ব্যস্ততা এখন চোখে পড়ার মত। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিপনী বিতানগুলো মুখর হচ্ছে ক্রেতাদের পদভারে।

এদিকে জৈষ্ঠ্যের প্রচন্ড গরমে মানুষের অবস্থা বেগতিক। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে হাঁপিয়ে উঠছেন। কিন্তু ঈদের মার্কেটে গরমের প্রভাব ফেলতে পারছে না। প্রচন্ড গরম সত্তে¡ও ঈদের কেনাকাটায় ভিড় জমেছে খুলনার মার্কেটগুলোতে। রোদে পুড়ে, গরমে ঘেমেও থেমে নেই ঈদের কেনাকাটা। মহানগরীর নিউ মার্কেট, কাপড়ের মার্কেটগুলোয় দিন দিন ভিড় বাড়ছে। পোশাক, কসমেটিক্স এবং জুতার দোকানগুলোতেও বেচা-বিক্রি বাড়ছে সমান তালে। বিক্রেতারা বলছেন, গরম উপেক্ষা করে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্রেতারা। ফলে জমছে ঈদ বাজার। ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার ঈদের পোশাকে গলাকাটা দাম নিচ্ছে দোকানিরা। বিশেষ করে রেডিমেড পোশাক বিপণি বিতানগুলোতে একদরের নামে গলাকাটা দাম রাখছে। দাম বেশি থাকায় পোশাক কিনতে ক্রেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঈদ উৎসব কেন্দ্র করে বিপণি বিতানগুলোতে এবার বেপরোয়া বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ছাড়া ইন্ডিয়ান টিস্যু কাপড়ের নানা আইটেমের পোশাকও নজর কাড়ছে এদেশে নারীর। তবে শাড়িরও চাহিদা রয়েছে এক শ্রেণীর নারীর কাছে। বরাবরের মতো ছেলেরা শার্ট-প্যান্টের পাশাপাশি কিনছে পাঞ্জাবি। শিশুদের জন্য রয়েছে রং বাহারি নকশাদার পোশাক। মেয়ে শিশুদের জন্য রয়েছে সালোয়ার-কামিজ, ফ্রক, টপস, স্কার্ট, কুর্তা ও প্যান্ট। আর ছেলে শিশুদের জন্য পাঞ্জাবি, কটি, শার্ট, টি-শার্ট ও প্যান্ট। তবে গরমে ঈদ পরায় সুতি পোশাকের চাহিদা বেশি।

মহানগরীর শপিং কমপ্লেক্স, জলিল সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট, রেলওয়ে বিপণিবিতান, মশিউর রহমান মার্কেট, কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিপণিবিতান, দরবেশ চেম্বার, নান্নু সুপার মার্কেট, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, হাজী মালেক চেম্বার, নূর চেম্বার, এশা চেম্বার, আড়ং, আঞ্জনস্, ডাকবাংলো সুপার মার্কেট, মানিক মিয়া শপিং কমপ্লেক্স, বড় বাজারসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার মার্কেটে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পোশাকেই বেশি জমজমাট দেখা গেছে। বিপণি বিতানগুলোতে বাহারি নাম আর ডিজাইনে মেয়েদের পোশাকই উজ্জ্বলতা বাড়িয়েছে ঈদ বাজারে। গতকাল খুলনার শপিং কমপ্লেক্সে পোশাক কিনতে আসা বিএল কলেজের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত বছর যে পাঞ্জাবি কিনেছি ১৫ থেকে ১৬শ টাকায়। সেই পাঞ্জাবি এবার কিনতে হয়েছে ১৯শ টাকায়। বাস্তুহারা এলাকার শিউলী বেগম নামে এক গৃহিনী বলেন, সাধারণ একটি থ্রি-পিস যা আগে এক হাজার টাকায় বিক্রি হতো। এবার তা হচ্ছে ২২শ টাকা। মশিউর রহমান মার্কেটের নিউ ভাই ভাই থ্রি-পিস কর্ণারের প্রোপ্রাইটর মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এবার ঢাকা থেকে বেশি দাম দিয়ে থ্রি-পিস কিনতে হয়েছে। বিশেষ করে হাতের কাজ করা থ্রি-পিসের বেশ দাম দিতে হয়েছে। যে কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ