সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পণ্যবাহী ট্রাকে করে রাজধানীতে আনা হতো ফেনসিডিলের চালান। এরপর ঢাকার প্রবেশ মুখ থেকে চালানটি সংগ্রহ করে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে ব্যবহার করা হতো রাইড শেয়ারিং অ্যাপসে ব্যবহৃত ‘পাঠাও’ ও ‘উবার’র গাড়ি। শুধু গাড়ি ব্যবহারই নয়, ফেনসিডিল চোরাচালন চক্রে গাড়ি চালকদের সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে র্যাব। এসব চালকরা রাইড শেয়ারিংয়ের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
গতকাল শনিবার গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস পাঠাও এবং উবারের চালকসহ ফেনসিডিল চোরাচালান চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। তারা হলো- শিবু বর্মন (৪৫), রসেন বর্মন (২০), নূর ইসলাম (৩০), লোকমান হোসেন (২৪), জিহাদ হোসেন (২০) ও সাদ্দাম হোসেন (৩০)। তাদের কাছ থেকে ৮৫৮ বোতল ফেনসিডিল, ৯টি মোবাইল ও নগদ ৫০ হাজার ৫শ’ টাকা এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব-১ এর স্কোয়াড কমান্ডার (সিপিসি-১) এএসপি মো. কামরুজ্জামান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর শালিকচূড়া এরশাদনগর এলাকা থেকে ফেনসিডিলের চালনসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ফেনসিডিলের চালান এনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিলো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, শিবু বর্মন ট্রাক ড্রাইভার। সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের আড়ালে ফেনসিডিল বহন করতো। রসেন বর্মন ট্রাকের হেলপার। সে গ্রামে কৃষিকাজের ফাঁকে শিবু বর্মনের সঙ্গে মাদক পরিবহনে সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। নূর ইসলাম ফেনসিডিলের চালানটি টঙ্গী এলাকা থেকে আনতে গিয়েছিল। সে গুলিস্থানে মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবে জুয়ার বোর্ড দেখাশোনা করে এবং মাদক ব্যবসায় জড়িত।
এছাড়া আটক লোকমান হোসেন পেশায় পাঠাওয়ের চালক। সে এইচএসসি পাস করে ঢাকায় পাঠাও গাড়ি চালানোর পাশাপাশি মাদক ব্যবসায় জড়িত। লোকমান তার সহযোগী জিহাদ হোসেনকে নিয়ে ফেনসিডিলের চালান আনতে গিয়েছিল। সাদ্দাম উবারের গাড়ি চালক। তার গাড়িতে করেই চালান নিতে আসে লোকমান ও জিহাদ। সাদ্দাম উবারের গাড়ি চালনার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বলে র্যাব জানায়।