Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বৃষ্টির শঙ্কা সত্তে¡ও আনন্দঘন পরিবেশ আর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গত বুধবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। দীর্ঘ তাপদাহের পর শান্তির পরশ বোলাতে দেশজুড়ে নামে শান্তির বারি। তাতে সিক্ত হয় মনপ্রাণ। দেশবাসী শীতল পরিবেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে সক্ষম হয়। দেশের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় ঈদগাহে। প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ, মন্ত্রীবর্গ, বিচারপতিবৃন্দ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র মো. সাঈদ খোকন ছাড়াও পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষ প্রবল বর্ষণ উপেক্ষা করে এ জামায়াতে শরিক হন। দেশের সর্ববৃহৎ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানে। এখানে ৬ লাখ মানুষ একসাথে ঈদের জামায়াতে শরিক হন বলে জানান আমাদের জেলা সংবাদদাতা। রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ৩টি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও মহাখালীতে মসজিদে গাউসুল আজম, গুলশান জামে মসজিদসহ রাজধানীর প্রতিটি মসজিদে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এসব জামায়াতে পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদেরও ব্যবস্থা করা হয়। ঈদের নামাজ আদায়ে মহিলাদেরও ঢল নামে এসব জামায়াতে। অনেক মসজিদে নামাজের পর আবার অনেক মসজিদে নামাজের আগেই প্রবল বৃষ্টির মুখোমুখী হতে হয় মুসল্লিদের। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও সারা দেশে বৃষ্টি আর নিরাপত্তা শঙ্কা উপেক্ষা করে মানুষের ঢল নামে ঈদগাহ ও মসজিদগুলোয়।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশ জুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। এ উপলক্ষে আগেই সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়। দেশের কারাগার ও ইয়াতিম খানাগুলোয় ঈদ উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। পত্রিকাগুলো আগেই বিশেষ সংখ্যা বের করে এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলো সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালা পরিবেশন করছে।
ঈদ শেষ হলেও ঈদের আমেজ শেষ হয়নি। দেশের সব বিনোদন কেন্দ্রে জমে উঠেছে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষের ভিড়। কক্সবাজার, পতেঙ্গা এবং সমুদ্র সৈকত ছাড়াও দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দেখা যাচ্ছে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়। আমাদের ব্যুরো ও জেলা সংবাদদাতাদের পাঠানো রিপোর্টে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
দিনাজপুর থেকে মাহফুজুল হক আনার জানান, সকল শঙ্কা উপেক্ষা করে দেশে ঈদুল ফিতরের সর্ববৃহৎ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ ময়দানের ঈদগাহে। এশিয়ার অন্যতম, দেশের সর্ববৃহৎ এই জামাতে কত মুসল্লি হয়েছিল তা চোখে দেখেই ভেবে নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, ঈদুল ফিতরের এই জামাতে ছয় লাখ মানুষ নামাজ আদায় করেছে। যদিও এবার দশ লাখ মুসল্লির অংশ গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু চাঁদ দেখা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় আগের রাতেই অনেক এলাকায় ঈদ ঘোষণা না হলেও জামাতের প্রস্তুতি গ্রহণ করার প্রভাব পড়ে বৃহৎ জামাতে। সবশেষে বৃষ্টিহীন মেঘলা কিন্তু ঝকঝকে আবহাওয়ায় দুর-দুরান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ আদায় করেন। জামাতে অংশগ্রহণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি এনায়েতুর রহিম, পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আবু সায়েমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নির্ধারিত সময়ের ২৫ মিনিট পর কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। এবারের ১৯২তম ঈদজামাতে ইমামতি করেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
২০১৬ সালে ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন ছাড়াও ৫ প্লাটুন বিজিবিও মোতায়েন করা হয়। প্রত্যেক মুসল্লিকে তল্লাশির মাধ্যমে ঈদগাহে প্রবেশ করানো হয়। নিরাপত্তায় আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি বিশেষ ট্রেন আসা যাওয়া করে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, জ্যৈষ্ঠের প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরমের পর বৃষ্টিপাতে স্বস্তিদায়ক আবহাওয়ার মধ্যে ঈদ জামাতে নামে মুসল্লিদের ঢল। সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে ঈদের নামাজে শরিক হয়েছিলেন লাখো মানুষ। কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে আড়াই শতাধিক ঈদ জামাতেও ছিলো উপচেপড়া ভিড়। কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির উদ্যোগে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকার জিমনেশিয়াম হলে। তাদের ব্যবস্থাপনায় নগরীর আরও ৯০টি এলাকায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মার সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দলমত, শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে মানুষ একে অপরের সাথে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সকাল ৮টায় জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের ময়দানে প্রথম ও প্রধান ঈদ জামাতে ইমামতি করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিছ আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল কাদেরি। একই স্থানে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় ঈদ জামাত। প্রথম জামাতে এবারও যথারীতি নামাজ আদায়ে এক কাতারে শরিক হন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতারা। সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী জামাতে শরিক হোন। নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।
যশোর ব্যুরো জানায়, চাঁদ রাতে মেঘলা আকাশের কারণে দুশ্চিন্তা ছিল ঈদগাহ ময়দানগুলোতে ঈদের জামাত সম্ভব হবে কিনা। যার কারণে যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান পুরোটাই ছাউনীর ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন মসজিদে জামাতের জন্য রাখা হয় প্রস্তুত। কিন্তু আল্লাহর মেহেরবানীতে সকালে সুন্দর আবহাওয়ায় যশোরের সবখানে ঈদগাহে ঈদের জামাত আদায় করতে পেরেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। জামাতের অন্তত দেড় ঘন্টার আগেই ঈদগাহের বিশাল ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। যশোরে ঈদের প্রধান জামাত হয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায়। ইমামতি করেন মুফতি ইয়াছিন আলম। এখানে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল, পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীসহ সকল স্তরের মানুষ নামাজ আদায় করেন।
এছাড়া পুলিশ লাইন মসজিদ, মারকাস মসজিদ, চৌরাস্তা জামে মসজিদ. নতুন খয়েরতলা হাইস্কুল মাঠ, চাঁচড়া ঈদগাহ, উপশহর ঈদগাহ, ডাকাতিয়া ঈদগাহ, হাসপাতাল মসজিদ, পুরাতন কসবা ঈদগাহ, বেজপাড়া ঈদগাহ ও বারান্দীপাড়া ঈদগাহসহ শহরের বিভিন্নস্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে।
বগুড়া ব্যুরো জানায়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে ঈদের দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হলেও বগুড়ায় ঈদের দিনে কোথাও বৃষ্টি না হওয়ায় হালকা রোদ ও আকাশে মেঘের আনাগোনার এক চমৎকার পরিবেশে ঈদ উদযাপিত হয়। ঈদের দিনে বৃষ্টি হলে মসজিদগুলোতে ঈদের নামাজের প্রস্তুতি থাকলেও ঈদগাহ মাঠগুলোতেই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৯টায় বগুড়ায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সুত্রাপুর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। এই জামাতে ইমামতি করেন বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল জামে মসজিদের ইমাম আলহাজ মাও. আব্দুল কাদের। বগুড়ার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, পৌর মেয়র অ্যাড. মাহবুবুর রহমান, বগুড়া সদর আসনের আসন্ন সংসদ উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী টি জামান নিকেতা, বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী জি এম সিরাজসহ শহরের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ এখানে ঈদের জামাতে শরিক হন।
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান, চাঁদপুর পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টায় জেলার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ঈদগাহ মাঠে জেলা প্রশাসনসহ হাজার হাজার মুসলি¬ নামাজ আদায় করেন। নামাজে ইমামতি করেন বাহাদুরপুরের পীর ও বাংলাদেশ ফরাজী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আব্দুল্ল¬াহ মোহাম্মদ হাসান। পরে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে শহরের পুলিশ লাইন, আউটার স্টেডিয়াম, সরকারি কলেজ মাঠ, বেগম জামে মসজিদ, চিশতিয়া জামে মসজিদ, বড়স্টেশন মোলহেড, জেলা কারাগার জামে মসজিদসহ গ্রাম-গঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনায় ঈদুল ফিতরের প্রথম ও প্রধান জামাত টাউন জামে মসজিদে গত বুধবার সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে দ্বিতীয় জামাত ৯টায় এবং তৃতীয় ও শেষ জামাত ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। কোর্ট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয় একটি জামাত। প্রধান জামাতের নামাজে ইমামতি করেন খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি ও টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সালেহ। ঈদের প্রধান জামাতে অংশগ্রহণ করেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ হেলাল হোসেন, মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপির সভাপতি এস এম শফিকুল আলম মনাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, জেলার বিভিন্ন জামে মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি নামাজে শরীক হন। ঈদের প্রধান প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ, মাইজদী পৌর ঈদগাহ ময়দান, নতুন পুলিশ লাইন জামে মসজিদ, মাইজদী বাজার জামে মসজিদ, ওসমান মোক্তার জামে মসজিদ, উজ্বলপুর জামে মসজিদ, উত্তর ফকিরপুর জামে মসজিদ, দত্তেরহাট বাজার জামে মসজিদ, হযরত ছনখোলা দরবেশ সাহেব জামে মসজিদসহ বিভিন্ন উপজেলায় জামে মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে।
সিলেট ব্যুরো জানায়, গুঁড়ি গুঁড়ি হালকা বৃষ্টির কারণে ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে সিলেটে ঈদের প্রধান জামাতে শরিক হওয়ার আকাক্সক্ষা ভেস্তে যায় অনেকের। কিন্তু তারপরও থেমে থাকেনি ঈদগাহ ময়দানমুখী মানুষের ঢল। নামাজকে ঘিরে শাহী ঈদগাহ এলাকায় তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যুহ গড়ে তোলে র‌্যাব ও পুলিশ।
সকাল সাড়ে ৮টার ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাংলাদেশ আ্ওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর আ্ওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদসহ জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিরা। ইমামতি করেন সিলেটের বন্দর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা কামাল উদ্দিন।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে ফরিদপুরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে। বরিশাল বিভাগীয় সদরে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। জামে এবাদুল্ল¬াহ মসজিদের খতিব আলহাজ হজরত মাওলানা মির্জা নুরুর রহমান বেগ ইমামতি করেন। সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্ল¬াহসহ নগরীর বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ ও বিভিন্নস্তরের মানুষ বরিশাল কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন মসজিদে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন।
কক্সবাজার ব্যুরো জানায়, জেলায় সকাল সাড়ে ৮টায় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় জেলার প্রধান ঈদ জামাত। এতে ইমামতি করেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হক।
জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত জামাতে সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহবুবর রহমানসহ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজের কাতার মাঠ পেরিয়ে বিস্তৃত হয় স্টেডিয়াম গেইট, সদর হাসপাতাল ও পৌর প্রিপ্যার‌্যাটরি স্কুল পর্যন্ত।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে নতুনভাবে সেজেছে বিনোদন স্পট ও হোটেল-মোটেলসমূহ। আগামী ৫ দিন পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতসহ ওইসব স্পট দর্শনার্থীদের পদচারণায় সরব থাকবে।
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, শহরের চাঁদমারী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ঈদের প্রধান জামাতে শরীক হয়ে নামাজ আদায় করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি।

 



 

Show all comments
  • Sahriar Kibria ৮ জুন, ২০১৯, ১:০৭ এএম says : 0
    এটা আবার নিউজ হেডলাইন হবার কারন কি? সবাইই তো জানে ঈদ উদযাপিত হয়েছে!
    Total Reply(0) Reply
  • Firoz Almamun Tonny ৮ জুন, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 0
    ঈদ তো শেষ! আসেন এবার একটা সত্য কথা বলি! ঘটনা হলো গিয়ে, বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটি আসলে চাঁদ দেখে নাই। ওনারা জনগণের চাপে পরে ঈদের ঘোষণা দিছে। ওনারা মনে করছে আড়ংয়ের মত যদি চাঁদ দেখা কমিটিকেও পাবলিক বয়কট করে!
    Total Reply(0) Reply
  • Muzibur Rahman ৮ জুন, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 0
    তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম'।
    Total Reply(0) Reply
  • Ismail Hossain Sagor ৮ জুন, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
    সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক
    Total Reply(0) Reply
  • Mahabub Alom ৮ জুন, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
    vary nice
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Shamim Hossain Ripon ৮ জুন, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    আমাদের চাঁদ দেখা কমিটিকে যে মেশিন দেয়া হয়েছে তাতে কোনো চাঁদ দেখা যায়নি। নিশ্চয়ই মেশিনে শয়তানের আচর লাগছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Rafidul Hasan Rafi ৮ জুন, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    পাকিস্তান, কলকাতার দেখা চাঁদে যদি বাংলাদেশে ঈদ না হয়,তাহলে ঢাকার বাইরের দেখা চাঁদে ঢাকাতে কিভাবে ঈদ হবে?মনে করুন ঢাকাতে চাঁদ দেখা যায় নাই
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ