Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রেমিকের সাথে মনমালিন্যের কারনে আত্মহত্যা করে মডেল রাওধা

পিবিআইয়ের প্রতিবেদন

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০১৯, ১২:৫৭ পিএম

প্রেমিকের সাথে মনমালিন্যের জের ধরে রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী ও মালদ্বীপের মডেল রাউধা আতিফ আত্মহত্যা করেছিল বলে চুড়ান্ত প্রতিবেদন গত বুধবার বিকেলে রাজশাহীর মূখ্য মহানগর আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহীর পিবিআইয়ের উপ-পপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান আদালতে বিকেলে এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। হত্যা নয়, আত্মহত্যাই করেছিলেন রাউধা চূড়ান্ত এই প্রতিবেদনেও একই কথা উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট তারিখে মামলাটি অধিক তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত। এর পর থেকে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। তবে মামলার দীর্ঘ তদন্তে মডেল কন্যা রাউধা আত্মহত্যা করেছেন বলেই তথ্য মেলে। এই ঘটনা হত্যার কোনো আলামত মেলেনি বলেও উল্লেখ করে চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
সাইদুর রহমান বলেন, প্রেম বিচ্ছেদের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন রাউধা। তার শেষ গৃহীত কল ছিল তার বয়ফ্রেন্ড শাহী ঘনির। তার পাঠানো শেষ মেসেজ ছিল ‘ইউ কিলড মি। আই ফিল ডেড। আমার আর কিছুই থাকল না’।
এর আগে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী রাউধা আতিফের ভিসাসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রতিবেদন চেয়ে পাঠায় মালদ্বীপ দূতাবাস। পরে চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ের রাজশাহী কার্যালয় থেকে এসব কাগজপত্র পাঠানো হয়।
পিবিআই রাজশাহী কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। তাদের তদন্তে রাউধা যে আত্মহত্যাই করেছিলেন সেটা পাওয়া গেছে। তদন্তকাজ শেষ করে আদালতে তারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
পুলিশ ও সিআইডিসহ অন্যান্য সংস্থার তদন্ত কার্যক্রম শেষে পঞ্চমবারের মত এ বিষয়ে তদন্তকাজ চালাচ্ছিল পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পিবিআই। রাউধা রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ইসলামী ব্যাংক মেডিকেলের ছাত্রী হোস্টেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মৃত্যুর পর থেকেই নগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। প্রতিটি সংস্থার তদন্তেই তার আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। তবে রাউধার বাবা মোহাম্মদ আতিফ বারবারই এই আত্মহতার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ