Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রেকর্ডে রাঙানো জয়ে শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ

আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৯, ৩:২৩ পিএম | আপডেট : ১১:৫০ পিএম, ২ জুন, ২০১৯

জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো দক্ষিন আফ্রিকার। শেষ দিকের ঝড়ে তার খুব কাছেও চলে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা। তবে মুস্তাফিজের দুর্দান্ত এক স্পেলে তাদের উড়িয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশ।

লন্ডনের কেনিংটন ওভালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রেকর্ড ৩৩০ রান করে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ। জবাবে ৩০৯ রানেই থেমে যায় ৮ উইকেট হারানো দক্ষিন আফ্রিকা।

রেকর্ডের ফুলঝুরি ছোটানো বাংলাদেশের জয়টি ২১ রানের। ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের হাতে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ৩৩০/৬ (তামিম ১৬, সৌম্য ৪২, সাকিব ৭৫, মুশফিক ৭৮, মিঠুন ২১, মাহমুদউল্লাহ ৪৬*, মোসাদ্দেক ২৬, মিরাজ ৫*; এনগিডি ৪-০-৩৪-০, রাবাদা ১০-০-৫৭-০, ফেলুকোয়ায়ো ১০-১-৫২-২, মরিস ১০-০-৭৩-২, মারক্রাম ৫-০-৩৮-০, তাহির ১০-০-৫৭-২, ডুমিনি ১-০-১০-০)।

দক্ষিণ আফ্রিকা : ৫০ ওভারে ৩০৯/৮ (ডি কক ২৩, মারক্রাম ৪৫, ডু প্লেসিস ৬২, মিলার ৩৮, ফন ডার ডাসেন ৪১, ডুমিনি ৪৫, ফেলুকোয়ায়ো ৮, মরিস ১০, রাবাদা ১৩*, তাহির ১০*; মুস্তাফিজ ১০-০-৬৭-৩, মিরাজ ১০-০-৪৪-১, সাইফ ৮-১-৫৭-২, সাকিব ১০-০-৫০-১, মাশরাফি ৬-০-৪৯-০, মোসাদ্দেক ৬-০-৩৮-০)।

ফল : বাংলাদেশ ২১ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা : সাকিব আল হাসান।

ডুমিনিকে ফিরিয়ে জয়ের আরো কাছে বাংলাদেশ

আগের ওভারেই ফিরিয়েছেন ভয়ঙ্কর মরিসকে। পরের ওভারে এসেই মুস্তাফিক তুলে নিয়েছেন থিতু হওয়া জে পি ডুমিনির (৪৫) উইকেট।

৪৮ ওভার শেষে স্কোর ৮ উইকেটে ২৯৮। জয় থেকে ৪০ রান দূরে দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংরাদেশের চাই মাত্র ২ উইকেট। হাতে বল ১২টি।

ভয়ঙ্কর মরিসকে ফেরালেন মুস্তাফিজ

রানের চাপ কমাতে ক্রিজে এসেই খেলছিলেন হাত খুলে। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই ক্রিস মরিসকে ফেরালেন মুস্তাফিজুর রহমান।

আগের বলেই মেরেছেন চার, পরের বলেই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে সৌম্য সরকারের তালুবন্দী হন ১০ বলে ১০ রান করা মরিস।

৪৬ ওভার শেষে দক্ষিন আফ্রিকার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৭৬। জয়ের জন্য এখনও প্রয়োজন ২৪ বলে ৫৫ রান।

সাইফউদ্দিনের জোড়া আঘাত

আগের ওভারে ফিরিয়েছেন ডুসেনকে। পরের ওভারে এসেই সাইফউদ্দিন তুলে নিয়েছেন ফেলুকাওয়েকে।

৪৪ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারানো দক্ষিন আফ্রিকার সংগ্রহ ২৫৯।

ডুসেনকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ

আগের ওভারেই রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছে ডুমিনি-ডুসেন। সেই রাশ টোনতে ব্যাটিং পাওয়ার প্লের শেষ ওভারটা করার দায়িত্ব সাইফউদ্দিনের হাতে বল তুলে দেন মাশরাফি। আর তাতে সফল বাংলাদেশ দলের নবীনতম এই সদস্য। দিয়েছেন মেইডেন উইকেট। 

ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ভেন ডার ডুসেনকে (৪১) সরাসরি বোল্ড করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন এখন বাংলাদেশের হাতে।

৪০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২২৮।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন ডুমিনি

চাপে পড়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার চাপ আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। সেই চাপ আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।

দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবির ফাঁদে ফেলেছিলেন জে পি ডুমিনিকে। অনফিল্ড আম্পায়রও দিয়েছিলেন আউটের ইশারা। তবে মনপুত হয়নি ব্যাটসম্যানের। নিয়েছেন রিভিউ। আর তাতে দেখা যায় লাফিয়ে ওঠা বলটি স্ট্যাম্পের অনেকটাই উপর দিয়ে চলে যেত। বেঁচে গেলেন ডুমিনি।

৩৮ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারানো দক্ষিন আফ্রিকার সংগ্রহ ২২৪। 

মিলারকে দিয়ে খাতা খুললেন মুস্তাফিজ

দলীয় দুইশ রান পার হওয়ার পর মিলারকে (৩৮) ক্যাচ আউট করে ফেরালেন মুস্তাফিজ। কাটার মাস্টারের ব্যাক্তিগত ৬ষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই মিলারকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফিরেছে টাইগাররা। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে এসেছেন জে পি ডুমিনি। আজকের ম্যাচে এটিই মুস্তাফিজের প্রথম উইকেট।

স্কোর-৩৫.২ ওভারে ২০৩/৫।

চোখ রাঙাচ্ছে ডুসেন-মিলার জুটি

চোখ রাঙানি দিচ্ছে ডুসেন (২৪)*-মিলার (৩৭)* জুটি। বাংলাদেশী বোলারদের বেশ স্বাচ্ছন্দেই মোকাবেলা করছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আবারও দক্ষিণ আফ্রিকার দিকেই হেলে যাচ্ছে। দ্রুত উইকেট ছাড়া ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই। ১৪৭ রানে অধিনায়ক ডু প্লেসিসের বিদায়ের পর দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই জুটি। ডুসেন-মিলার জুটি ইতিমধ্যেই পঞ্চাশ পেরিয়েছে।

দলীয় সংগ্রহ-৩৪.২ ওভারে ৩ উইকেটে ২০০ রান। 

ডু প্লেসিসকে ফেরালেন মিরাজ

ক্রমেই বিপজ্জ্বনক হয়ে উঠছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক (৬২)। মাত্র ৫৩ বলে ৬২ রানের ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কার মার ছিলো ডু প্লেসিসের। মিরাজের স্পিন বল বুঝতে না পেরে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ম্যাচে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলো।

স্কোর-২৭.২ ওভারে ১৫০/৩।

অর্ধশত রানে ডু প্লেসিস

দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডু প্লেসিস (৫৩)*। নিজের ৩২তম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে এখনো ক্রিজে আছেন এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান।

দলীয় সংগ্রহ ২৫ ওভারে ২ উইকেটে ১৩৫ রান।

মারক্রামকে বিদায় করে সাকিবের রেকর্ড

সাকিব আল হাসান সবচেয়ে কম সময়ে ৫ হাজার রানের স্কোর এবং ২৫০টি উইকেটের মালিক হলেন। মারক্রামকে (৪৫) বোল্ড আউট করে এই গৌরব অর্জণ করেন তিনি। এর আগে মাত্র চার খেলোয়াড় এই রেকর্ডের ভাগিদার ছিলেন- আব্দুল রাজ্জাক (২৩৮ ম্যাচ), জ্যাক ক্যালিস (২৭৯ ম্যাচ), শহীদ আফ্রিদি (২৭৩ ম্যাচ) এবং সনাথ জয়সুরিয়া (৩০৪ ম্যাচ) এই প্রাপ্তি অর্জন করেছেন। তবে  ১৯৯ ম্যাচ খেলা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এই রেকর্ড স্পর্শ করলেন মাত্র ১৯৯ ম্যাচে। যা অন্য চারজন খেলোয়াড়ের চেয়ে দ্রুত। ডু প্লেসিসের (৩৬)* সঙ্গে জুটি বাঁধতে এসেছেন ডেভিড মিলার (১)*।

দলীয় সংগ্রহ ২০ ওভারে ১০৫/২।

মারক্রাম-ডু প্লেসিসে শতরানে দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রথম উইকেট পতণের পর চমৎকারভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৫১ রানের মাথায় ডি কককে হারানো দলটি চাপহীন খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্রিকইনফো এই মুহুর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের সম্ভাবনা দেখছে ৫১ ভাগ। আর বাংলাদেশের ৪৯ ভাগ। অর্থাৎ, ম্যাচ এখনও দু’দলের জন্য সমান অবস্থানে। মারক্রাম (৪৪)* ও ডু প্লেসিসে (৩৩)* ভর করে দলীয় শতরান পূর্ণ করেছে প্রোটিয়ারা।

দলীয় সংগ্রহ ১৯ ওভারে ১ উইকটে ১০০ রান।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম উইকেটের পতন

বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখেশুনে খেলছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার। সতর্কতার সাথে খেলতে থাকা ডি কক (২৩) আরেক উদ্ভোধনী ব্যাটসম্যান মারক্রামের (২৭)* সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরে যান। উইকেটরক্ষক মুশফিক সরাসরি থ্রো করে বিদায় করেন এই মারকুটে ওপেনারকে। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে এসেছেন অধিনায়ক ডু প্লেসিস।

১০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৫১/১।

সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ

বাংলাদেশ দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান তুলেছে। শুরুতে সৌম্য সরকার, মাঝে সাকিব-মুশফিক ও শেষে মাহমুদউল্লাহর দ্বায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এই সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগাররা। বিশ্বকাপে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে গত বিশ্বকাপে নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২২ রান তুলেছিলো বাংলাদেশ।  ব্যাট হাতে টাইগাররা তাদের সামর্থ্যের পুরোটা দিয়েই খেলেছেন। এবার বোলাররা যদি তাদের কাজটা করে দিতে পারেন তাহলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারবে বাংলাদেশ এ আশা করাই যায়। ইতিহাসও বাংলাদেশের পক্ষেই সায় দিচ্ছে। কারন বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে। সেবার ভারতের করা ২৯৬ রান ২ বল হাতে রেখেই জিতে যায় তারা। এছাড়া বিশ্বকাপে কোন দলই এত বড় রান তাড়া করে জেতেনি। ২০১১ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড ৩২৭ রান তাড়া করে জেতে। সেটি ছিলো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এই ম্যাচ জিততে হলে তােই রেকর্ড গড়েই জিততে হবে প্রোটিয়াদের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৩৩০/৬ (৫০ ওভার) (তামিম ১৬, সৌম্য ৪২, সাকিব ৭৫, মুশফিক ৭৮, মিথুন ২১, মাহমুদউল্লাহ ৪৬* মোসাদ্দেক ২৬, মিরাজ ৫*; ফেলকায়ো ৫২/২, তাহির ৫৭/২, মরিস ৭৩/২, ডুমিনি ১০/০, এনগিডি ৩৪/০, মারক্রাম ৩৮/০, রাবাদা ৫৭/০)

ঝড়ো ইনিংস খেলে ফিরলেন মোসাদ্দেক

শেষ দিকে যা প্রয়োজন তাই করেছেন। দ্রুত গতিতে রান তুলে ইনিংসকে বড় করেছেন। পরে অবশ্য ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন তিনি।

৪৯ ওভারে স্কোর ৩১৬/৬।

সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন মুশফিক

সেঞ্চুরি থেকে ২২ রান দূরে থেকে ফেলকায়োর বলে ক্যাচ আউট হয়ে গেলেন মুশফিক (৭৮)। হাতে কিছু ওভার থাকায় সেঞ্চুরিটি অনায়সেই করতে পারতেন পঞ্চপান্ডবের এই সদস্য। অবশ্য তার লক্ষ্য ছিলো দরের সংগ্রহকে বাড়ানো। তিনি তার কাজ ঠিকঠাকই করে গেছেন।

দলীয় স্কোর-৪২.১ ওভারে ২৫০/৫।

ফের তাহিরের আঘাত

সাকিবকে (৭৫) তুলে নেয়ার পর আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছেন ইমরান তাহির। সাকিবকে ফেরানোর পর নিজের স্পেলের পরের ওভারেই ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুনকেও (২১) বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন তাহির। ক্রিজে মুশফিকের (৭৮)* সঙ্গী হয়ে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ (৪)*।

স্কোর- ৪৩ ওভারে ২৫০/৪।

সাকিবের বিদায়ে ভাঙলো রেকর্ড জুটি

অসাধারন খেলতে থাকা জুটি ভেঙ্গে দিলেন ইমরান তাহির। সাকিব আল হাসানকে (৭৫) বোল্ড করে সাঝঘরে ফেরান এই লেগ স্পিনার। এর আগে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ছিলো ১৪১ রানের। গত বিশ্বকাপে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ এই জুটি করেছিলেন। এবার মুশফিক-সাকিব ১‌৪২ রানের জুটি গড়ে সেই জুটি ভেঙে দেন। আজকের ম্যাচে এখন পর্যন্ত ৭ ওভার বল করে ৪৫ রানে ১ উইকেট পেয়েছেন শততম ম্যাচ খেলা ইমরান তাহির।

স্কোর-৩৬ ওভারে ২২২/৩।

বড় সংগ্রহের দিকে বাংলাদেশ

সাকিব-মুশফিকের জোড়া ফিফটিতে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার উপর ক্রমেই চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে টাইগাররা। এই জুটি এখন পর্যন্ত ১২৫ রান তুলেছে। 

দলীয় সংগ্রহ- ৩২ ওভারে ২ উইকেটে ২০০।

সাকিবের পর মুশফিকের ফিফটি

বাংলাদেশের হয়ে আজকের ম্যাচে প্রথমে ফিফটি করলেন সাকিব আর হাসান (৫৭)*। তারপর মুশফিকুর রহিমও (৫৪)* তুলে নিছেন অর্ধশত রান। এই দুই ব্যাটসম্যান তাদের জুটিতেও ১০৭ রান করেছেন।

দলীয় স্কোর-২৯ ওভারে ১৮২/২।

সাকিব-মুশফিকে দেড়শ পেরুল বাংলাদেশ

দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বড় সংগ্রহের বিকল্প নেই। সেই চ্যালেঞ্জে এখন পর্যন্ত জয়ী মাশরাফি বাহিনী। ৬.২৫ রান রেট নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সাকিব-মুশফিক।

৯৫ বলে এই জুটি থেকে এসেছে ১০০ রান। ফিফটি তুলে ৫৭ রানে অপরাজি সাকিব, মুশফিক খেলছেন ৪৮ রান নিয়ে।

২৮ ওভার শেষে স্কোর ১৭৭/২।

সাকিব-মুশফিক জুটিতে এগোচ্ছে টাইগাররা

দলীয় ৭৫ রানের মাথায় সৌম্য সরকারের বিদায়ের পর দেখেশুনে খেলছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব (৩৬)* ও মুশফিক (২২)*। তাদের জুটি ইতিমধ্যে ৫৩ রান যোগ করেছে। এই দুই ব্যাটসম্যানই নিজের ধৈর্য্য ও সামর্থেরে প্রমান দিয়ে যাচ্ছেন। এই জুটি বড় হলে বাংলাদেশ যে একটি বিশাল সংগ্রহে পৌছবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

স্কোর-২১ ওভারে ১২৮/২।

দলীয় শতরানে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম ১০০ রান আসতে সময় লাগলো মাত্র ১৬ ওভার। দুই ওপেনারের ভালো শুরুর পর সাকিব (২১)*-মুশফিক (১০)* জুটিতে ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে টাইগাররা।

দলীয় স্কোর-১৬ ওভারে ১০০/২।

মরিসের প্রথম ওভারেই আউট সৌম্য

আক্রমনাত্বক ধাঁচেই খেলছিলেন শুরু থেকে সৌম্য সরকার (৪২)। প্রথম দিকেই অবশ্য স্লিপের ফিল্ডার একটু তৎপর হলে ইনিংস দীর্ঘায়িত করার সুযোগ পেতেন না তিনি। তামিমের বিদায়ের পর যখন দলের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাকে তখনই শর্ট বল খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান সৌম্য সরকার। সৌম্যকে ফেরাতে একবার রিভিউও নিয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু আম্পায়ার কলে বেঁচে সেই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। তার এই ৪২ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি ছিলো ৯টি। ক্রিজে সাকিবকে (৬)* সঙ্গ দিতে নেমেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিক (৪)*।

১২ ওভার শেষে স্কোর ২ উইকেটে ৭৯ রান।

সাবধানী শুরুর পর তামিমের বিদায়

উদ্ভোধনী জুটিতে সৌম্য সরকারের (৩৬)* সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়ার পর ফেলকায়োর বলে উইকেটরক্ষক ডি ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তামিম ইকবাল (১৬)। সৌম্যের সঙ্গে জুটি বাঁধতে ক্রিজে নেমেছেন সাকিব আল হাসান (৪)*।

১০ ওভার শেষে স্কোর ৬৫/১।

বাংলাদেশের সতর্ক শুরু

সুবিধাজনক বলে আক্রমন আবার ভালো বলকে সমীহ করছেন দুই বাংলাদেশী ওপেনার তামিম ইকবাল (১২)* ও সৌম্য সরকার (২৬)*। ইনিংসে এখন পর্যন্ত ৭টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন এই দুই ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬.২ ওভারে বিনা উইকেটে ৪৫ রান।

শততম ম্যাচের মাইলফলকে তাহির

দক্ষিণ আফ্রিকার নির্ভরযোগ্য স্পিনার ইমরান তাহির শততম আন্তর্জাতিক খেলতে নেমেছেন। এই ম্যাচ শুরুর আগে পর্যন্ত তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটে মোট ১৬৪টি উইকেট পেয়েছেন। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ৪৫ রানে ৭ উইকেট। আজকের ম্যাচেও তার উপর প্রোটিয়াদের প্রত্যাশা থাকবে অনেক বেশি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ২টি উইকেট লাভ করেছিলেন এই লেগ স্পিনার।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

আইসিসি দ্বাদশ বিশ্বকাপের পঞ্চম ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলে খেলছেন ওপেনার তামিম ইকবাল, যাকে নিয়ে ছিলো শঙ্কা। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে হাশিম আমলা নেই, খেলছেন ডেভিড মিলার।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান।

দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোয়াড: ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), ইমরান তাহির, ডেভিড মিলার, লুঙ্গি এনগিডি, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, জেপি ডুমিনি, এইডেন মার্করাম, ক্রিস মরিস, আন্দিলে ফেলুকায়ো, কাগিসো রাবাদা।

পরিসংখ্যান:
দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে হারার পর মানসিকভাবে পিছিয়ে প্রোটিয়ারা। অন্যদিকে সদ্য ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে নিজেদের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। চলতি বিশ্বকাপে এটি বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হওয়ায় জয়ের আশা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই দেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের। তবে একটি আশার বিষয় হলো, উইকেট ব্যবধানে যে দলগুলোর বিপক্ষে টাইগারদের সবথেকে বড় জয়গুলো আছে, তার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাও একটি। উইকেট ব্যবধানে কেনিয়া এবং জিম্বাবুয়ে ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ জয়লাভ করে ৯ উইকেটের ব্যবধানে।

ওয়ানডেতে:
ম্যাচ: ২০
দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ী: ১৭
বাংলাদেশ জয়ী: ৩

বিশ্বকাপে:
ম্যাচ: ৩
দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ী: ২
বাংলাদেশ জয়ী: ১



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯

১৫ জুলাই, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ