Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৬

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

সীতাকুন্ড, টেকনাফে ও ঠাকুরগাঁওয়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ৬ জন। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে ডেস্ক রিপোর্ট-
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন দুই ডাকাত নিহত হয়েছেন। উপজেলার ছোট কুমিরা ব্রিজ সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মঙ্গলবার রাতে এই বন্দুকযুদ্ধ হয় বলে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পররিচালক এএসপি মাশকুর রহমান জানিয়েছেন।
নিহত দুজনের বয়স আনুমানিক ২৪ ও ৩২ বছর। এএসপি মাশকুর বলেন, রাতে মহাসড়কে টহল দেওয়ায় সময় খবর আসে ব্রিজের নিচে একদল ডাকাত অবস্থান করছে। র‌্যাবের টহল দলের সদস্যরা সেখানে গেলে গুলি ছোঁড়ে ডাকাতরা। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও গুলি ছুঁড়লে দুইপক্ষের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষে কিছু সময় ‘গুলি বিনিময়ের পর’ ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে দুই জনের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় বলে এই র‌্যাব কর্মকর্তা জানান। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ওয়ানশুটার গান, ৩১ রাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজার ব্যুরো জানায়, টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে অস্ত্রধারী তিনজন অপহরণকারী।
গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে লেদা ক্যাম্পের পিছনে পাহাড়ের নিচে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনাটি ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত তিনজনই রোহিঙ্গা। তারা হলো, উখিয়া থাইনখালীর ক্যাম্প ১৪ এর (সি-১) এর বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের ছেলে শামছু আলম, ক্যাম্প-১৪ ( সি-২) এর বাসিন্দা মোক্তার আহমদের ছেলে নুর আলম এবং টেকনাফ লেদা ক্যাম্প-২৬ এর সি বøকের বাসিন্দা আজিজুর রহমানের ছেলে হাবিব।
ঘটনাস্থল থেকে ৩ টি এলজি, ৮ রাউন্ড কাতুজ এবং ১১ রাউন্ড খোসা উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারীদের ছোড়া গুলিতে পুলিশ সদস্য সৈকত বডুয়া, আরশেদুল, সেকান্দার আহত হয়েছেন বলে পুলিশ দাবি করেছে। টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, কিছুদিন আগে তিন বছরের এক শিশুকে অপহরণপ‚র্বক ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে চিহ্নিত অপহরণকারীরা। পরে পুলিশের অভিযানের কারণে অপহরনকারীরা শিশুকে ফেরত দেয়। তাদের দেখানো তথ্যমতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে।
ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ফকিরগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় বিজিবির সাথে মাদক ব্যবসায়ীর কথিত বন্দুকযুদ্ধে মনিরুল ইসলাম বাবুল নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর মারা গেছে। নিহত বাবুল দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার উত্তর সুজালপুর গ্রামের মৃত মাইদুল ইসলামের ছেলে।
গত বুধবার রাত ২টায় ফকিরগঞ্জ এলাকার বঙ্গবন্ধু বাজারের পাশে একটি ফাঁকা ক্ষেতে এই বন্দুকযুদ্ধ হয় বলে দাবি দিনাজপুর-৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল গাজী নাহিদ উজ জামানের।
৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল গাজী নাহিদ উজ জামান বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে ফকিরগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে ১১২ ফেন্সিডিল, ১ বোতল মদসহ মনিরুল ইসলাম বাবুল আটক হয়। তার স্বীকারোক্তি মতে গেল রাতে বিজিবি অভিযান চালাতে গেলে ফকিরগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বাজারের পাশে একটি ফাঁকা ক্ষেতের কাছে পৌঁছালে ওৎ পেতে থাকা মাদক ব্যবসায়ীরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বিজিবিকে আক্রমন করে। এ সময় বিজিবি পাল্টা গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় মনিরুল ইসলাম বাবুল । এ সময় অভিযানে-৭৫ বেতল ফেন্সিডিল ও একটি দেশিয় অস্ত্র, দা ও ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয় বলে জানায় বিজিবির এই অধিনায়ক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ