দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া - দৌলতদিয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআইডব্লিউটিসি ওই রুটে ১৯ টি ফেরি প্রস্তুত রেখেছে। এর মধ্যে ১০ টি রো রো, ১টি " কে " টাইপ, ১টি মিডিয়াম এবং ৭টি ইউটিলিটি ফেরি রয়েছে। আরো ১টি রো রো ফেরি দু' একদিনের মধ্যে ফেরি বহরে যুক্ত হবে। ৪টি ঘাটের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গতকাল বুধবার আরিচা- পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাট পরিদর্শনকালে এসব তথ্য জানানো হয়।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাস, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস ও শিবালয় উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান খান জানুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় সভায় বলেন, ঈদে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যাত্রীসেবা নিশ্চিত করা হবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যাত্রীসেবা বাধাগ্রস্তকারি চক্রদের আইন শৃংখলা বাহিনী কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে। তিনি বলেন, শত প্রতিকুলতার মাঝেও ভালভাবে যাত্রী পারাপার করতে পারব। যাত্রীসেবা বাড়াতে বিআইডব্লিউটিসি ৩৫ টি জলযান সংগ্রহের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আরিচা- নগরবাড়ী ঐতিহাসিক ফেরিরুটটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত রুটে শুধু যাত্রী ও মালামাল পরিবহন হবেনা, এটি দৃষ্টিনন্দনও করা হবে।